বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ঘুম ছুটবে শত্রুদের! এবার ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা দেশীয় স্মার্ট অ্যান্টি এয়ারফিল্ড ওয়েপেন বা SAAW-কে জেট চালিত ভেরিয়েন্টে উন্নীত করার পদক্ষেপ নিয়েছে। ডিফেন্স ডট ইনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের এই নয়া সংস্করণ গ্লাইড বোমা থেকে এটিকে একটি মিনি এয়ার লঞ্চ ক্রুজ মিসাইলে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। যার ক্ষমতা বর্তমান মডেলগুলিকে ছাড়িয়ে যাবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার এই নয়া প্রকল্প ভারতের উন্নত নির্ভুল স্ট্রাইক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি বিরাট অর্জন বলেই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি এই নয়া ক্ষেপণাস্ত্রের আগমন আত্মনির্ভর ভারতের উদ্যোগের সাথেই সামঞ্জস্য রেখে, যা বিশ্বের দরবারে ভারতকে নয়া পর্যায়ে পৌঁছে দেবে বলেই আশা। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, এই ক্ষেপণাস্ত্র নাকি ব্রহ্মসের থেকেও বেশি শক্তিশালী!
ব্রহ্মসের চেয়েও শক্তিশালী এই মিসাইল?
রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের এই নয়া ভেরিয়েন্টের ক্ষেপণাস্ত্র একটি কম্প্যাক্ট টার্বোজেট ইঞ্জিন ও ইন্টিগ্রেটেড ফুয়েল ট্যাঙ্ক দ্বারা গঠিত। এর ফলে ক্ষেপণাস্ত্রটি আকাশ জুড়ে নিজের ইচ্ছেমতো কাজ করতে পারবে। জানা যাচ্ছে, এই অস্ত্রটির পরিসর 100 কিলোমিটার থেকে 200 কিলোমিটারেরও বেশি হবে। জানা যাচ্ছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতীয় বিমান বাহিনীকে শত্রুর বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রবেশ না করিয়েই সঠিক দূরত্ব থেকে লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত করতে সক্ষম হবে। আপাতত যা খবর, ভেরিয়েন্টির দৈর্ঘ্য কমপক্ষে 2.5 মিটার, যা বর্তমান 1.8 মিটারের স্মার্ট অ্যান্টি এয়ারফিল্ড ওয়েপেনের থেকে অনেকটাই বেশি। একই সাথে SAAW এর নতুন মডেলটিতে থাকবে অত্যাধুনিক ইলেক্ট্রো অপটিক্যাল সিকার ও ইমেজিং ইনফ্রারেড প্রযুক্তি। যার সাহায্যে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিজেই লক্ষ্যবস্তুকে খুঁজে নিয়ে তার উপর সর্বস্ব দিয়ে আক্রমণ শানাবে। এছাড়াও IIR সিকার উপগ্রহ এবং ইন শিয়াল নেভিগেশন সিস্টেমের তুলনায় অনেকটাই বেশি নির্ভুলতা প্রদান করবে, যার সাহায্যে দিন রাতের পার্থক্য সহ খারাপ আবহাওয়ায় লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে এই ক্ষেপণাস্ত্র। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, এই নয়া ক্ষেপণাস্ত্র নাকি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্রহ্মসের থেকেও বেশি শক্তিশালী হতে চলেছে।
অবশ্যই পড়ুন: তিরাঙ্গার সাথে সেলফি আপলোড করলে সার্টিফিকেট দেবে ভারত সরকার! কীভাবে পাবেন?
উল্লেখ্য, SAAW এর এই উন্নত সংস্করণ সুখোই 30MKI, রাফালে সহ বেশ কয়েকটি উন্নত বিমানে বহন করা সম্ভব। তবে মনে করা হচ্ছে মূলত, সুখোই দিয়েই শত্রুর উপর প্রাথমিকভাবে আঘাত হানা হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের এই প্রযুক্তিগত উন্নয়ন অস্ত্রের জন্য বিদেশের উপর নির্ভরতা অনেকটাই কমিয়ে আনবে।