বাঁধের টাকা লুঠ! বিধায়ককে ফোন করতেই ভয়ঙ্কর গালিগালাজ, ভাইরাল সাবিত্রী মিত্রর অডিও

Sabitri Mitra Language Controversy

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কয়েক মাস আগে বোলপুরের IC-কে মা-স্ত্রীয়ের প্রসঙ্গ তুলে নোংরা মন্তব্য করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। যার জন্য রাজনৈতিক মহলে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তবে এবার, কুকথা বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। বাঁধা ভাঙা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তেই রীতিমত অকথ্য গালিগালাজ করে বসলেন সাবিত্রী মিত্র। ভাইরাল অডিও ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তুঙ্গে চলছে বিতর্ক। অবশেষে সেই গালিগালাজের কথা স্বীকার করলেন তৃণমূল বিধায়ক।

বাঁধ ভাঙার দায় বিধায়কের বিরুদ্ধে!

উল্লেখ্য, মাত্র দুই মাস আগে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে মালদার মানিকচকে বন্যা ঠেকাতে গঙ্গা নদী তীরবর্তী দক্ষিণ চন্ডিপুরে প্রায় এক হাজার মিটার একটি মাটির বাঁধ তৈরির কাজ করে সেচ দপ্তরের অধীনস্থ একটি ঠিকাদারি সংস্থা। কিন্তু গত বুধবার অর্থাৎ ১৩ আগস্ট সাতসকালেই ভূতনির দক্ষিণ চন্ডিপুর বাঁধ ভেঙে গঙ্গার জল প্রবেশ করতে থাকে। তাতেই উত্তর ও দক্ষিণ চন্ডিপুর এবং হিরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অসংখ্য এলাকা বন্যার জলে প্লাবিত হয়ে যায়। এবং শতাধিক পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা। আর এই ঘটনায় বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রকে দায়ী করা হয়। আর সেই ঘটনায় বিধায়ককে ফোন করতেই হিতের বিপরীত ঘটে।

ভাইরাল বিধায়কের অডিও

এদিন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ একটি অডিও পোস্ট কয়েছেন। ওই ভাইরাল অডিয়োতে (ইন্ডিয়া হুডের তরফ থেকে এই ভিডিওর সত্য্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি) শোনা যাচ্ছে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছেন কেন ঠান্ডা ঘরে বসে মিথ্যা কথা বলছেন বিধায়ক? কেন ২০০ কোটি টাকা লুঠ করার পরে আপনি বলছেন কে বা কারা এসে বাঁধ ভেঙে দিয়েছে? এরপরই এ কথা শোনা মাত্রই অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি দিয়ে উঠলেন বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তির থেকে তাঁর পরিচয় জানতে চান। তারপরেই শুরু হয় তর্কাতর্কি। কেন তিনি গালাগালি করছেন পাল্টা বিধায়ককে সেই প্রশ্নও করেন ওই ব্যক্তি। সঙ্গে সঙ্গে ওই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। যদিও এই ঘটনায় সাবিত্রী দেবী বলেন, “সকাল থেকে আমাকে ফোন করে বার বার উত্ত্যক্ত করা হচ্ছিল। আমাকে ফোনের ওপ্রান্ত থেকে আজেবাজে কথা বলা হচ্ছিল। তাই কিছু কড়া শব্দ বলে ফেলেছি। পুরো বিষয়টি পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদবকে জানানো হয়েছে।”

আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমীর দিন বন্ধ থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ দফতর! ঘোষণা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের

কড়া মন্তব্য বিজেপির!

এদিকে শাসকদলের বিধায়কের এহেন আচরণ দেখে বেশ ক্ষুব্ধ স্বরে প্রতিবাদ করে বসেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা মানিকচকের দলীয় নেতা গৌড়চন্দ্র মন্ডল। তিনি বলেন, “ভূতনি এলাকার যারা ফোন করেছেন তারা তো ক্ষতিগ্রস্ত। তারা সেখানকার ভোটার। জনগণের সঙ্গে শাসকদলের বিধায়ক এমন ভাষায় কথা বলবে ভাবাই যাচ্ছে না। মানুষ এটা দেখছে। সব প্রভাব পড়বে ভোটে।” ইতিমধ্যেই সাবিত্রী মিত্র যে দুটি মোবাইল নম্বর দিয়ে অভিযোগ করেছেন, তার মধ্যে একটি কেরল অপরটি তামিলনাড়ুর নম্বর। অনুমান করা হচ্ছে ভূতনির কোনও পরিযায়ী শ্রমিক বাঁধ ভাঙার পরিস্থিতির কথা জানার পরই ইচ্ছে করে উত্যক্ত করার চেষ্টা করেছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

Leave a Comment