ছেলের মোটা মাইনে, বৃদ্ধ বাবা-মায়ের দিন কাটছে অনাহারে! দম্পতির গল্প কাঁদিয়ে ছাড়বে

Arunansu Dasgupta

সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ ছেলে বড় চাকরি করে। হাজারো কষ্ট, প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও ছেলেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার বানিয়েছেন বাবা-মা। অথচ এখন সেই বাবা মাকেই রীতিমতো অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে। বৃদ্ধ বাবা-মে ফেলে রেখে ছেলে এখন অন্যত্র চলে গিয়েছে। খোঁজও নেয় না বাবা মা কেমন আছে। যে ছেলেকে বড় করতে বাবা-মা নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে দিয়েছিলেন, সেই গুণধর ছেলেই কিনা এখন বাবা-মায়ের জন্য রেখে গিয়েছে একরাশ অভাব আর অনটন। ছেলে কোথায়? বৃদ্ধ দম্পত্তির শেষ জীবনটা কেমন কাটবে? সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

আজকের এই প্রতিবেদনে আলোচনা করা হবে অরুনাংশু দাশগুপ্ত (Arunansu Dasgupta) এবং মৌসুমী দাশগুপ্তকে নিয়ে। এই বৃদ্ধ দম্পতি বর্তমান সময়ে ছেলে ভালো চাকরি করা সত্ত্বেও চরম দারিদ্রতার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। অরুনাংশু বাবুর যতদিন চাকরি ছিল তখন দু বেলা যাও বা খাবার খেতে পারতেন। তবে বর্তমানে এক বেলা খাবার জোটানোই তাঁদের পক্ষে মুশকিল হয়ে পড়েছে।

অরুনাংশু দাশগুপ্ত এক সময়ে চুক্তির চাকরি করে সংসার চালাতেন। যে টাকা রোজগার করতেন তা সংসার এবং ছেলের পড়াশোনার জন্য খরচ করতেন। ছেলেকে মানুষ করতে কোনওদিন পিছ পা হননি। আজ সেই ছেলেই কিনা বৃদ্ধ বাবা-মাকে এরকম অবস্থায় রেখে চলে গিয়েছে অন্যত্র। সে হয়তো পাঁচ অঙ্কের বেতনের চাকরি করছে, কিন্তু এদিকে বৃদ্ধ বাবা-মা চরম অসহায়তার মধ্যে দিয়ে দিন চালাচ্ছেন। বিগত ৫ বছর ধরে এই অবস্থাতেই রয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুনঃ আধারের সঙ্গে UAN লিংক করা এখন আরও সহজ, জানুন EPFO-র নতুন নিয়ম

সম্প্রতি অরুনাংশুবাবু নিজের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে আসেন এবং সাহায্যের জন্য কাতর আর্জি জানান। ইতিমধ্যে মৌসুমি দেবী দুবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে খবর। প্রতিদিনের খাবার সঙ্গে ওষুধের টাকা জোগাড় করা তাঁদের পক্ষে এখন বিলাসিতার সমান হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুনতে অবিশ্বাস্যকর লাগলেও এটাই সত্যি। বৃদ্ধ দম্পতি ফেসবুক ভিডিওতে হাতজোড় করে বলেছেন, ‘যদি কেউ শেষ জীবনে আমাদের থাকার এবং খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারেন কিংবা আর্থিক ব্যবস্থা করে দিতে পারেন তাহলে সুবিধা হয়।’ তিনি এমনকি ছেলের বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা সেই বিষয়েও পরামর্শ চেয়েছেন সকলের কাছে।’ উল্লেখ্য, ২০২১ সালেও সাহায্যের জন্য আর্জি জানিয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট করেছিলেন অরুনাংশু দাশগুপ্ত

Leave a Comment