ধর্ম পরিবর্তনের দাম ৮, ১০, ১৫ লাখ টাকা, ছাঙ্গুর বাবার খেলা

Changur Baba
Changur Baba

ব্রাহ্মণ মেয়ে হলে ১৫ লক্ষ, হিন্দু OBC হলে ১০ থেকে ১২ লক্ষ, অন্য কোন জাতের হলে ৮-১০ লক্ষ।

না, কোনও সরকারি প্রকল্পের কথা বলছি না, আমরা কথা বলছি একটি বিশেষ মুসলিম প্রকল্পের কথা। যেখানে বেছে বেছে হিন্দু মেয়েদের করা হচ্ছে মুসলিম, আর রিওয়ার্ড হিসাবে দেওয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। জিনিসপত্রের মতোই হিন্দুদের বিভিন্ন জাতের মেয়েদের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা রেট চার্ট।

সম্প্রতি এমনই একটি রিপোর্ট সামনে এসেছে, যা শুনলে রেগে জ্বলে উঠবেন আপনিও। দেশের মধ্যেই বহু এলাকায় খোলাখুলিভাবে চলছে ধর্ম পরিবর্তনের এই খেলা। কিন্তু প্রশ্ন এটাই, কারা রয়েছে ধর্ম পরিবর্তনের এই খেলার পিছনে? সরকারের চোখ এড়িয়ে কীভাবেই বা করা হচ্ছে এই ধর্মান্তর। আজ এক এক করে সমস্ত তথ্য ডিকোড করবে India Hood।

আজকের এই ভিডিও তাদের জন্য, যারা বলে কেরালা স্টোরি মিথ্যে, তাদের জন্য যারা বলে কাশ্মীর ফাইল মিথ্যে! তাদের জন্য যারা সবকিছু জেনেও শুধুমাত্র স্বার্থের জন্য চুপ থাকে। তাই শেষ পর্যন্ত দেখুন, আর জানুন সম্পূর্ণ ঘটনা।

ছাঙ্গুর বাবা (Changur Baba)

ছাঙ্গুর বাবা। আসল নাম জামালুদ্দিন বা করিমউল্লাহ শাহ। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বলরামপুর জেলার মাধপুর নিবাসী এক ব্যাক্তি। শুরুতে তিনি ছিলেন একজন সাধারণ ফেরিওয়ালা, সাইকেলে করে বেচতেন সস্তার আংটি, তাবিজ। এরপর ধীরে ধীরে দর্গা ও ধর্মীয় সমাবেশে গিয়ে গিয়ে বাড়াতে থাকেন নিজের প্রভাব। পরে নিজেকে “পীর বাবা” এবং “হাজি পীর” আখ্যা দেন। হাতে ছয়টি আঙুল থাকার কারণে তার নাম হয় ছাঙ্গুর বাবা। এরপর ২০০৫ সালে গ্রামের প্রধান হিসাবে নির্বাচিত হন, এবং প্রধান থাকার সময়ে যাদব এবং মুসলিমদের মধ্যে ভেদাভেদ দূর করার জন্য তিনি জনপ্রিয় হন।

কিন্তু, ২০২৫ সালে ওই ফেরিয়ওয়ালার সম্পত্তির পরিমাণ হয়ে দাঁড়ায় ১০০ কোটি টাকারও বেশি, রয়েছে প্রায় ৪০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, একাধিক জমি, দোকান, শোরুম, গ্যারেজে দামী গাড়ি। কিন্তু, কীভাবে হল এই আমূল পরিবর্তন?

পর্দা ফাঁস হয় ২০২৫ সালের ৫ই জুলাই, যখন লখনউ থেকে গ্রেফতার করা হয় ছাঙ্গুর বাবা এবং তাঁর এক সহযোগী নীতু ওরফে নাসরিনকে।

কিন্তু, এর অনেক আগেই ২০২৩-২৪ সাল থেকে এই তদন্ত চালাচ্ছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ এবং ইন্টালিজেন্স ব্যুরো। তখনই একাধিক বৈদেশিক লেনদেন পর্যবেক্ষণ করতে করতে হঠাৎ করেই পুলিশের হাতে আসে ছাঙ্গুর বাবার নাম। উত্তরপ্রদেশ ATS তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক কিছু তদন্ত করার পর গণ-ধর্মান্তরকরণ, বিদেশী ফান্ড লেনদেন এবং জাতীয় নিরাপত্তার হুমকির অভিযোগ দায়ের করে। পাশাপাশি এসবের উদ্দেশ্যে একটি বিশাল ভবনকে “সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ শিবির” হিসেবে ব্যবহার করার এবং পাকিস্তানের ISI-এর সাথে তার সন্দেহভাজন যোগসূত্র থাকারও প্রমাণ আসতে থাকে। তদন্তে স্থানীয় পুলিশ এবং গোয়েন্দা ইউনিটগুলির সাথে তার যোগসাজশেরও কিছু প্রমাণ পাওয়া যায়।

এরপর ২০২৫ সালের ৮ই এপ্রিল গ্রেফতার করা হয় ছাঙ্গুর বাবার ছেলে মেহবুব এবং এক সহযোগী নবীন ওরফে জামালউদ্দিনকে। তাদের গ্রেফতার করে তাদের থেকে একাধিক তথ্য পায় পুলিশ।

এরপর মে-জুন মাস নাগাদ নজরদারি আরও বাড়ানো হয়, এবং ব্যাঙ্কিং লেনদেনগুলি আবার নিরীক্ষণ করা শুরু হয়। ATS এই সমস্ত বিদেশী লেনদেন এবং হাওয়ালা ট্রান্সফারগুলিকে লিঙ্ক করে।

এরপর ৫ই জুলাই, ছাঙ্গুর বাবা এবং তার সহযোগীদের অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইন, এবং বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের অধীনে গ্রেফতার করা হয়। দফায় দফায় অর্থ পাচারের তদন্ত শুরু করে উত্তরপ্রদেশের ATS এবং ED। একাধিক জায়গায় চালানো হয় পুলিশি তদন্ত।

এরপর ৬ই জুলাই থেকে ১০ই জুলাইয়ের মধ্যে কাঠমান্ডু, বাঁকে, রুপাংদেহি এবং নাওয়ালপারাশির একাধিক অ্যাকাউন্টের গতিবিধি নজরে আনে পুলিশ।

এরপর পুলিশি তদন্তে হতে থাকে পর্দা ফাঁস, উঠতে থাকে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ ও নেপাল সীমান্তে বলরামপুর জেলার চান্দ অলিয়া দর্গার কাছাকাছি রয়েছে একটি ৭০ কামরার বাড়ি। সেখান থেকেই এই কার্যকলাপ চালাতেন তিনি।

ATS অনুযায়ী, তার ওপর মূলত জাল পরিচয়, বিদেশী ফান্ড, নথি জালিয়াতি সহ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার ষড়যন্ত্র, ধর্মীয় শত্রুতা প্রচার, উত্তর প্রদেশের বেআইনি ধর্মান্তর নিষিদ্ধকরণ আইন ২০২১ লঙ্ঘন করার ধারা দেওয়া হয়েছে।

কাদের, কীভাবে ধর্মান্তর করার জন্য বশে আনতেন?

মূলত বিধবা, গ্রামাঞ্চলের গরীব-আদিবাসী মহিলা, সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণী এবং আর্থিকভাবে দুর্বল মহিলাদের ধর্মান্তকরণ করিয়েই নিজের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন এই বাবা। বিয়ে, চাকরি, উন্নত জীবন-যাপন, মানসিক দুর্বলতা, খারাপ অবস্থা, প্রলোভন দিয়েই নিজের এই ব্যবসা শুরু করেন তিনি। যেখানে টাকায় কাজ হত না, সেখানে চলত নির্যাতন, হুমকি, জোরজবরদস্তি, জাল মামলা দায়ের করার ভয় দেখানো।

তদন্ত করার সময়, ছাঙ্গুর বাবার সাথে দুই বছর ধরে বসবাসকারী একজন ব্যক্তি জানান যে, ধর্মান্তরিত করার জন্য, ছাঙ্গুর প্রথমে কলমা শিক্ষা দিতেন এবং তারপর একটি নিষিদ্ধ প্রাণীর মাংস খাওয়াতেন। এই পুরো প্রক্রিয়ার ছবি এবং ভিডিও রেকর্ড করে তিনি ইসলামিক দেশগুলির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পাঠাতেন, যারা ধর্মান্তরের জন্য ফান্ড দিত। তদন্তে নিযুক্ত ATS এই জাতীয় দেশগুলি থেকে ফান্ড পাওয়ার বিভিন্ন  সূত্র পেয়েছে।

ছাঙ্গুরের বাড়ি নির্মাণকারী বাব্বু চৌধুরী ওরফে ওয়াসিউদ্দিন জানান যে, ছাঙ্গুর মানুষকে ধর্মান্তরিত করার জন্য বিভিন্নভাবে অর্থ বিতরণ করতেন। প্রথমত, হিন্দু শ্রমিক এবং দরিদ্র পরিবারগুলিকে নিজের বাড়িতে ঘর পরিষ্কার এবং পশুপালনের মতো কাজ দিয়ে নিয়মিত খরচের জন্য অর্থ যোগান দিতেন। দ্বিতীয়ত, বেতন ছাড়াও এই ধরনের ব্যাক্তিদের সে প্রতিদিন অতিরিক্ত ১০০-২০০ টাকা দিতেন। এরপর, তাদের প্রভাবিত করে, উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে তাদের ধর্ম পরিবর্তন করতে বলতেন। এই বাব্বু চৌধুরী, ছাঙ্গুর বাবার নামে জনসমক্ষে ধর্মান্তরের প্রথম অভিযোগ আনেন।

ছাঙ্গুরের বাড়ির একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী সঞ্চিত জানিয়েছে, যে ছাঙ্গুর তাকে ধর্মান্তরিত করার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। কিন্তু সে অস্বীকৃতি জানালে, তাকে ধর্ষণের মামলায় ফাঁসানো হয়।

পাশাপাশি জানা গিয়েছে, ছাঙ্গুর বাবার দুই সহযোগী নবীন এবং নীতু, দুর্বল ও গরীব হিন্দুদের ওপর নজর রাখত, এবং তাদের মোটা অঙ্কের টাকা ধার দিত। ঋণ পরিশোধ না করলে ঋণ মওকুফের বিনিময়ে তাদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করত।

এছাড়া অবৈধ ধর্মান্তরের জন্য, ছাঙ্গুর বাবা নেপাল সীমান্তবর্তী সাতটি সংবেদনশীল জেলায় সক্রিয় কিছু খ্রিস্টান মিশনারির সাথে একটি জোট গঠন করেছিল। সেখানকার ধর্মযাজক এবং পুরোহিতদের টাকা দিয়ে দুর্বল শ্রেণীর তথ্য সংগ্রহ করত। তারপর চিহ্নিত পরিবারগুলিকে প্রভাবিত করে এবং আর্থিকভাবে সাহায্য করে ধর্মান্তরিত করত। নীতু ধর্মান্তরের খরচের সম্পূর্ণ হিসাব রাখতেন। নীতুর স্বামী নবীন, পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসন পরিচালনা করতেন।

আপনি অবাক হয়ে যাবেন ওই বাবার পরবর্তী কীর্তি জানলে। টাকা দিয়ে যাদের ধর্মান্তকরণ করাতেন তাদের জন্য একটি রেট চার্ট তৈরি করেছিলেন তিনি। হিন্দু ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, সর্দার, অথবা ঠাকুর মেয়েদের ধর্ম পরিবর্তনের জন্য দিতেন ১৫ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা। সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণি অর্থাৎ SC/ST/OBC সম্প্রদায়ের মহিলাদের জন্য দিতেন ৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকা। শুধু হিন্দু নয় অন্যান্য ধর্ম থেকেও ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তকরণ করতেন ওই ছাঙ্গুর বাবা।

এখনও পর্যন্ত প্রায় ১,৫০০ মহিলাকে ইসলাম ধর্মে রুপান্তরিত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আপনারা ভাবছেন একা একা এই কাজ কি করা সম্ভব?

একদম ঠিক ভাবছেন একা একা নয়, উত্তর প্রদেশের ৭টি জেলা সহ কেরালা, চেন্নাই, কর্ণাটক,মহারাষ্ট্র ও বিহার থেকে প্রায় ২০,০০০ জনের গ্যাং তৈরি করেছিলেন ছাঙ্গুর বাবা, যার মধ্যে ছিল একাধিক মৌলবি, NGO, সহ পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতা থেকে সাধারণ যুবকরাও। সাধারণ যুবকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সাধারণত অল্পবয়সী মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফাসিয়ে ধর্ম পরিবর্তন করানোর। এছাড়া তৈরি করেছিলেন একটি তরুণীর দল, যারা ধর্ষণের অভিযোগে যে কারও বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতেন।

তবে, ছাঙ্গুর বাবার খুবই কাছের ছিলেন বলে নাম উঠে এসেছে মুম্বাই-ভিত্তিক একজন ব্যবসায়ী নবীন রোহরা, তার স্ত্রী নীতু রোহরা-র। জানা গিয়েছে, ২০১০ সালের শুরুর দিকে মুম্বই যাতায়াত করার সময় সিন্ধি দম্পতি ও তাদের মেয়ে সামলে রোহরা-র সাথে সম্পর্ক জমান তিনি। আলাপচারিতায় জানতে পারেন ওই দম্পতির এক পুত্রসন্তানের আশা রয়েছে। নিজেকে পীর বাবা বলে দাবি করা ছাঙ্গুর তাদের পুত্রসন্তান হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সময়ের সাথে সাথে, তিনি তাদের মগজ ধোলাই করে ধর্মান্তরিত করেন এবং বলরামপুর জেলায় স্থানান্তরিত হতে রাজি করান। ধর্মান্তরের পর, এই দম্পতি মুসলিম নাম – জামালুদ্দিন এবং নাসরিন – গ্রহণ করে এবং ছাঙ্গুর বাবার সাথে বসবাস শুরু করে। তারা আশ্বি বুটিক নামে একটি দোকান চালাতেন, যেখানে তারা নিজেদের অবৈধ কার্যকলাপের সাথে সম্পর্কিত সমস্ত প্রমাণ লুকিয়ে রেখেছিলেন।

এছাড়া, ছাঙ্গুর বাবাকে আদালত পর্যায়ের সহায়তা এবং অর্থায়ন প্রদানের অভিযোগে চিনহাট থেকে ২০শে জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়েছে একজন আদালতের কেরানি রাজেশ উপাধ্যায়কে। রাজেশের স্ত্রী সঙ্গীতাও এই কার্যকলাপে তার সাথে যুক্ত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে তদন্তে।

এছাড়া, ছাঙ্গুর বাবাকে তদন্ত করার সময় তাঁর কাছ থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে, যেখানে প্রায় ৬ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম রয়েছে, যাঁরা প্রচুর পরিমাণে নগদ অর্থ নিয়েছিলেন ‘ছাঙ্গুর বাবা’র কাছ থেকে। নাম রয়েছে বেশ কয়েকজন প্রাক্তন আধিকারিকেরও। জানা গিয়েছে, বলরামপুর এবং আশপাশের নির্বাচনী এলাকায় রাজনৈতিক প্রচারের সময় কোটি কোটি টাকা ঢেলেছেন ছাঙ্গুর বাবা।

ED-র ১২টি দল প্রায় ১৩ ঘণ্টা তদন্ত করে জেনেছে যে ৭০ কামরার ওই বিলাসবহুল ভবনে ইলেকট্রিকের বেড়া, সিসিটিভি ক্যামেরা, মিনি পাওয়ার স্টেশন, উঁচু পাচিল দেওয়া ছিল। কিন্তু বিরাট এই জায়গা আদতে সরকারি একটি জায়গা, যা অবৈধভাবে অধিকার করা হয়েছে। ৯ই ও ১০ই জুলাই ওই ভবন সরকার বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়।

এছাড়া ওই ছাঙ্গুর বাবা এখনও পর্যন্ত ৪০ থেকে ৫০ বার বিভিন্ন ইসলামিক দেশ ভ্রমণ করেছে।

কীভাবে আসত ওই টাকা?

জানা গিয়েছে মূলত পাকিস্তান, সিরিয়া, তুরস্ক, আরব থেকে টাকা প্রথমে নেপালের ব্যাঙ্কে জমা হত।

এরপর নেপাল থেকে ওই টাকা হাওয়ালা, কুরিয়র নেটওয়ার্ক এবং নকল চ্যারিটি বা NGO-র মাধ্যমে ছাঙ্গুর বাবার কাছে এসে পৌঁছাত।

শুধু উত্তরপ্রদেশ নয় সারা দেশে চলছে এই ধরনের কার্যকলাপ। সম্প্রতি আগ্রায় এমনই একটি র‍্যাকেট ফাঁস করে গ্রেফতার করা হয়েছে দশজনকে। কিন্তু, এসব আসে না হেডলাইনে, হয় না খবর। এসব নিয়ে আওয়াজ তোলেন না সমাজকর্মীরা, কিংবা নামী সাংবাদিকরা। আর কতদিন এভাবে? প্রশ্নটা গুরুতর, উত্তর নেই। আপনাদের কী মনে হয়? জানাতে ভুলবেন না কমেন্ট বক্সে।

Leave a Comment