ব্রহ্মোস দিয়ে সজ্জিত, ১৬০ কিমি দূরের শত্রুকে সাফাই করবে দেশি মহাবলী

Tejas MK-1A

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারতের প্রতিরক্ষা খাতে এবার নতুন অধ্যায় যোগ হতে চলেছে। হ্যাঁ, ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের সাফল্যের পর এবার দেশীয় যুদ্ধবিমান প্রকল্পে নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সেই পথে এবার তেজস ফাইটার জেট প্রকল্পে পা বাড়াল ভারত, যা শুধুমাত্র দেশের নিরাপত্তার জন্য নয়, বরং শত্রুপক্ষের জন্য হতে পারে বড়সড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে Tejas MK-1A সংস্করণটি ভারতের প্রতিরক্ষা খাতের সংজ্ঞাকেই বদলে দেবে।

আগেভাগেই শত্রুকে চিহ্নিত করতে পারবে এই ফাইটার জেট

জানা যাচ্ছে, Tejas MK-1A-এ থাকবে EL/M-2052 AESA রাডার, যা কিনা 5m² RCS আকারের লক্ষ্যবস্তুকে প্রায় 150 থেকে 160 কিলোমিটার দূর থেকে শনাক্ত করতে পারবে। এমনকি 1m² RCS-এর মতো ছোট লক্ষ্যবস্তুকেও 110 থেকে 120 কিলোমিটার দূর থেকে সনাক্ত করতে পারবে। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের JF-17 Block III কিংবা চিনের J-10C জেটগুলি অনেক বেশি দৃশ্যমান। ফলত এটি শত্রুকে আগেভাগে দেখতে এবং আঘাত হানতে পারবে। পাশাপাশি নিজস্ব কম রাডার ক্রস সেকশন একে শত্রুদের কাছে অদৃশ্য করে তুলবে।

তবে শুধুমাত্র পরীক্ষামূলক নয়, বরং তেজসকে এখন সক্রিয়ভাবে ফ্রন্টলাইন ডিপ্লয়মেন্টে নিয়ে আসছে ভারতীয় বায়ুসেনা। হ্যাঁ, রাজস্থানের নাল, গুজরাটের নালিয়া কিংবা লাদাখের লেহতে তেজসের ড্রোন মোতায়নের প্রস্তুতিও চলছে। আর এ থেকেই স্পষ্ট হচ্ছে যে, মরুভূমি উপকূল কিংবা পাহাড়ি অঞ্চল, সব জায়গায় সমান ভাবে কার্যকর হবে এই দেশীয় যোদ্ধা। 

কী রয়েছে এর বিশেষ বিশেষত্ব?

উল্লেখ্য, Tejas MK-1A শুধুমাত্র কোনো যুদ্ধবিমান নয়, বরং এটি একটি মাল্টিরোল প্ল্যাটফর্ম। হ্যাঁ, এর অস্ত্রভান্ডারে রয়েছে বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ, যা অস্ট্রা এমকে-1 ক্ষেপণাস্ত্রকে 110 কিলোমিটার দূর থেকে সনাক্ত করতে পারবে। থাকছে উইদিন ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ, যা পাইথন-5 ও ASRAAM ক্ষেপণাস্ত্রকে 20 থেকে 25 কিলোমিটার দূর থেকে সনাক্ত করতে পারবে। এমনকি ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার রয়েছে, যা EL/M 8222 জ্যামিং পডকে শনাক্ত করতে পারবে। এক কথায় স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, আকাশযুদ্ধ থেকে শুরু করে শত্রুদের ঘাঁটিতে আঘাত, সব ক্ষেত্রেই তেজস একেবারে মোক্ষম সমাধান। 

আরও পড়ুনঃ পুজোর আগে হাওড়া, শিয়ালদা, আসানসোল থেকে স্পেশাল ট্রেন! রুট ও সূচি দিল পূর্ব রেল

গতি ও ক্ষমতা

জানলে চমকে উঠবেন, এই ফ্লাইট জেটের সর্বোচ্চ গতি Mach 1.6 পর্যন্ত। এমনকি এর পে-লোড রয়েছে 3500 কেজি। হ্যাঁ, ডিজিটাল ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেম এবং দ্রুত বাক নেওয়ার ক্ষমতা এই জেটটিকে আরো ভয়ঙ্কর পরিণত করছে। এমনকি 40%-এর বেশি কম্পোজিট মেটেরিয়াল ব্যবহার করতে পারছে এই ফ্লাইট জেট। তাই এটি ভারতের প্রতিরক্ষার জগতে পা রাখলে যে আমূল বদলে যাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Leave a Comment