India Hood Decode: BRICS-এর ভয়েই কি ট্যারিফ বাড়াচ্ছে আমেরিকা?

BRICS
BRICS

ট্যারিফ বাড়িয়ে দেবো! ডলার নিয়ে ছেলে খেলা করলে ২০০ শতাংশ ট্যারিফ চাপিয়ে দেবো! গত কয়েক দিন ধরেই, ব্রিকস দেশগুলিকে একের পর এক হুমকি দিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

দীর্ঘ ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ব রাজনীতিতে থাকলেও, ‘ব্রিকস’ শুধুমাত্র ঘোরাফেরা করেছে সংবাদ পত্রের পাতায় কিংবা ইতিহাস বইতে। কিন্তু, ২০২৫ সালে হঠাৎ করেই যেন পাল্টে গেল সব কিছু! যে ব্রিকস-কে এতদিন এতটা পাত্তা দেয়নি আমেরিকা, আজ হঠাৎ করেই সে হয়ে উঠল ট্রাম্পের মাথা ব্যাথার মূল কারণ। যে ব্রিকস দেশগুলি নিয়ে এতদিন কোন সমস্যা হয়নি, আজ হঠাৎ করেই তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে চড়া শুল্ক চাপানোর হুমকি। হঠাৎ করেই বিশ্ব বাজারে আমেরিকার বিকল্প বলা হচ্ছে ব্রিকস-কে! কী এমন করল ব্রিকস, যার ফলে ভয়ে কাঁপতে শুরু করেছে আমেরিকা?

কিন্তু, তার আগে আমাদের জানতে হবে ব্রিকস কী? কারা চালায় এই ব্রিকস? এদের কাজই বা কী? কীভাবে পশ্চিমী দেশগুলিকে পাত্তা না দিয়ে মাথা চাড়া দিচ্ছে ব্রিকস?

BRICS

সালটা ১৯৭৫। নিজেদের উন্নতির লক্ষ্যে, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, ইংল্যান্ড, এবং আমেরিকা একত্রিত হয়ে তৈরি হয় সংস্থা অফ সেভেন অর্থাৎ G7। এরপর থেকেই বহু বছর ধরে এই পশ্চিমী দেশগুলি সারা বিশ্বে নিজেদের আধিপত্য জমাতে শুরু করে। নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্যের মতো বড় প্রতিষ্ঠানগুলিকে। শুধু তাইই নয়, তারা *বহুবার *বহুক্ষেত্রে বঞ্চিত করে ভারত, চীন, রাশিয়ার মতো উন্নয়নশীল দেশগুলিকে।

কিন্তু এরপর আসে ২০০৯ সাল। পশ্চিমী দেশগুলির জারিজুরি বন্ধ করার লক্ষ্যে একত্রিত হয় রাশিয়া, ভারত, চীন, ও ব্রাজিল। রাশিয়ার তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের আহ্বানে বাকি তিনটি দেশ একটি সম্মেলনে যোগ দেয়। এরপর ওই বছরের ১৬ই জুন তৈরি হয় এক নতুন সংস্থা। নাম হয় BRIC।

*Brazil, *Russia, *India, *China – চারটি দেশের নামের প্রথম অক্ষর দিয়েই ঠিক করা হয় এই সংস্থার নাম।

এরপর সালটা ২০১০। চীনের আহ্বানে এই সংস্থায় যোগ দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। South Africa-র নামের প্রথম অক্ষর যোগ হয়ে, সংস্থার নতুন নাম হয় BRICS।

এরপর সালটা ২০২৩। ব্রিকস সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ছয়টি দেশকে সদস্য হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। যাদের মধ্যে ছিল *আর্জেন্টিনা, *মিশর, *ইথিওপিয়া, *ইরান, *সৌদি আরব এবং *সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। তবে আর্জেন্টিনা ছাড়া সকলেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। এরপর ২০২৪ সালে এই সংস্থায় যোগ দেয় ইন্দোনেশিয়া।

এছাড়া বেশ কিছু দেশ, এই সংস্থার সরাসরি সদস্য না হলেও, তারা এই সংস্থার অবজার্ভার পার্টনার স্টেট হিসাবে যুক্ত হয়। যাদের মধ্যে রয়েছে মালয়েশিয়া, কাজাখাস্তান, নাইজেরিয়া, ভিয়েতনাম সহ আরও অনেক দেশ।

ধীরে ধীরে BRICS প্রচুর দেশের সমর্থন পেতে থাকে। ফলত এই সংস্থা অলিখিতভাবে G7-এর প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠে।

BRICS-এর লক্ষ্য

এই গ্রুপের মূল লক্ষ্য – সদস্য দেশগুলির অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক নীতিগুলির সমন্বয় সাধন করা, নতুন আর্থিক প্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করা, এবং মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরতা হ্রাস করা।

বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করার লক্ষ্যে তারা বিশ্বব্যাংকের একটি বিকল্প ব্যাঙ্ক তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। যার ফলস্বরুপ ২০১৪ সালে ওই সংস্থা NDB অর্থাৎ নিউ ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্ক এবং কণ্টিনজেন্ট রিজার্ভ অ্যারেঞ্জমেন্ট তৈরি করে।

বার্ষিক সম্মেলন ও ২০২৫

২০০৯ সাল, অর্থাৎ আবির্ভাবের বছর থেকে প্রতি বছর একবার করে এই গ্রুপের সম্মেলন হয়।

এই বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে BRICS-এর ১৭ তম সম্মেলনটি ব্রাজিলের রিও-ডি-জেনেইরো-তে ৬ ও ৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বছর ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেয়নি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। তবে, সেখানে উপস্থিত ছিলেন  ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এবারের ব্রিকস সম্মেলনে, প্রধানমন্ত্রী মোদী বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে কথা বলেন, যার মধ্যে নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার এবং আতঙ্কবাদ সম্পর্কে নিন্দা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। এছাড়া, ওই সম্মেলনে আমেরিকার নাম না করে শুল্ক বৃদ্ধি প্রসঙ্গেও তিনি বার্তা দিয়ে জানান, নির্বিচারে শুল্ক বৃদ্ধি বিশ্ব বাণিজ্যকে আরও পিছিয়ে দেবে।

BRICS নিয়ে আমেরিকার হুঙ্কার

৬ ও ৭ জুলাই ব্রিকস সম্মেলন শেষ হওয়ার পরেই, ৮ জুলাই একটি সংবাদ সম্মেলন করেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই সম্মেলনে তিনি জানান, যারা আমেরিকা বিরোধী ব্রিকস নীতি মানবে তাদের দিতে হবে অতিরিক্ত ট্যাক্স। তাদের ওপর শীঘ্রই লাগু হবে ১০%-এর ইমপোর্ট শুল্ক। শুধু তাই নয়, তিনি আরও একধাপ এগিয়ে জানান, ব্রিকস যদি ডলারের পরিবর্তে নিজস্ব মুদ্রা বা বিকল্প অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলে, তবে শুল্ক বসতে পার ১৫০ থেকে ২০০ শতাংশ।

শুধু তাই নয়, ২০২৫ সালের BRICS সম্মেলন শেষ হওয়ার পরেই, ব্রাজিলের ওপর আমেরিকা একাধিক অভিযোগ তোলে। প্রথম অভিযোগ অনুযায়ী, আমেরিকা থেকে ব্রাজিলে যথেষ্ট পণ্য রফতানি করা হলেও, ব্রাজিল থেকে আমেরিকায় যথেষ্ট পণ্য রফতানি হচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, ব্রাজিলের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় বিচারপ্রক্রিয়া চালানোর অভিযোগ আনা হয়। যার পর আমেরিকা একাধাক্কায় ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপায় ব্রাজিলে ওপর।

এই বিষয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট-ও জানান, “BRICS‑এর নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ক্ষুন্ন হচ্ছে।”

BRICS-এর প্রতি আমেরিকার রাগ, ভয়, নাকি বিদ্বেষ?

হোয়াইট হাউসে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমেরিকার ক্ষতি করার উদ্দেশ্য নিয়েই তৈরি হয়েছে ব্রিকস। আমাদের ক্ষতির পাশাপাশি, ডলারের অবক্ষয় ঘটানোর জন্যই তৈরি হয়েছে ব্রিকস। কিন্তু, ব্রিকস-এর প্রতি কেন এত রাগ আমেরিকার? নাকি ভয়? নাকি বিদ্বেষ? চলুন জেনে নেওয়া যাক বিশেষ কারণগুলি –

প্রথমত, BRICS, ডলারের বিকল্প হিসাবে নিজস্ব মুদ্রা চালু করার চেষ্টা করছে। যার ফলে আন্তর্জাতিক বাজার কিংবা লেনদেনের ক্ষেত্রে ডলারের চাহিদা কমে যেতে পারে। যার ফলে বিশ্ববাজারের আর্থিক নিয়ন্ত্রণ চলে যেতে পারে আমেরিকার মুঠো থেকে। কমতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক প্রভাবও। এই বিষয়টা, আমেরিকা, বলা ভালো ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাথা ব্যাথার মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ ট্রাম্পের আগে বাইডেন সহ আর কোনও মার্কিন রাষ্ট্রপতি এই বিষয়ে এতটা গুরুত্ব দেয়নি বা আমেরিকার জন্য ক্ষতি হিসাবে দেখেনি।

দ্বিতীয়ত, BRICS-এর সম্প্রসারণ। একদিকে BRICS, যেখানে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলি রয়েছে, অন্যদিকে G7, সেখানে রয়েছে উন্নত দেশগুলি। কিন্তু,, তাত্ত্বিকভাবে পরিসংখ্যানটা একদমই  আলাদা। সে পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, BRICS, G7-এর তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে এবং সারা বিশ্বে এর গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি। কারণ –

  • মূলত ৫টি সদস্য দেশকে নিয়ে গঠিত BRICS, অন্যদিকে মূলত ৭টি দেশকে নিয়ে গঠিত G7। কিন্তু, ওই ৫টি দেশের সম্মিলিত আয়তন প্রায় ৯৮১ কোটি একর, কিন্তু অন্যদিকে G7 দেশগুলির সম্মিলিত আকার ৫৩৭ কোটি একর।
  • জনগণের দিক থেকে BRICS সদস্য দেশগুলির সম্মিলিত জনসংখ্যা ৩.৩ বিলিয়ন, এবং G7-এর মাত্র ০.৮ বিলিয়ন।
  • একদিকে BRICS-এর জিডিপি গ্রোথ রেট ৪ থেকে ৫ শতাংশ। অন্যদিকে, G7-এর জিডিপি গ্রোথ রেট মাত্র দেড় থেকে দুই শতাংশ।
  • তবে, আবার অন্যদিকে এক্সপোর্ট, ইম্পোর্ট এবং নিরাপত্তা খরচের দিক দিয়ে BRICS দেশগুলিকে অনেকটাই পিছনে ফেলেছে G7 দেশগুলি।
  • তবে, BRICS-এ সম্প্রতি ইরান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহী সদস্য হওয়ার ফলে, বর্তমানে ব্রিকস দেশগুলি বিশ্বের প্রায় ৪৪% অপরিশোধিত তেল উৎপাদন করে ।

তৃতীয়ত, BRICS সম্প্রসারণের ফলে অনেকেই মনে করেন চীন ও রাশিয়ার নেতৃত্বে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিশ্বব্যবস্থার বিকল্প তৈরি হচ্ছে। তবে, অনেকেই আবার এই যুক্তিকে খণ্ডন করে দিয়ে জানিয়েছে, নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার দীর্ঘ দিন ধরেই মুখে মুখে চলে আসছে, তবে তা বাস্তবে কার্যকর হওয়া মুশকিল।

চতুর্থত, BRICS-এর সদস্যদের মধ্যে ইরানও রয়েছে। আমেরিকার সাথে ইরানের সম্পর্ক গত কয়েক দশক ধরেই তলানিতে ঠেকেছে। এমনকি গত মাসে, ইজারায়েলের সাথে ইরানের সংঘর্ষ চলাকালীন ইরানের পারমাণবিক ঘাঁটিতে আঘাত হানার কথা সামনে আনেন ট্রাম্প। যার ফলে আমেরিকার কিছু বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। যে কারণে ইরানের প্রতি আমেরিকার বিদ্বেষ, কিছুটা হলেই BRICS-এর প্রতি আমেরিকার বিদ্বেষে ঘি ঢালার কাজ করেছে।

আমেরিকা কী আদেও BRICS-কে প্যাঁচে ফেলতে পারবে?

ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর থেকেই শুল্ক নীতি প্রয়োগ করে চলেছে বিভিন্ন দেশের ওপর। BRICS দেশগুলিকেও দিয়ে চলেছে বিভিন্ন সতর্কতা। যার ফলে বর্তমানে BRICS দেশগুলি নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াচ্ছে। পাশাপাশি ডলারের নির্ভরতা কমিয়ে BRICS Pay বা জাতীয় কারেন্সি দিয়ে লেনদেন সম্পন্ন করছে। যেমন, ভারত এখন ডলারের পরিবর্তে ‘রুপি’ দিয়ে তেল কিনছে। চীন, ইউয়ান দিয়ে তেল কিনছে।

অন্যদিকে, আগে ভারত ছিল মূলত আমদানীকারক দেশ, কিন্তু এখন তা পরিণত হয়েছে রপ্তানিকারক দেশে। যার ফলে অন্যান্য দেশের সাথে বাণিজ্যে ভারত নিজেদের একটি অবস্থান তৈরি করেছে। আমেরিকার শুল্ক নীতির পর, ভারত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য হাত বাড়িয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন বাজারে। চীনও একই ভাবে আমেরিকার ওপর নির্ভরশীলতা কমাচ্ছে।

ট্রাম্পের শুল্ক নীতিতে ভয় না পেয়ে, আমেরিকার ওপর পাল্টা শুল্ক নীতি প্রয়োগ করছে BRICS দেশগুলি, বিশেষ করে ভারত ও চীন। উদাহরণস্বরূপ, ২০১৮ ও ১৯ সালে, ট্রাম্প, ভারতের GSP অর্থাৎ বিভিন্ন শুল্ক সুযোগ-সুবিধা বাতিল করে। এরপর ভারতও ২৮টি মার্কিন পণ্যে ১০-২০% শুল্ক বসায়। যার ফলে আমেরিকা লাভের তুলনায় লোকসানের সম্মুখীন হয়।

অনেকে মনে করেন যে একটি একক দেশকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ, কিন্তু কোন সংস্থা বা জোটকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।

BRICS-এর অন্যতম সদস্য ভারত, অন্যদিকে Quad ও I2U2-এর মতো পশ্চিমাপন্থী জোটেও আছে, যার ফলে ভারতের সাথে চাইলেও সম্পর্ক খারাপ করতে পারছে না আমেরিকা।

এছাড়া, WTO, EU, G20-র পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক ব্যবসায়ী সংগঠন ট্রাম্পের শুল্কনীতির বিরোধিতা করে সেটিকে একতরফা এবং আত্মঘাতী আখ্যা দিয়েছে। এছাড়া, বিভিন্ন রিপোর্ট জানাচ্ছে, শুল্ক বাড়ালে অনেক সময় আমেরিকান ভোক্তা ও উৎপাদক উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বিঘ্নিত হয় সরবারহ বা সাপ্লাই চেন, দেখা যায় মূল্য বৃদ্ধি।

BRICS শেষ হওয়ার পর ব্রাজিলও এবার আমেরিকার ওপর পাল্টা শুল্ক চাপানোর কথা বলেছে।

বর্তমান পরিস্থিতি

ট্রাম্পের শুল্ক নীতি আরোপের ঘোষণা হতেই, ভারত সহ BRICS-এর অন্যান্য দেশ ডলারের বিকল্প এবং আমেরিকার শক্তি খর্ব না করার কথা জানিয়েছে। যার মধ্যে  ভারতের বিদেশ মন্ত্রী জয় শঙ্কর জানিয়েছেন, “ভারত, ডলারের থেকে মুখ ঘরাচ্ছে না।”

ভারতের বিদেশমন্ত্রীর এমন বক্তব্য, এবং পুতিন ও জিন পিং-এর সাম্প্রতিক BRICS সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার কথা তুলে, ট্রাম্প জানান, “আমি BRICS ভেঙে দিলাম।“

কিন্তু একথা নিরদ্বিধায় বলা যায় যে, ভারতসহ BRICS-এর দেশগুলি ২১ শতকে দাঁড়িয়ে আমেরিকার ভরসায় চলে না।

তবে, সত্যিই কি ডি-ডলারাইজেশন হবে? নাকি বজায় থাকবে আমেরিকার কর্তৃত্ব? BRICS কী আদেও নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে সচেষ্ট হবে? উত্তর এখনও স্পষ্ট নয়, বরং তর্কের বিষয়। আপনাদের কী মনে হয়? জানাতে ভুলবেন না কমেন্টে।

Leave a Comment