বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: স্বাধীনতা দিবসের দিনই জীবনে এক নতুন বাঁক। দীর্ঘ অভাব অনটন কাটিয়ে গত 15 আগস্ট লটারিতে কোটি টাকা জিতেছেন জলপাইগুড়ির মাল ব্লকের তারঘেরা চা বাগানের শ্রমিক দম্পতি অশোক ওড়াও এবং কবিতা ওড়াও। জানা যাচ্ছে, 60 টাকার লটারিতেই দারিদ্রতা ঘুঁচেছে ওই শ্রমিক দম্পতির। দুই দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের লক্ষ্মী লাভের ঘটনায় উচ্ছ্বসিত পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষও।
জীবনের প্রথম টিকিটেই খুলে গেল ভাগ্য
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন স্থানীয় এক লটারির দোকান থেকে 60 টাকা দিয়ে একটি লটারির টিকিট কিনেছিলেন পেশায় চা শ্রমিক অশোক। তারপরই আসে সুখবর। ওই শ্রমিক দম্পতি জানতে পারেন তাঁদের লটারির টিকিটে 1 কোটি টাকা লেগেছে।
প্রথমে, স্বাভাবিকভাবেই কথাটা শুনে বিশ্বাস হয়নি তাঁদের। তবে পরে যখন গোটা বিষয়টি খোলসা হয়, বুঝতে পারেন আর অভাবের সংসারে বাস করতে হবে না। কিন্তু সবচেয়ে অবাক করা বিষয়, অশোক ওড়াও এর আগে কোনও দিনই লটারির টিকিট কাটেননি। স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন অর্থাৎ গত 14 আগস্ট বিকেলে মনের আনন্দে ভাগ্য পরীক্ষা করে দেখতে ওই লটারির টিকিটটি কেটেছিলেন তিনি। আর তাতেই কোটিপতি হয়ে গেলেন অশোক।
অশোক গ্রামের প্রথম লটারি বিজেতা
চা বাগানের শ্রমিক অশোক ওড়াও লটারিতে কোটি টাকা জিতেছে জানতে পেরেই আনন্দে আত্মহারা তাঁর পরিবার থেকে শুরু করে পাড়া প্রতিবেশী এমনকি পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষজন। প্রতিবেশীর লটারি জয় প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অশোকের গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, আমাদের গ্রামে এর আগে কেউই লটারি জেতেনি। অশোকই প্রথম। তাও আবার 1 কোটি টাকা! তাই তাঁরা সকলেই আনন্দিত।
অবশ্যই পড়ুন: লাগাতার হারের জের, বাবর-রিজওয়ানদের বেতনে কোপ বসাতে পারে PCB
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন সৎ পথে কঠোর পরিশ্রম করে পরিবারের মুখে হাসি যুগিয়েছেন অশোক এবং তাঁর স্ত্রী। হয়তো সেই সততার পুরস্কার হিসেবে লটারিতে কোটি টাকা মিলিয়ে দিয়েছে ভগবান, এমনটাই মনে করছেন লটারি বিজেতা অশোকের পাড়া-প্রতিবেশী থেকে শুরু করে বন্ধু মহল। এখন অন্যান্য সকলের মতোই লটারিতে পাওয়া অর্থ দিয়ে জীবনের দুঃখ দুর্দশা কাটিয়ে পরিবারকে নিয়ে সুখে শান্তিতে ঘর করতে চান অশোক। একই মত স্ত্রী কবিতারও।