সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বিহারের ভোটার তালিকায় বিশেষ এবং নিবিড় সংশোধন নিয়ে দেশ জুড়ে এখন আলোচনা শিরোনামে। সেই সূত্র ধরে পশ্চিমবঙ্গের এসআইআর (West Bengal SIR) প্রসঙ্গ উঠল নির্বাচন কমিশনের সাংবাদিক বৈঠকে। তবে রবিবার দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার পশ্চিমবঙ্গের এসআইআর প্রসঙ্গ নিয়ে সাফ জানিয়ে দিলেন। কবে শুরু হচ্ছে এসআইআর?
কীভাবে হয় ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া?
উল্লেখ্য, জ্ঞানেশ কুমার আজ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রথমে রাজনৈতিক দলগুলির বুথ লেভেল এজেন্টরা একটি খসড়া ভোটার তালিকা তৈরি করবে। এরপর ত্রুটি সংশোধনের জন্য সাধারণ ভোটার এবং রাজনৈতিক দল, দুই পক্ষই আবেদন করতে পারবে। আর এই আবেদন যাচাই করবে সংশ্লিষ্ট এলাকার এসডিএম। তারপর খসড়া এবং চূড়ান্ত তালিকা রাজনৈতিক দলগুলির কাছে দেওয়া হবে। এরপরেও যদি ভুল থাকে, তাহলে জেলা শাসক এবং প্রয়োজনে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানানো যাবে।
কেন দরকার এই এসআইআর?
উল্লেখ্য, প্রতি বছর যে নিয়মিত সংশোধন হয়, তা অনেকটা র্যান্ডম ভিত্তিতেই করা হয় বলে জানিয়েছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। আর তাতে অনেক ভুল বা গাফিলতি থাকে। তবে এসআইআর-এ ভোটার তালিকায় পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই করা হয়। তার কথায়, এখনো পর্যন্ত দেশে দশবারের বেশি এসআইআর হয়েছে। আর ভোটার তালিকাকে আরো নির্ভুল করার জন্য এই প্রক্রিয়া সত্যিই প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, ভোটার তালিকায় বিদেশীদের নাম ওঠা নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে কড়া মন্তব্য করেছিলেন জ্ঞানেশ কুমার। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিক বিধায়ক কিংবা সংসদ নির্বাচন করতে পারবে। নেপালি বা বাংলাদেশের নাগরিকদের নাম যদি কোনোভাবে তালিকায় থাকে, তাহলে তা যাচাই করেই বাদ দেওয়া হবে।
#WATCH | Delhi: Chief Election Commissioner Gyanesh Kumar says, “…The three Election Commissioners will decide when the exercise of SIR will be carried out in West Bengal or other states” pic.twitter.com/9oHLuw4r5H
— ANI (@ANI) August 17, 2025
ডুপ্লিকেট এপিক নম্বরে সমস্যা
এদিকে একই এপিক নম্বরে একাধিক নাম থাকার অভিযোগ উঠেছে সাম্প্রতিক সময়। আর সে নিয়েও সাফাই দিয়েছে মুখ্য নির্বাচন কমিশন। তিনি জানিয়েছেন, গত মার্চ মাসে প্রায় তিন লক্ষ লোকের একই এপিক নম্বর থাকার ঘটনা ধরা পড়েছিল। ইতিমধ্যে সেগুলোকে সংশোধন করা হয়েছে। কিন্তু অনেকে অন্য জেলায় কিংবা রাজ্যে স্থায়ীভাবে থাকার কারণে নতুন করে নাম তুললেও পুরনো ঠিকানার নাম বাদ দেয়নি।
আরও পড়ুনঃ সেপ্টেম্বর থেকে দেওয়া হবে সবুজ সাথীর সাইকেল, পুজোর আগেই লক্ষ্য পূরণের চেষ্টা নবান্নর
পশ্চিমবঙ্গে কবে হবে এসআইআর?
এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন যে, পশ্চিমবঙ্গে এই প্রক্রিয়া কবে চালু হবে? হ্যাঁ, আজকের বৈঠকে এই প্রসঙ্গ উঠেছিল। কবে শুরু হবে এসআইআর? তবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, এখনো পর্যন্ত নির্দিষ্ট তারিখ বলা যাচ্ছে না। সঠিক সময় আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।