চিটফান্ড উধাও হওয়ার পর শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ব্যবসা! মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

suvendu rajbhawan

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আবারো তুঙ্গে আলোচনা। সোমবার রাজভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি কটাক্ষ করেছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তার দাবি, ইচ্ছা করেই সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করা হচ্ছে। অথচ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জোরকদমে ভর্তি চলছে। ফলে বাংলা ছাত্র-ছাত্রীরা দিনের পর দিন পিছিয়ে পড়ছে।

জয়েন্টের ফলাফল আটকে কেন?

শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করছেন যে, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার তিন মাস পার হয়ে গেলেও সরকারি কলেজে এখনো ভর্তি শুরু হয়নি। পাশাপাশি এখনো পর্যন্ত রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়নি। আদালত জানিয়েছে যে, ফল প্রকাশে কোনো আইনি বাধা নেই, শুধুমাত্র রাজ্য সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

শুভেন্দু এর পেছনে দুটি কারণ দেখিয়েছে। প্রথমত ভোট ব্যাঙ্ক রাজনীতির জন্য 76টি মুসলিম সম্প্রদায়কে সম্প্রতি ওবিসি তালিকায় ঢোকানোর চেষ্টা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আর ভর্তি প্রক্রিয়াতে যাতে এই সম্প্রদায় কোনোভাবে বঞ্চিত না হয়, সেজন্য ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করা হচ্ছে।

চিটফান্ডের পর এবার শিক্ষা ব্যবস্থা

তবে চিটফান্ড নিয়ে সবথেকে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন আজ শুভেন্দু অধিকারী। হ্যাঁ, তিনি বলেছেন চিটফান্ড ব্যবসা ইডি-সিবিআই-এর চাপে ভেস্তে তো গিয়েছেই। তাই এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেই ব্যবসার হাতিয়ার গড়ে তুলেছেন। যত সরকারি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হবে, ততই তার ঘনিষ্ঠদের প্রাইভেট কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় বাড়বে। আর এজন্য হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসা গড়ে তুলতে পারবে মমতা।

আরও পড়ুনঃ লক্ষ্মীর ভান্ডারের থেকেও বেশি, পরিযায়ীদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্প নবান্নর! মাসে মিলবে ৫০০০ টাকা

এদিকে এই গোটা ঘটনা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে বলে বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করছেন। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, এই সপ্তাহের মধ্যে যদি জয়েন্টের ফল প্রকাশ এবং ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু না হয়, তাহলে আগামী সপ্তাহে বিকাশ ভবনের সামনে বিজেপি বিধায়করা ধর্নায় বসবে। এমনকি শুধুমাত্র বিধায়ক নয়, তাদের সঙ্গে অভিভাবক ও শিক্ষাবিদরাও পথে নাম্বে।

Leave a Comment