সহেলি মিত্র, কলকাতা: কথায় আছে, মেধা কখনো লুকিয়ে থাকতে পারে না। আর এই কথাটাই যেন প্রমাণ করে দিল আসানসোলের কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়। সে এখন একদম হীরের মতো জ্বলজ্বল করছে সমগ্র রাজ্যে। রাণীগঞ্জ কোলফিল্ডের কল্যাণ চট্টোপাধ্যায় এ বছর NEET UG 2025 পরীক্ষায় ভারতের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। আর এই কাজ করে কল্যাণ স্বাভাবিকভাবেই সমগ্র রাণীগঞ্জ এবং কোল ইন্ডিয়ার গৌরব বয়ে এনেছেন।
নিট পরীক্ষায় সারা ভারতে প্রথম বাংলার ছেলে
আসলে গল্পটা একটু ভিন্ন ছিল। গত জুন মাসে NEET-র রেজাল্ট প্রকাশ হয়েছিল। সেই সময় কোনও র্যাঙ্ক না এলেও রেজাল্ট রিভিউ করে সারা ভারতে NEET-এ প্রথম স্থান অধিকার করলেন আসানসোলের জেকে নগরের কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়। সোমবার সন্ধ্যায় এই খবর পাওয়ার সাথে সাথেই জে কে কোলিয়ারির নিউ মাইনসে অবস্থিত কল্যাণের বাড়িতে অভিনন্দন জানানোর পর্ব শুরু হয়। বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি কল্যাণের বাড়িতে পৌঁছে ছেলের সাফল্যের জন্য বাবা-মাকে অভিনন্দন জানান এবং মিষ্টি উপহার দেন। তিনি বলেন, কল্যাণের এই সাফল্য কেবল রাণীগঞ্জ কোলফিল্ডের জন্য নয়, সমগ্র কোল ইন্ডিয়ার জন্য গর্বের বিষয়। কল্যাণের প্রাপ্ত নম্বর ৭২০-এর মধ্যে ৬৮৬। পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও বায়োলজি তিনটি বিষয়েই ৯৯ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছেন কল্যাণ ।
আরও পড়ুনঃ ‘ব্রিটিশদের ভয়ে জার্মানি পালিয়েছিলেন নেতাজি!’ দাবি কেরলের পাঠ্যবইয়ে
ইতিমধ্যে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) থেকে চট্টোপাধ্যায় পরিবারকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে, যাতে এই সাফল্যের জন্য তাদের অভিনন্দন জানানো হয়েছে এবং জানানো হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৩০ আগস্ট কল্যাণের সাথে এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সাথে ৩১ আগস্ট ভার্চুয়ালি কথা বলবেন।
নিউরোসার্জেন হতে চায় কল্যাণ
কল্যাণ তার সাফল্যের জন্য তার বাবা, ইসিএল কর্মী ভৈরব চট্টোপাধ্যায়, মা রিঙ্কু চট্টোপাধ্যায় এবং তার শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সে বলে যে তিনি প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘন্টা পড়াশোনা করত। সে নিশ্চিত ছিল যে নিটে ভালো র্যাঙ্ক আসবে, কিন্তু সারা দেশে প্রথম স্থান অর্জন করতে পারবে সেটা হয়তো ভাবতে পারেনি কল্যাণ। সে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের নিয়মিত এবং ধারাবাহিকভাবে কঠোর পরিশ্রম করার, পরীক্ষার পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকার এবং তারা যা পড়ে তা পূর্ণ মনোযোগের সাথে পড়ার পরামর্শ দেন। তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে কল্যাণ বলেন যে তিনি দিল্লি এইমস-এ পড়তে চান এবং ভবিষ্যতে একজন নিউরোসার্জন হতে চান। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, “আগামী দিনে এমবিবিএস পড়ার পরে নিউরোসায়েন্সে এমডি করতে চাই । ভালো ডাক্তার হয়ে দেশের সেবা করতে চাই ।”