প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ফের তুলকালাম পরিস্থিতি সল্টলেকের করুণাময়ী চত্বরে! এসএসসির পর এবার দ্রুত নিয়োগের দাবিতে রাজপথে নামলেন ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণরা। কিন্তু মিছিল শুরু হওয়ার আগেই ধস্তাধস্তি পরিস্থিতি শুরু হল পুলিশের সঙ্গে। অসুস্থ হয়ে পড়লেন একাধিক আন্দোলনকারীরা। এমতাবস্থায় অসহায় বেকারত্বের জ্বালায় যাঁরা জ্বলছেন, তাঁদের উপরে পুলিশের এইরূপ অত্যাচার এবং শাসানি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে উঠছে রীতিমত একাধিক অভিযোগ।
ঘটনাটি কী?
রিপাবলিকের রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতার রাস্তায় ফের চাকরি আন্দোলনের উত্তাপ। নিয়োগের দাবিতে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার পথে নামলেন ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণরা। এদিন করুণাময়ী থেকে মিছিল শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু তাঁদের মিছিল শুরু হওয়ার আগেই শুরু হয়ে যায় পুলিশি বাঁধার তাণ্ডব। যার জেরে এবার সল্টলেকের করুণাময়ীতে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। টেনেহিঁচড়ে চাকরিপ্রার্থীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। কয়েক জনকে জোর করে পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়েছে বলেও অভিযোগ। ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী।
নিয়োগের দাবিতে উত্তাল শহর কলকাতা
এদিন ২০২২-এর টেট উত্তীর্ণরা পর্ষদ অভিযান করার উদ্দেশে পথে নামেন। তাঁদের মূল দাবি ছিল, শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ করা। করুণাময়ী মোড়ে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার হাতে নিয়ে অনেকেই আন্দোলনে নামেন। যার ফলে তীব্র যানজট তৈরি হয় করুণাময়ী মোড়ে। আটকে পড়ে বহু গাড়ি। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে বলে। কিন্তু তাঁরা রাজি হননি। এর পর জোর করে সরানোর চেষ্টা করলে তাঁরা প্রতিরোধ করেন। শুরু হয় দুই পক্ষের বচসা, ধস্তাধস্তি। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তাঁরা শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করছিলেন। কয়েক জন পুলিশ ভ্যানে তুলে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে নিয়োগের দাবিতে আবার উত্তাল শহর কলকাতা।
আরও পড়ুন: ‘রাজস্থানে মাসে ৭৫ হাজার কামাই, শ্রমশ্রী না দিয়ে কাজ দিন!’ পরিযায়ীর ভিডিও পোস্ট তরুণের
প্রসঙ্গত, বেনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ দীর্ঘদিন প্রাথমিক টেট নিতে পারেনি। পাঁচ বছর পরে ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর প্রাইমারি টেট হয়। পরীক্ষা দিয়েছিলেন লক্ষাধিক প্রার্থী। এমনকি পরীক্ষার ফলও প্রকাশও হয়। কিন্তু অভিযোগ, ফল প্রকাশের পরে এখনও ইন্টারভিউয়ের নোটিস দেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কেন ইন্টারভিউয়ের নোটিস দিতে পারল না রাজ্য সরকার তাই নিয়ে দাবি তোলা হলেও এখনও এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেনি রাজ্য সরকার।