বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: সম্প্রতি ফেডারেশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে শুভাশিস বসুর নাম করে মোহনবাগানের এক কর্মকর্তা দাবি করেছিলেন, ভারত বনাম বাংলাদেশ এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন শুভাশিস। যার কারণে এখনও পর্যন্ত মাঠে ফিরতে পারেননি তিনি। ওই বাগান কর্তার বক্তব্য ছিল, যতবার ফেডারেশন আমাদের ফুটবলার নিয়েছে, ততবারই তারা চোট নিয়ে ফিরেছে।
বাগান কর্তার এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবার কড়া জবাব দিল ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। সবুজ মেরুনকে একেবারে চিঠি দিয়ে ফেডারেশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ISL ফাইনালের সময় চোট পেয়েছিলেন শুভাশিস। ভারত বনাম বাংলাদেশের গত মার্চ মাসের ম্যাচে তিনি কোনও চোট পাননি।
মোহনবাগানকে কড়া চিঠি ফেডারেশনের
গত সোমবার মোহনবাগানের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা শুভাশিস বসুকে নিয়ে ফেডারেশনকে তোপ দেগেছিলেন। এবার সেই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সবুজ মেরুন শিবিরে চিঠি পাঠালো AIFF। ফেডারেশনের উপসচিব এম সত্যনারায়ণ বাগানকে দেওয়া চিঠিতে স্পষ্ট লিখেছেন, গত 25 মার্চ ভারত বনাম বাংলাদেশের এশিয়া কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে শুভাশিস বসু একেবারেই চোট পাননি।
তিনি নাকি ওই ম্যাচে 85 মিনিট খেলেছিলেন। এরপরই তাঁকে টেকনিক্যাল কারণের জন্য তুলে নেওয়া হয়। চিঠিতে আরও লেখা হয়, গত 3 ও 7 এপ্রিল ইন্ডিয়ান সুপার লিগের সেমিফাইনালের দুটো পর্বতেই বসু গোটা ম্যাচ খেলেছিলেন। এরপর 12 এপ্রিল ফাইনালে মোহনবাগানকে 90 মিনিটই দিয়েছিলেন তিনি। উনি 18 মে ভারতীয় শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। এই সময় দু একটা সেশনে অনুশীলন চলাকালীন ডান পায়ের কুঁচকিতে চোট লাগে তাঁর।
শুভাশিস বসু নিজেই নাকি বলেছিলেন, তিনি ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ফাইনাল খেলার সময় চোট পেয়েছিলেন। ওই চিঠিতে ফেডারেশনের দাবি, শুভাশিসের চোট নিয়ে জাতীয় শিবিরে কোনও বার্তা দেয়নি মোহনবাগান। বরং চিঠি বলছে, চোট পাওয়ার পর শুভাশিস নাকি বিশ্রামে চলে গিয়েছিলেন। দীর্ঘ একমাস বিশ্রাম পর্ব কাটিয়ে ফের জাতীয় শিবিরে যোগ দেন তিনি। আর এই সময়ের মধ্যে নাকি তাঁর রিহ্যাব বা মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়নি।
অবশ্যই পড়ুন: চড়, চুল ধরে টানা! হামলার পর আতঙ্কে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, এখন কেমন আছেন রেখা গুপ্তা?
সত্যনারায়ণ ওই চিঠিতে দাবি করেছেন, শুভাশিসকে প্রথমে দেখে মনে হচ্ছিল উনি সুস্থ। কিন্তু খেলোয়াড়ের শারীরিক অবস্থা নিয়ে বাড়তি ঝুঁকি নিতে চায়নি ফেডারেশন। তাই মেডিকেল টিমের পরামর্শে তাঁকে 5 জুন জাতীয় শিবির থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর আগে নাকি শুভাশিসের চিকিৎসা ও রিহাবের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।
শুধু তাই নয়, বসুকে জাতীয় শিবির থেকে ছেড়ে দেওয়ার পরও ক্লাবের তত্ত্বাবধানে রিহ্যাব চলাকালীন ফেডারেশনের চিকিৎসক দল তাঁর সাথে যোগাযোগ রেখেছিল। বলা চলে, এদিন সবুজ মেরুনকে চিঠি দিয়ে বাগান কর্তার যাবতীয় দাবি একেবারে নস্যাৎ করে দিয়েছিল AIFF। আর এতেই অনেকে বলছেন, শুভাশিসকে নিয়ে এবার কার্যত দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ল মোহনবাগান ও AIFF!