বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারতের উপর গায়ের জোর খাটাচ্ছে আমেরিকা! প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের খামখেয়ালি মনোভাবে শুল্ক নিয়ে চাপের মাঝেই ভারতও নিজেদের স্বার্থ বুঝে নিতে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে।
এদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধের মেজাজ ধরে রেখে চিন, ভারত এবং ইরান অক্ষ তৈরিতে ঘুঁটি নাড়ছে রাশিয়া। এমতাবস্থায়, আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাড়াবাড়ির মাঝেই বিরাট ঘোষণা করল ভারত বন্ধু রাশিয়া।
আসলে মার্কিন শাসককে বেকায়দায় ফেলে ভারতকে সাহায্য করতে ময়দানে নেমে পড়ল মস্কো। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ভ্লাদিমির পুতিনের দূত রোনাম বাবুশকিন ঘোষণা করে দিয়েছেন, আমেরিকা যদি শেষ পর্যন্ত ভারতীয় পণ্য কিনতে অস্বীকার করে, তবে দিল্লির জন্য নিজের বাজার খুলে দেবে মস্কো। পাশাপাশি ভারতকে অশোধিত তেল সহ নানান পণ্য সরবরাহ করবে রাশিয়া।
আমেরিকাকে সরাসরি আক্রমণ রাশিয়ার!
রাশিয়া থেকে তেল কেনার অপরাধে ভারতকে লক্ষ্যবস্তু করে চড়া শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প। এবার সেই ঘটনারই নিন্দা করে দিল্লির এক সাংবাদিক সম্মেলনে পুতিনের দূত বাবুশকিন বলে দেন, এই আমেরিকান চাপ একতরফা এবং অন্যায্য। এদিন আমেরিকাকে সরাসরি নিশানা এনে রাশিয়ার দূত বলেন, অর্থনীতিকে হাতিয়ার বানাচ্ছে আমেরিকা।
আমেরিকার হুঁশিয়ারি, বন্ধুরা নিষেধাজ্ঞা চাপায় না। এদিকে আমেরিকা নিজেই নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে, যার প্রভাবে ডলারের উপর ভরসা কমাচ্ছে। এরপরই তিনি জানান, ভারত এবং রাশিয়ার বন্ধুত্ব সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ভারতকে অশোধিত তেল পাঠানোর সব রকম ব্যবস্থা তৈরি রয়েছে রাশিয়ার।
এদিন ভারতের উপর আমেরিকার শুল্ককে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাশিয়ার ওই দূত জানিয়েছিলেন, আমেরিকা যদি ভারতের পণ্য না কেন, তাহলে বন্ধুর (ভারত) জন্য নিজের বাজার খুলে দেবে রাশিয়া। পাশাপাশি ভারতকে নিয়মিত তেলের যোগান দেওয়ার কথাও জানান বাবুশকিন।
অবশ্যই পড়ুন: এশিয়া কাপের দল থেকে কেন বাদ যশস্বী, শ্রেয়স? আসল কারণ জানালেন আগরকর
উল্লেখ্য, সদ্য ভারত সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠক সেরেছেন চিনের বিদেশ মন্ত্রী ওয়াং ই। মঙ্গলবার নয়া দিল্লিতে দুপক্ষের 24তম বৈঠকে সীমান্ত সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে 10টি বিষয় একমত হয়েছে ভারত এবং চিন। যা থেকে বোঝা যায় দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে।
এমতাবস্থায়, ভারতের উপর আমেরিকার গাজোয়ারি নিয়ে রাশিয়ান দূতের কড়া মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাঁদের বক্তব্য, আমেরিকার শুল্কযুদ্ধের অবহে ভারত-চিন-রাশিয়ার বন্ধুত্বের নব জোয়ার ডোনাল্ড ট্রাম্পের কপালে চিন্তার ভাজ অনেকটাই বাড়াবে।