সহেলি মিত্র, কলকাতা: রাতের দীঘায় (Digha) ঘটে গেল এক বড় ঘটনা। ব্যাগপত্তর গুছিয়ে রাতেই তড়িঘড়ি হোটেল থেকে বেরিয়ে পড়তে হল একের পর এক পর্যটককে। এর কারণ তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হল একের পর এক হোটেলে। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। এহেন ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে চারিদিকে। এই বিষয়ে আরও বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির অপর।
তালা ঝুলল দীঘার একের পর এক হোটেলে
রিপোর্ট অনুযায়ী, নির্ধারিত কর জমা না দেওয়ার কারণে দীঘার একের পরে হোটেলে প্রশাসনের তরফে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এখানে ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই হতবাক হয়ে গিয়েছেন দীঘার মতন সুন্দর জায়গায় ঘুরতে আসা একের পর এক পর্যটকরা। জানা গিয়েছে, দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের নির্ধারিত কর জমা না দেওয়ার কারণেই হোটেলগুলি বুধবার রাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়। রীতিমতো পর্যটকরা যখন হয়তো কেউ ঘুমোচ্ছিলেন কিংবা পরের দিন কোথায় ঘুরতে যাওয়া হবে, বা কেউ কেউ হয়তো যখন খাচ্ছিলেন তখনই তাঁদের হোটেল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর পর্যটকদের বের করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় একাধিক হোটেলে।
দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের নির্দেশিকা রয়েছে, হোটেলে আগত পর্যটক পিছু ১০ টাকা করে কর দেওয়ার। সেই করের টাকা না দেওয়ায় দিঘার কয়েকটি হোটেলে তালা ঝোলানো হয় বুধবার রাতেই। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিক ও পুলিশকর্তারা।
হতবাক পর্যটকরা
ওল্ড দিঘায় হোটেল শ্যাম সুন্দর আবাস, নয়নতারা হোটেল-সহ একাধিক হোটেল বন্ধ করে দেওয়া হয়। উন্নয়ন পর্ষদ কর্তৃপক্ষ জানান, পর্যটক পিছু যে কর জমা করতে হয়, সেই টাকা জমা না করায় নোটিস পাঠানো হয় পর্ষদের পক্ষ থেকে। তার পরেও কর জমা না করায় হোটেল বন্ধ করা হয়েছে। এদিকে এই বিষয়ে কিছু জানতেন না জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি। ঘটনাটির বিষয় জানতে পেরেই তিনি ফের হোটেলগুলি খোলার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুনঃ বুড়ো বয়সের লাঠি হবে পোস্ট অফিসের এই স্কিম, রিটায়ারমেন্টের পর মিলবে ৩৫ লাখ
জেলাশাসক পুর্নেন্দু মাজি জানান, ‘আমাকে না জানিয়েই দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ কর্তৃপক্ষ তালা ঝোলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আমি জানতে পেরে খুলে দিতে বলি। তালা খুলেও দেওয়া হয়েছে।’ দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এটা রাতে না করে সকালে করলে ভালো হতো। রাতে পর্যটকদের সমস্যায় ফেলানো হল।”