কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের বাংলাদেশি তকমা! বেধড়ক মারধরের অভিযোগ

Sealdah

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বেশ কিছুদিন ধরে ভিনরাজ্যে বাংলা বলায় পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলাদেশি তোপ দেগে অত্যাচারের অভিযোগ উঠে এসেছিল। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তুঙ্গে, এনিয়ে বেশ সোচ্চার হয়েছিল শাসকদল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিভিন্ন জেলায় ভাষা আন্দোলনের তোড়জোড়ও শুরু হয়েছিল। আর এসবের মাঝে এবার খাস কলকাতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ‘বাংলাদেশি’ বলে বেধড়ক মার দিল হিন্দিভাষী ব্যবসায়ীরা। উত্তেজনা তুঙ্গে শিয়ালদহে।

ঘটনাটি কী?

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কারমাইকেল হোস্টেলের একজন ছাত্র শিয়ালদহ ব্রিজের নীচের একটি মোবাইল সরঞ্জামের দোকান থেকে কিছু মোবাইলের সরঞ্জাম কিনতে গিয়েছিল। সেই সময় জিনিসটি কেনার সময় দোকানিদের সঙ্গে দর কষাকষি করতে করতে বচসা বাঁধে ওই ছাত্রের। বিক্রেতা হিন্দিভাষী হয়ে ওই পড়ুয়াকে গালিগালাজ করার পাশাপাশি ‘বাংলাদেশি’ বলে চড়াও হয়। এরপর হোস্টেলে ফিরে যান ওই ছাত্র। কিছুক্ষণ পর সে সহপাঠিদের নিয়ে ফের ওই দোকানে যান। তখনই অশান্তি চরম আকার নেয় এবং আশেপাশের হিন্দিভাষী ব্যবসায়ীরা ওই যুবকদের বাংলাদেশি তকমা দিয়ে বেধড়ক মারধর করে।

গুরুতর আহত পড়ুয়ারা

দোকানে জিনিস কেনাকে কেন্দ্র করে বচসা যখন তীব্র আকার ধারণ করে তখন অভিযোগ, আশেপাশের ব্যবসায়ীদের একাংশ ওই ছাত্র এবং সহপাঠীদের ওপর বেধড়ক মারধর করে। তাতেই গুরুতর আহত হন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন ছাত্র৷ দ্রুত তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এরপর চিকিৎসার পর রাতেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলে তাঁরা মুচিপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁদের দাবি ওই ব্যবসায়ীদের কাছে নাকি ধারাল অস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। সব মিলিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

আরও পড়ুন: ‘অন্য কাজেও যেতে পারি’, দমদমে মোদীর সভায় আমন্ত্রণ না পেয়ে অভিমানী দিলীপ ঘোষ

এদিকে এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত চলে যান বাংলা পক্ষের গর্গ চট্টোপাধ্যায়। তিনি পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি এই ঘটনার পূর্ণ প্রতিবাদ জানিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানান। যদিও পুলিশের তরফ থেকে এই ঘটনার তদন্ত সংক্রান্ত কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

Leave a Comment