বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: সম্প্রতি ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগ সতর্ক করেছিল, বাংলাদেশকে ঘাঁটি বানিয়ে ভারতের পূর্ব প্রান্তে সক্রিয় হতে চাইছে পাকিস্তান। গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ISI বাংলাদেশের বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠনগুলিকে ভারতের বিরুদ্ধে কাজে লাগাতে চাইছে!
আর সেই খবরের পরই তৎপর হয়েছিল নয়া দিল্লি। নজর রাখা হচ্ছে ওপার বাংলার ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডে! এমতাবস্থায়, এবার শোনা যাচ্ছে স্বয়ং পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির নাকি নীরবে ভারতের পূর্ব প্রান্তে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন। আর তাতে সহযোগিতা করছে খোদ ঢাকায় নিযুক্ত পাক হাইকমিশনার ইমরান হায়দার।
ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে কাজে লাগিয়ে বড় ছক পাকিস্তানের!
একটি বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে যে কাজ ISI কে দিয়ে চালাচ্ছিল পাকিস্তান। এবার তাতে হাত লাগিয়েছেন স্বয়ং পাক সেনাপ্রধান মুনির। জানা যাচ্ছে, ঢাকায় নিযুক্ত পাক হাই কমিশনেরকে কাজে লাগিয়ে গোপনে ভারতের পূর্ব প্রান্তে সক্রিয় হয়ে উঠছে পাকিস্তান। শুধু কি তাই? এও শোনা যাচ্ছে, বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে মুসলিম রাষ্ট্রগুলি বিশেষ কনফেডারেশন গঠনের তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে।
সূত্র বলছে, বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্কের বেহাল অবস্থা ও ওপার বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে জম্মু-কাশ্মীরে পাকিস্তান যে ছায়া যুদ্ধ চালিয়েছিল তা এবার ভারতের পূর্ব সীমান্তেও ছড়িয়ে দিতে চাইছেন আসিম মুনির। খোঁজ নিয়ে জানা, মুখে না বললেও তলে তলে পাক সেনা প্রধানকে সব রকম ভাবে সাহায্য করছে মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার!
ওই সূত্রটি দাবি করছে, বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতাকে হাতিয়ার করে মুসলিম রাষ্ট্রগুলিকে নিয়ে যে কনফেডারেশন তৈরির চেষ্টা চলছে তাতে আদতে কর্তৃত্ব ফলাবে পাকিস্তান! আর এই পরিকল্পনার আওতায় সামরিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রগুলিকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সূত্রের যা খবর, সবরকম পরিকল্পনাকে মাথায় রেখে ওপার বাংলার ভূখন্ডে পারমাণবিক তৎপরতাও বাড়াতে চাইছে পাকিস্তান।
আরও জানা যাচ্ছে, মুসলিম রাষ্ট্রগুলিকে নিয়ে পাকিস্তান যে কনফেডারেশন গঠনের পথে হেঁটেছে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নাকি পাকিস্তানের ISI, মালয়েশিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা MEIO এবং তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থা মিল্লি ইস্তিবারাত তেশকিলাতি একযোগে কাজ করছে। সে প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক আধিকারিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আগামী দিনে একটি বৃহৎ পারমাণবিক শক্তিধর মুসলিম ফেডারেশন আত্মপ্রকাশ করবে। যা ভারতের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে ওঠার পাশাপাশি গোটা বিশ্বের জন্যও ভয়ের কারণ হবে।
অবশ্যই পড়ুন: ৪৮ বলে ৮ ছয়, ৭ চারের সাহায্যে ১০৮ রান! এশিয়া কাপের আগেই তাণ্ডব রিঙ্কু সিংয়ের
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের একটি সূত্র দাবি করছে, ভারত-পাক সমস্যার মাঝেই ওপার বাংলায় গজিয়ে উঠেছে একাধিক ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী সংগঠন। এছাড়াও জামায়াতে ইসলামীর আশ্রয় প্রশ্রয়ে বেশ কিছু পুরনো জঙ্গি সংগঠনও ভারতীয় সীমান্তে সক্রিয় রয়েছে। ভারতীয় গোয়েন্দা আধিকারিকদের একটা বড় অংশের মতে, আগামী দিনে বাংলাদেশের এই জঙ্গি সংগঠনগুলিকে কাজে লাগিয়ে ভারতে বড়সড় নাশকতার ছক কষতে পারে পাকিস্তান!