প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অবশেষে সাড়ে ৩ মাসে তৃতীয়বার বঙ্গ সফরে আসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কলকাতায় ৩টি মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন তিনি। এদিকে সম্প্রসারিত মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধনে আমন্ত্রিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রাগ এবং অভিমানের কারণে উপস্থিত থাকছেন না তিনি। এমতাবস্থায় প্রধানমন্ত্রী কলকাতায় ঢোকার আধ ঘণ্টা আগে স্মৃতিতে ডুব দিলেন মমতা। সমাজমাধ্যমে মেট্রোর উদ্বোধন নিয়ে নস্টালজিক তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন তিনি।
স্মৃতিমেদুর মমতা
পশ্চিমবঙ্গে যেই সময় তিনি রেলমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় বাংলার উন্নয়নের খাতিরে একাধিক মেট্রো রুটের পরিকল্পনা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলতে গেলে থালা সাজিয়ে খাবার পরিবেশন করে রেখেছিলেন তিনি। এদিকে সেই কাজ আজ বাস্তবায়িত হলেও স্বপ্নের প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই এবার সেই নিয়ে ‘স্মৃতিমেদুর’ হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আজ একটু স্মৃতি-তাড়িত হতে দিন। ভারতের রেলমন্ত্রী হিসেবে, আমি মেট্রোপলিটন কলকাতায় মেট্রো রেলওয়ে করিডরের পরিকল্পনা এবং অনুমোদন করেছিলাম। নীলনকশা তৈরি করেছি। তহবিলের ব্যবস্থা করেছি। কাজ শুরু করেছি এবং নিশ্চিত করেছি যে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত (জোকা, গড়িয়া, বিমানবন্দর, সেক্টর ফাইভ) যাতে একটি আন্তঃনগর মেট্রো গ্রিডের মাধ্যমে সংযুক্ত হতে পারে।”
মেট্রোর জন্য সমস্ত পরিকল্পনা তৈরি ছিল মমতার
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রেলপথের রুটও বাস্তবসম্মতভাবে পরিবর্তন করে রূপায়ণের পথ প্রশস্ত করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ এই সব কাজের জন্য মেট্রো রেলওয়ের একটি পৃথক জোনও আমি কলকাতায় করি। সারা ভারতে সবমিলিয়ে ২০টি জোন ছিল, এটি অধিকন্তু নূতন হয়। ওয়ার্ল্ড ক্লাস স্টেশন তৈরীর ঘোষণাও ছিল আমার।”এরপর এই মেট্রো পরিকল্পনার কাজে রাজ্যের অবদানের কথাও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও লেখেন, “২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিসেবে আমি প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নে অংশ নেওয়ার অতিরিক্ত সুযোগ পেয়েছি। এমনকি রাজ্যের তরফে বিনামূল্যে জমি, রাস্তা তৈরি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।”
আরও পড়ুন: মানসিক ভারসাম্যহীন নাবালিকাকে ধর্ষণ, ৫ বছর পর বড় রায় পুরুলিয়া জেলা আদালতের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “মেট্রো রুট করার জন্য গৃহহারাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহায়তা নিশ্চিত করেছি। আমাদের মুখ্যসচিবরা নিয়মিত বৈঠকও করেছেন। রেলমন্ত্রী হিসেবে আমি যে পরিকল্পনা করেছিলাম, সেগুলির বাস্তবায়নেও আমি অংশগ্রহণ করেছি। সেক্ষেত্রে মেট্রো পরিকাঠামোর সম্প্রসারণ আমার জন্য একটি দীর্ঘ যাত্রা ছিল। আজ আমাকে কিছুটা নস্টালজিক হতে দিন।” অন্যদিকে আবার রাজ্য CPIM এর তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হয় যে, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডর আসলে পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের দূরদর্শিতার ফল।