এক বছরে ১ কোটির ব্যবসা! বাড়িতে ঠেকুয়া বানিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখাল দুই নাবালক

thekua business

সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ অদম্য জেদ এবং মনে সাহস থাকলে সবকিছু করাই যে সম্ভব তা প্রমাণ করল মাত্র ১৮-র দুই যুবক। এত কম বয়সে ১ কোটি টাকার ব্যবসা করে তাও কিনা ঠেকুয়ার (Thekua Business) সকলকে অবাক করে রেখে দিয়েছে। ১৮ বছর বয়সে বেশিরভাগ যুবক যখন কেরিয়ার গড়ার কথা ভাবে, আরও উচ্চ শিক্ষিত হওয়ার কথা ভাবে, তখন বিহারের দুই যুবক জয়ন্ত এবং কৈলাশ মাত্র এক বছরের মধ্যে প্রথাগত মিষ্টি ঠেকুয়া তৈরি করে ১ কোটি টাকার ব্র্যান্ড বানিয়ে ফেলেছে।

ঠেকুয়া বানিয়ে কোটি টাকার ব্যবসা দুই যুবকের

ঠেকুয়া বানিয়ে কোটি টাকার ব্যবসা দাঁড় করিয়ে ফেলেছে দুই কিশোর। তাঁরা নস্টালজিয়াকে রীতিমতো শুদ্ধ স্বাদে পরিণত করেছে। তাদের স্টার্টআপ ভুলে যাওয়া ভারতীয় স্ন্যাকস পুনর্জীবিত করছে। মন্দির, দোকান থেকে অনলাইন, সর্বত্র তাঁদের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে।

দুজনেই যেহেতু বিহারের, তাই ঠেকুয়া কীভাবে তৈরি হয় তা কৈলাস এবং জয়ন্ত দুজনেই দেখেছেন। বর্তমানে এই দুই যুবক প্রাচীন রেসিপিটিকে আধুনিক রূপ দিতে সিদ্ধান্ত নেয় যাতে আরও বেশি মানুষ এটি উপভোগ করতে পারে। তারা শুদ্ধ স্বাদ নামক তাদের ব্র্যান্ড চালু করে, যা পরিচ্ছন্ন এবং স্বাস্থ্যকর উৎপাদন, আধুনিক প্যাকেজিং এবং সাশ্রয়ী মূল্যে জোর দেয়। ব্র্যান্ড মার্কেটিং বাড়ানোর জন্য, তারা ইনস্টাগ্রাম এবং অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেছে যেখানে তাদের গল্প দ্রুত গ্রাহকদের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে।

ঠেকুয়া কী?

আপনার যদি কোনও বন্ধু বিহারের হয়, তাহলে আপনি অবশ্যই ঠেকুয়ার সাথে পরিচিত। আচ্ছা, আপনি যদি নাও হন, তাহলে আমরা আপনাকে এই বিষয়ে বলি। আসলে ঠেকুয়া একটি খুব নরম খাবার। যাকে আজকের ভাষায় নরম কুকিও বলা যেতে পারে। এই মুচমুচে খাবারটি গমের আটা, গুড়, ঘি এবং কিছু শুকনো ফলের মিশ্রণ দিয়ে তৈরি করা হয়। সাধারণত ছট পুজোর প্রসাদে এর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। কিন্তু আজকাল মানুষ এটিকে জলখাবার হিসেবেও খাওয়া শুরু করেছে।

আরও পড়ুনঃ হঠাৎ ফোনের ডায়াল প্যাডের ভোল বদল, কারণ কী? জানুন কী করবেন আর কী করবেন না

সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার তাদের একটি সাধারণ বাড়ির রেসিপি কীভাবে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে তা সত্যি উল্লেখ যোগ্য। সাধারণ মানুষের বাড়িতে তৈরি হওয়া জিনিসকে তাঁরা এখন ব্যবসায়ে পরিণত করতে সাহায্য করেছে। এই অনুপ্রেরণামূলক যাত্রা প্রমাণ করে যে ঐতিহ্যকে উদ্ভাবনের সঙ্গে মেশালে বিশাল সুযোগ তৈরি হতে পারে। যাইহোক, এখন কৈলাশ এবং জয়ন্তর কাহিনী সকলকে অনুপ্রাণিত করছে।

Leave a Comment