সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: আজ মুম্বাইয়ের সি-উইন্ড কফে প্যারাডে শিল্পপতি অনিল আম্বানির (Anil Ambani) বাসভবনে হানা দিয়েছে সিবিআই। হ্যাঁ, সকাল সাতটা নাগাদ সাত থেকে আটজন তদন্তকারী আধিকারিক সেখানে গিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে। আর ঘটনাস্থলে অনিল আম্বানি সপরিবারে উপস্থিত ছিলেন।
কোন অভিযোগে করা হল তদন্ত?
আসলে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তকারীদের এহেন পদক্ষেপ। ব্যাঙ্ক দাবি করছে, অনিল আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস লিমিটেডের মাধ্যমে প্রায় 3073 কোটি টাকার প্রতারণা করা হয়েছে। এসবিআই ইতিমধ্যেই অনিল আম্বানিকে ফ্রড হিসেবেও চিহ্নিত করেছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই দিল্লিতে সিবিআই নথিভুক্ত এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল।
ঠিক কী ঘটেছিল?
জানিয়ে রাখি, 2020 সালের নভেম্বর মাসে ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক প্রথমবার রিলায়েন্স কমিউনিকেশন লিমিটেডেকে স্ক্যামার হিসেবে উল্লেখ করেছিল। 2021 সালের জানুয়ারি মাসে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল। তবে দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশের কারণে তখন সেই অভিযোগ খারিজ হয়ে যায়।
🔴#BREAKING | CBI Raids Premises Linked To Anil Ambani In Rs 2,000 Crore Bank Fraud Case: Sources
NDTV’s @anushkagarg2000 joins @GaurieD with more details pic.twitter.com/s84VhwxbVY
— NDTV (@ndtv) August 23, 2025
এরপর 2023 সালের মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, কারো বিরুদ্ধে ফ্রড তকমা বসানোর আগে অবশ্যই তাকে নিজের বক্তব্য রাখার সুযোগ দিতে হবে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী, এসবিআই সাময়িকভাবে অভিযোগ প্রত্যাহার করেছিল। তবে 2024 সালে আবারো রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নতুন সার্কুলার অনুযায়ী এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। অবশেষে 2025 সালের জুন মাসে রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস লিমিটেড এবং অনিল আম্বানিকে ফের ফ্রড হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
পরিসংখ্যান কী বলছে?
এদিকে সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এসবিআই-এর মোট বকেয়া ঋণ প্রায় 2267,64 কোটি টাকা, যার সঙ্গে 2016 সাল থেকে সুদ যুক্ত হয়েছে। এর পাশাপাশি 786.52 কোটি টাকার ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি রয়েছে এবং সব মিলিয়ে শুধু এসবিআই-এর প্রতারণার অঙ্ক দাঁড়িয়েছে 3073 কোটি টাকা। জানলে ভিমড়ি খাবেন, আম্বানি গোষ্ঠীর মোট ঋণ জালিয়াতির পরিমাণ প্রায় 17,000 কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ হাসপাতালের বেডে শুয়ে ভিডিও বার্তা! এখন কেমন আছেন দেবাংশু? জানালেন নিজেই
একসময় দেশের শীর্ষ শিল্পপতিদের মধ্যে ছিলেন তিনি। তবে টেলিকম ব্যবসায় ধারাবাহিক লোকসান, বিরাট ঋণ এবং দেউলিয়া পরিস্থিতির কারণে তাঁর সাম্রাজ্য আস্তে আস্তে ভেঙে পড়েছে। বর্তমানে একাধিক ব্যাঙ্ক জালিয়াতি মামলার কারণে সিবিআই এবং ইডি-র নজরদারিতে রয়েছেন দেশের এই প্রাক্তন ধনকুবের।