বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: স্কুল-কলেজের থেকেও বেশি মসজিদ রয়েছে পাকিস্তানে। এমনটাই দাবি করছে, সেদেশের প্রথম অর্থনৈতিক আদমশুমারি রিপোর্ট। সংবাদ সংস্থা পিপিআইয়ের প্রতিবেদন বলছে, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক আদমশুমারি অনুযায়ী, 6 লক্ষের বেশি মসজিদ রয়েছে দেশটিতে। যেখানে ধর্মীয় মাদ্রাসার সংখ্যা মাত্র 36 হাজার। পাশাপাশি পাকিস্থানে কর্মসংস্থানের ঠিকানা অর্থাৎ কারখানার সংখ্যাও মাত্র 23 হাজার।
পাকিস্থানের আসল ছবি তুলে ধরল অর্থনৈতিক রিপোর্ট
সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানে হওয়া অর্থনৈতিক আদমশুমারির প্রধান উদ্দেশ্য হল অর্থনীতির কাঠামো এবং বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে একটি সম্পূর্ণ এবং বিশদ ছবি তুলে ধরা। এবার সেই উদ্দেশ্যেই পূরণ করেছে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক আদমশুমারির রিপোর্ট।
একাধিক পাক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, 2023 সালের হিসেবে, পাকিস্তানের মোট 4 কোটি স্থায়ী ইউনিট ছিল। যার মধ্যে প্রায় 72 লক্ষ কর্মসংস্থানের কাঠামো। সেইসব জায়গায় 25.4 লক্ষ পাকিস্তানি কাজ করছিলেন।
রিপোর্ট বলছে, এই বৃহৎ সংখ্যক কর্মীর মধ্যে একটা বড় অংশের কর্মী পরিষেবা খাতে নিযুক্ত। এরপরই রয়েছে সামাজিক খাত। যদিও খুচরো দোকান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং হাসপাতাল গুলিতে তুলনায় কম সংখ্যক কর্মী নিযুক্ত।
পাকিস্তানের অর্থনৈতিক আদমশুমারি রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশটিতে 6 লক্ষ 4 হাজার মসজিদ, 36 হাজার 331টি মাদ্রাসা, 2 লক্ষ 42 হাজারেরও বেশি স্কুল, 11 হাজার 568টি কলেজ, 214টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। সেই সাথে, হোটেল রয়েছে 2 লক্ষ 56 হাজার, খুচরো দোকান রয়েছে 27 লক্ষ এবং পাইকারি দোকান রয়েছে 1 লক্ষ 88 হাজার।
পাকিস্তানের এই অর্থনৈতিক রিপোর্ট এমন সময় প্রকাশে এসেছে যখন, 7 বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেলআউট প্যাকেজের দ্বিতীয় পর্যালোচলার জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে আলোচনা চলছে পাকিস্তানের, এমনটাই জানিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
অবশ্যই পড়ুন: AFC চ্যাম্পিয়নস লিগে মনবীর-শুভাশিসদের পাবে মোহনবাগান? রইল আপডেট
উল্লেখ্য, একাধিক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, পাকিস্তানের পাঞ্জাব এবং সিন্ধু প্রদেশ বিশেষ করে করাচি অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং কর্মীদের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। এরপর একে একে তালিকায় আসে খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বালুচিস্তান। এদিকে পাক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, দেশটির বেশিরভাগ ব্যবসা ক্ষুদ্র পরিসরে, আর সেখানেই সবচেয়ে কম সংখ্যক মানুষ কাজ করেন!