বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ফের চোরাপথে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, সীমান্তে এক বাংলাদেশী উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসারকে আটক করল BSF। জানা যায়, গতকাল অর্থাৎ শনিবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের উত্তর 24 পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার অন্তর্গত হাকিমপুর সীমান্ত থেকে ওই বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তাকে পাকড়াও করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
এরপরই তাঁকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ইন্ডিয়া টিভি রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই বাংলাদেশি পুলিশ অফিসার অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করছিলেন। তাঁর কাছ থেকে বেশকিছু নথিপত্র উদ্ধার করেছেন বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের সদস্যরা।
কেন ভারতে প্রবেশের চেষ্টা?
রিপোর্ট অনুযায়ী, শনিবার হাকিমপুর সীমান্ত থেকে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ওই বাংলাদেশি পুলিশ অফিসারের থেকে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় নথি এবং পরিচয় পত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যায় ওই ব্যক্তি হাকিমপুর সীমান্তের কাছে ঘোরাঘুরি করছিলেন। ঠিক সেই সময়ে BSF তাঁকে পাকড়াও করে।
আটককৃত ব্যক্তির কাছ থেকে পাওয়া পরিচয় পত্র অনুযায়ী, তিনি বাংলাদেশ পুলিশের একজন বড় মাপের কর্মকর্তা। জানা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তির নাম আরিফুজ্জামান। তিনি বাংলাদেশের রংপুর মেট্রোপলিটানে কর্মরত ছিলেন। বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শেখ হাসিনা ভারতে চলে আসার পর ওই পুলিশ কর্মকর্তা বাংলাদেশের সাতক্ষীরা সীমান্তে পালিয়ে এসেছিলেন।
পরে বেশ কয়েকবার কাঁটা তার বিহীন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। শেষমেষ ধরা পড়লেন হাতেনাতে। ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তিকে স্বরূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তি ঠিক কোন কারণে ভারতে আসছিলেন সে তথ্য এখনও পর্যন্ত অধরা।
অবশ্যই পড়ুন: রাজ্য খাদ্য দপ্তরের এক সিদ্ধান্তেই বেকার বাংলার বহু কর্মচারী! সংসার বাঁচাতে কাতর আর্জি
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে গিয়ে BSF এর হাতে ধরা পড়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। বেশ কিছুদিন আগে পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার তেহট্টে সাধুর ছদ্মবেশে এক বাংলাদেশী দুষ্কৃতিকে যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছিল এসটিএফ এবং স্থানীয় পুলিশ কর্মীরা। জানা যায়, ধৃতের নাম মহম্মদ হাসেম মল্লিক ওরফে হাসেম আলি মল্লিক। 60 বছর বয়সী ওই ব্যক্তি নাকি বাংলাদেশের আইনি জটিলতা থেকে বাঁচতে ভারতে পালিয়ে এসেছিলেন।