সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ঠাকুরনগরের মতুয়া ঠাকুরবাড়ির ভিতরের রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবার আলোচনার শিরোনামে। বনগাঁর সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর এবং গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর (Shantanu vs Subrata Thakur), এই দুই ভাইয়ের মধ্যে সংঘাত নিয়ে এবার তোলপাড় গেরুয়া শিবির। এমনকি তাদের পরিবারের মধ্যেও মতৈক্য স্পষ্টভাবে উঠে আসছে। কিন্তু কী নিয়ে এই টানাপোড়েন?
নাট মন্দিরকে ঘিরেই দ্বন্দ্ব
রিপোর্ট অনুযায়ী, ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ির নাট মন্দিরকে ঘিরেই সম্প্রতি সিএএ-র সহযোগিতা শিবির চালু হয়েছে। আর এখানে মতুয়া সমাজের উদ্বাস্তু মানুষদের আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পাশাপাশি পরিচয়পত্র সংক্রান্ত শংসাপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মূলত শান্তনু ঠাকুরের উদ্যোগেই এই শিবির চালু করা হয়েছে।
তবে এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন তার দাদা সুব্রত ঠাকুর। তিনি দাবি করছেন, নাট মন্দির মূলত ভক্ত এবং পূজার জায়গা। সেখানে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি হওয়া উচিত নয়। এমনকি তাঁর অভিযোগ, শান্তনু নাকি সেখানে গিয়ে ভক্তদের ভয় দেখায়। আর এ বিষয়ে মমতাবালা ঠাকুরও সুব্রত ঠাকুরের পাশে দাঁড়ান।
এদিকে এই ঘটনার পর মতুয়া গোষ্ঠীর প্রধান সেবায়েত এবং পরিবারের কর্মকর্তা মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর ছোট ছেলে শান্তনুর পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, নাট মন্দির শিবির করার অনুমতি তাঁর পক্ষ থেকেই দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন, পরিবারের মধ্যেই আলোচনা করে সমাধান করা যেত। তা না করে বাইরে এনে অশান্তি ছড়ানো হচ্ছে।
অন্যদিকে তাঁর মা ছবিরানী ঠাকুর বড় ছেলে সুব্রতর পাশে দাঁড়িয়েছেন। সুব্রত স্পষ্ট বলেছেন যে, পরিবার আমার কাছে আগে, তারপর ধর্ম, তারপর রাজনীতি। ফলে বাবা আর শান্তনু ঠাকুর একদিকে, আর মা এবং সুব্রত ঠাকুর অন্যদিকে। এরকমই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে ঠাকুরবাড়ির অন্দরে।
আরও পড়ুনঃ ২০২৫ সালে মা দুর্গার আগমন ও গমন কীসে? শুভ নাকি অশুভ সংকেত, জেনে নিন
শান্তনুর পাল্টা অভিযোগ
এদিকে শান্তনু ঠাকুর দাবী করছে, নাট মন্দিরে কোনোরকম রাজনৈতিক কর্মসূচি হয়নি, বরং সরকারি কাজের অংশ হিসেবে একটি শিবির চালু করা হয়েছে, যাতে মতুয়া ধর্মের ভক্তরায় সুবিধা পাবে। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ তুলেছেন, সুব্রত নাকি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়ার চেষ্টা করছে। সে কারণেই এরকম কটাক্ষ এবং অকারণে অশান্তি সৃষ্টি করছে।