সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য চালু করেছে শ্রমশ্রী প্রকল্প (Shramashree Scheme), যা এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার থেকেই অফলাইনের মাধ্যমে এই প্রকল্পে আবেদন শুরু হয়েছে।
মূলত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ শিবিরের মাধ্যমে শ্রম দপ্তরের প্রতিনিধিরা এই প্রকল্পে আবেদন গ্রহণ করছে। তবে শ্রমদপ্তর জানিয়েছে, খুব শিগগিরই অনলাইন পোর্টাল চালু করা হবে, যাতে খুব দ্রুত আবেদন গ্রহণ করা যায়।
আবেদনপত্র যাচাইয়ে এবার বাড়তি সতর্কতা
তবে হ্যাঁ, এই প্রকল্পে আবেদনে রয়েছে বিশেষ শর্ত। আবেদনকারী যে রাজ্যে কাজ করতেন, তার প্রমাণপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। যদিও নথি দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়, তবুও শ্রমদপ্তর মনে করছে, এই সুযোগে অনেকে পরিযায়ী শ্রমিকের তকমা নিয়ে ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারে। তাই নবান্ন থেকে জেলা ও ব্লক স্তরের সমস্ত আধিকারিকদের কড়া নজরদারি চালানোর জন্য স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে।
Our Chief Minister, Hon’ble @MamataOfficial, has announced the ‘Shramashree’ scheme for migrant workers in Bengal. Under this welfare initiative, the following support will be provided:
👉🏼 One-time assistance of ₹5,000, including travel allowance support.
👉🏼 Monthly… pic.twitter.com/jNrenC6XXM
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) August 18, 2025
এক ব্লক আধিকারিক বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যে, যারা ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে বিপাকের মধ্যে পড়ছিলেন বা ফিরে এসেছেন, তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই এই প্রকল্প। আমরা চাই, যাতে সমস্ত প্রকৃত পরিযায়ী শ্রমিকরা এক বছরে জন্য প্রতি মাসে 5000 টাকা করে ভাতা পায়। তবে এটাও দেখতে হবে যে, কোনো ভুয়ো আবেদনকারী যেন এই প্রকল্পের সুবিধা না পায়।
প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য কী?
জানিয়ে রাখি, শ্রমশ্রি প্রকল্প মূলত ভিন রাজ্য থেকে ফেরত শ্রমিকদের সাময়িক আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্যই। শ্রমদপ্তর বলেছে, যতদিন না তারা নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে, ততদিন এই ভাতা তাঁদের ভরসা। আর এই সুবিধা জেন সাধারণ মানুষের কাছেই পৌঁছয়, যাতে তাঁরা উপকৃত হয়। সেজন্যই আবেদনপত্র যাচাইয়ে এত কড়াকড়ি।
আরও পড়ুনঃ ভিসা ছাড়াই এবার বাংলাদেশে আসতে পারবেন পাকিস্তানিরা! হয়ে গেল চুক্তি, চিন্তায় ভারত
এদিকে নবান্ন থেকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে প্রকৃত শ্রমিক ছাড়া অন্য কেউ সুযোগ না নিতে পারে, সে দিক খেয়াল রাখতে হবে। সেই বার্তা ইতোমধ্যেই উপরমহল থেকে নীচতলা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। ফলে প্রত্যেকটি আবেদন একেবারে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে জোরকদমে।