সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা বা ডিএ (DA) নিয়ে জলঘোলার শেষ নেই। বরং যত সময় এগোচ্ছে এই মামলায় জট যেন আরও বেড়েই চলেছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ লক্ষ কর্মরত এবং সরকারি পেনশনভোগীদের অপেক্ষা যেন শেষ হওয়ারই নাম নিচ্ছে না। বর্তমানে এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। আজ মঙ্গলবারও সুপ্রিম কোর্টে ছিল এই ডিএ মামলার শুনানি। কিন্তু ফের একবার রাম ধাক্কা খেতে হল সরকারি কর্মীদের। শীর্ষ আদালতে আবারও একবার পিছিয়ে গেল মামলার শুনানি।
সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি
সকল অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে এদিন এই মামলার শুনানি ছিল। অন্যান্যবারের মতো এবারেও মামলাকারী সরকারি কর্মীরা আশাবাদী ছিলেন যে এবার হয়তো তাঁদের পক্ষে রায় দেবেন বিচারপতি। কিন্তু সে গুড়ে বালি। ফের একবার পিছিয়ে গেল মামলার শুনানি। অর্থাৎ আবারও নতুন দিনের অপেক্ষা করতে হবে সকলকে।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হলে হতে পারে। এর আগে গত ১২ আগস্ট মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের পক্ষে ফের বক্তব্য পেশ করার কথা ছিল। কিন্তু রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিবল অন্য মামলায় ব্যস্ত থাকার কারণে ওই দিন উপস্থিত থাকতে পারেননি। বিচারপতিরা তখন ২৬ আগস্ট অর্থাৎ আজ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। কিন্তু এদিনও মামলার শুনানি হবে কিনা তা নিয়ে ধন্দ ছিল। এর কারণ আজকের শুনানিতে বেঞ্চের দ্বিতীয় বিচারপতির পরিবর্তন হয়েছে। প্রশান্ত মিশ্রর জায়গায় এসেছেন সন্দীপ মেহতা। যদিও তিনি এর আগে বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের সঙ্গে ডিএ মামলা শুনেছিলেন। কিন্তু বিচারপতি মিশ্রর মতো মামলার খুঁটিনাটি সম্পর্কে তাঁর ধারণা কম। সেইজন্য নতুন করে এই মামলা আবারও একবার পিছিয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
দীর্ঘ ডিএ মামলা
এই বকেয়া ডিএ মামলা বিগত কয়েক বছর ধরে চলছে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতার ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ডেডলাইন ছিল ২৭ জুন। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেই নির্দেশ সময়ের মধ্যে পালন করতে ব্যর্থ হয়। সরকারি কর্মীরা আগেই জানিয়েছিলেন যে সরকার যদি ডিএ প্রদান করতে ব্যর্থ হয় তাহলে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে। এই বিষয়ে দুইটি অবমাননার মামলা করাও হয়েছিল। আজ সেই ডিএ মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু সেটা আবারও পিছিয়ে যায়। এহেন পরিস্থিতিতে নতুন করে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন সরকারি আধিকারিকরা। আদৌ তাঁরা আর কোনওদিন বকেয়া ডিএ তাঁরা পাবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।