সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ সকল প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে চাকা গড়িয়েছে বাংলার প্রথম এসি লোকাল ট্রেনের। বর্তমানে শিয়ালদা-রানাঘাট রুটে ছুটতে শুরু করেছে এই ট্রেন। এই ট্রেনে উঠে যাত্রীরা রীতিমতো বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ফিল পাচ্ছেন। সব মিলিয়ে এই ট্রেন যে হিট তা বলাই বাহুল্য। তবে আপনি কি জানেন যে প্রথম দিনে এই ট্রেনটি শিয়ালদা-কৃষ্ণনগর রুটে চলার কথা ছিল? হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। এই রুটে শুরু না হওয়ায় বেজায় মন খারাপ বহু মানুষের। এসবের মধ্যেই রানাঘাট-শিয়ালদা এসি লোকাল নিয়ে সামনে এল বড় আপডেট। রাজ্য যদি সাহায্য করে তাহলে এসি লোকাল ট্রেনে করে সরাসরি শিয়ালদা থেকে ইস্কন (Sealdah Iskcon AC Local) পৌঁছানো যাবে। অর্থাৎ শিয়ালদা থেকে সরাসরি ইস্কন পৌঁছানো যাবে। বাস্তব হবে এই পরিকল্পনা?
এসি লোকালে এবার শিয়ালদা থেকে সরাসরি যাওয়া যাবে ইস্কন?
নিউজ ১৮ বাংলার রিপোর্ট অনুযায়ী, আসলে এসি লোকাল ট্রেনটি যাতে শান্তিপুর থেকে কৃষ্ণনগর ভায়া নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত যাওয়া যায় সেই নিয়ে সম্প্রতি চিঠি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। আর এই চিঠি নাকি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে দেবেন বলে জানিয়েছেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার। সাংসদ জগন্নাথ সরকারের রানাঘাট শিয়ালদহ লোকাল এসি ট্রেনের শান্তিপুর থেকে কৃষ্ণনগর ভায়া নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত যাওয়া নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে চিঠি দেওয়ার কথা নিয়ে এখন ব্যাপক আলোচনা চলছে।
সাংসদের বক্তব্য অনুযায়ী, এই চিঠিতে তিনি নবদ্বীপ ঘাটে যাওয়ার জন্য নদীর উপর ছোট ব্রিজ ও রেলের দখলদারি হওয়া জমি উচ্ছেদের বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করবেন বলে জানিয়েছেন। যদি এই বিষয়টি বাস্তবায়ন হয় তাহলে বহু মানুষ উপকৃত যে হবেন সেটা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
মন খারাপ কৃষ্ণনগরের মানুষের
বর্তমানে মন খারাপ রয়েছে কৃষ্ণনগরের মানুষের। নিশ্চয়ই ভাবছেন কেন? এই বিষয়ে প্রবীণ বাসিন্দা নারায়ণ ধর বলেন, ‘কৃষ্ণনগর থেকে শিয়ালদহ পার্যন্ত একটা এসি ট্রেন হওয়ার কথা ছিল। সেই ট্রেন কেন হল না, জানি না। তবে ট্রেন কৃষ্ণনগর পর্যন্ত হলে বয়স্ক শিশু থেকে রোগী নিয়ে যাওয়া আনার ক্ষেত্রে সুবিধা হত। মানুষ একটু স্বস্তিতেও যেতে পারত।’
আরও পড়ুনঃ LPG, CNG-র দাম থেকে SBI… ১ সেপ্টেম্বর থেকে বদলে যাচ্ছে 4 নিয়ম
অপরদিকে সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘এসি লোকাল শান্তিপুর থেকে কৃষ্ণনগর ভায়া নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত গেলে বিদেশি ভক্তরা ইস্কন মন্দিরে যেতে পারবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ নদীর উপর একটা ছোট ব্রিজ যেন করে দেন। সেখানে ব্রিজ করে দিলে প্রচুর স্থানীয় ও বিদেশি ভক্ত ইসকন মন্দিরে যেতে পারবে।’ এখন প্রশ্ন উঠছে, সরকার কি এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেবে?