সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: হেলমেট ছাড়া বাইক চালানো কিংবা গাড়ির কাগজপত্র অসম্পূর্ণ থাকা, ট্রাফিক আইন ভাঙলেই পড়তে হয় মোটা অংকের জরিমানার মুখে। অনেকেই সময় মতো জরিমানা না মেটাতে পেরে দেখে যে, টাকার অংক আরো বেশি হয়ে গিয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের জন্য বিরাট সুখবর নিয়ে এল লোক আদালত (Lok Adalat)।
আসলে জানানো হয়েছে, আগামী 13 সেপ্টেম্বর গোটা দেশজুড়ে ন্যাশনাল লোক আদালত বসতে চলেছে, যেখানে পুরনো ট্রাফিক চালান মুকুব বা কমিয়ে দেওয়া হবে। ফলে সাধারণ মানুষরা যে বিরাট স্বস্তি পাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
লোক আদালতে কীভাবে সুবিধা মিলবে?
প্রথমত, ট্রাফিক চালান মেটাতে আদালতে যাওয়ার আগে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এর জন্য প্রথমে ন্যাশনাল লিগাল সার্ভিস অথরিটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে Apply Online অপশন পাওয়া যাবে। সেখানে ক্লিক করতে হবে।
এরপর আবেদন ফর্মে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য, মামলার বিস্তারিত তথ্য ও কেন লোক আদালতে আবেদন করছেন, তা বিস্তারিত জানাতে হবে। সমস্ত তথ্য পূরণ করে সাবমিট করলেই কনফার্মেশন মেইল এবং টোকেন নম্বর পাওয়া যাবে। সেই টোকেন নম্বর দিয়েই নির্দিষ্ট দিনে লোক আদালতে অ্যাপোয়েন্টমেন্ট নেওয়া যাবে।
কী কী ডকুমেন্ট লাগবে?
লোক আদালতে যাওয়ার জন্য অবশ্যই ই-চালানের কপি, গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের সার্টিফিকেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পরিচয়পত্র হিসেবে আধার কার্ড কিংবা ভোটার কার্ড, আদালতের নোটিশ (যদি থেকে থাকে), পুরনো চালান জমা দেওয়ার রশিদ এবং অথরাইজেশন লেটার প্রয়োজন হয়।
কীভাবে মামলা নিষ্পত্তি হবে?
লোক আদালতে আবেদন জমা দেওয়ার পর বিচারক এবং আইনজীবীদের বেঞ্চ সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখবে। যদি ডকুমেন্ট ঠিকঠাক থাকে, তাহলে ওই দিনই মামলা মিটিয়ে দেওয়া হবে। সাধারণত লোক আদালতে জরিমানার অংক কিছুটা কমানো হয়, অর্থাৎ পুরো টাকা না দিয়ে আংশিক জরিমানা গুনলে চালান ক্লোজড হয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ পেট্রোল পাম্প থেকে তেল ভরে বেরোতেই বাইকে আগুন! ভয়ঙ্কর ঘটনা হুগলির চণ্ডীতলায়
কোথায় বসবে লোক আদালত?
কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, আগামী 13 সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিভিন্ন সার্কিট বেঞ্চেই এই লোক আদালত অনুষ্ঠিত হবে। তালিকায় রয়েছে ব্যাঙ্কশাল, আলিপুর, দুর্গাপুর, পোর্ট ব্লেয়ার ইত্যাদি।
কলকাতা হাইকোর্টের অফিসিয়াল নোটিশ- ডাউনলোড করুন