‘আইপ্যাক এর কর্মীদের নিয়োগ খাদ্য দফতরে!’ বিস্ফোরক পোস্ট শুভেন্দুর

Suvendu Adhikari

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন, হাতে বাকি আর মাত্র কয়েকটা মাস। আর এই কয়েকটা মাসকেই কাজে লাগাতে চাইছে শাসক দল থেকে বিরোধী দল। এমতাবস্থায় সরকারি অফিসে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে ফের আরও একবার রাজনৈতিক তরজা উঠল তুঙ্গে। পরিকল্পিতভাবেই শাসকদলের স্বার্থে খাদ্য দফতরে এবার রাজ্যে নাকি নিয়োগ হতে চলেছে আইপ্যাক কর্মী! আর তাই নিয়ে এবার বড় খোঁচা দিলেন বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে ক্ষোভ রাজ্যের

গত ২০ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগের তরফে চুক্তিভিত্তিক গ্রুপ ডি কর্মীদের নিয়োগের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে এনেছিল। যেখানে প্রশাসন জানিয়েছেন কর্মরত আইপ্যাক এর কর্মীদের সরকারি কোষাগার থেকে বেতন দেওয়া হবে। আর এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করেই এবার সরাসরি মমতার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ অর্থাৎ বুধবার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লিখেছেন যে, “ গত ২০ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগ চুক্তিভিত্তিক গ্রুপ ডি কর্মীদের নিয়োগের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে এনেছে যেখানে আদতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক আই-প্যাক নিম্ন স্তরের সহযোগী এবং নির্বাহীদের নিয়োগ প্রদানের একটি চক্রান্ত করছে।”

প্রতিভাবান চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে বাড়ছে চিন্তা!

খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগে iPac এর কর্মীদের নিয়োগ নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু অধিকারী আরও জানিয়েছেন যে আসলে এই নিয়োগ সম্পূর্ণ লোক দেখানো, আদতে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের হয়ে কাজ করলেই পারিশ্রমিক মিলবে সরকারি কোষাগার থেকে। রাজ্য জুড়ে এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অবশেষে শত শত লোক নিয়োগ করা হবে এটা লোকমুখে দেখালেও বাস্তবে এর পিছনে রয়েছে অন্য কারণ। এসবের মাঝেই বাংলার তরুণ প্রতিভাবান চাকরিপ্রার্থী ভবিষ্যৎ অন্ধকারের নিমজ্জিত হয়ে যাচ্ছে।” তবে শুধু খাদ্য দপ্তরের এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষ করেননি তার সঙ্গে একই অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তবে এখনো পর্যন্ত এই বিতর্ক নিয়ে কোন রকম ভাবেই মুখ খোলেনি তৃণমূল কংগ্রেস।

আরও পড়ুন: হোমগার্ড, এনভিএফ পুলিশ কর্মীদের জন্য পিএফ! প্রস্তাব পাঠানো হল নবান্নে

ভূয়সী প্রশংসা পুলিশের

প্রসঙ্গত, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে যেখানে শাসকদল এবং বিরোধীদলের মধ্যে তরজা তুঙ্গে সেখানে রাজ্য পুলিশের ভূয়সী প্রশংসার সুর শোনা গেল শুভেন্দু অধিকারী গলায়। এর আগে বাংলার একাধিক ইস্যুতে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিতে দেখা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। তিলোত্তমা কাণ্ড থেকে শুরু করে খেজুরিতে বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যুর তদন্ত, সবেতেই পুলিশকে চটি চাটা হিসেবে মন্তব্য করা হয়েছিল। তবে এবার প্রায় ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন তিনি। পুলিশের পক্ষে হয়ে তিনি মতামত জানান যে সিবিআই-ইডির প্রয়োজন হবে না, পুলিশের অত্যন্ত পেশাদার আধিকারিক রয়েছেন, যাঁদের কাজে লাগানো হয় না। এপ্রিলে বিজেপি ক্ষমতায় এলে চোরেদের স্বমূলে উচ্ছেদ করবে এই পুলিশই।”

Leave a Comment