বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: গত মে মাসে ভয়াবহ সংঘর্ষের পর ভারত পাকিস্তান সম্পর্ক কোন খাতে বইবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। আর ঠিক সেই আবহে, এবার ভারত থেকে ছাড়া জলে বন্যায় ভাসছে পাকিস্তান! দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সর্বশেষ বন্যা সর্তকতা হিসেবে জানিয়েছে, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ায় রবি, চেনাব এবং সুতলেজ নদীর জল বিপদসীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে।
পাক সংবাদমাধ্যম ডনের রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানি কর্মকর্তারা নাকি জানিয়েছেন, সোমবার ভারতের তরফে সতর্কবার্তা পাওয়ার পরেই তাঁরা সচেতন হয়ে যান। সূত্রের খবর, পাকিস্তানি কর্মকর্তারা জানতে পারেন, নয়া দিল্লি পাঞ্জাবের কাছে অবস্থিত মাধোপুর বাঁধ থেকে জল ছাড়ার পরিকল্পনা করছে। আর তারপরেই বন্যার আশঙ্কায় দেড় লক্ষ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে পাক সরকার।
পাকিস্তানে বন্যার আসল কারণ
পাক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত থেকে জল ছাড়ার কারণে এখনও পর্যন্ত প্রায় দেড় লক্ষ মানুষকে পাঞ্জাব প্রদেশের কাসুর, ভাওয়ালনগর, বিহারী এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা আনাদোলুকে জানিয়েছেন, প্রবল বৃষ্টির কারণে বাঁধের জল বিপদসীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় ভারত আমাদের দিকে জল ছেড়ে দিয়েছে।
পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ওই কর্মকর্তার দাবি, ভারত জল ছেড়েছে বলেই যে পাকিস্থানে এমন ভয়াবহ বন্যা তেমনটা একেবারেই নয়। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে পাঞ্জাব প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে, যার কারণে ফুলে পেঁপে উঠেছিল নদীগুলি। আর তাতেই এমন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বন্যা।
অবশ্যই পড়ুন: ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পাবেন শ্রেয়স আইয়ার, হবেন অধিনায়কও! বলে দিলেন তিনি
উল্লেখ্য, গত রবিবার পাকিস্তানকে আগাম সর্তকতা দিয়ে ভারত জানিয়েছিল, বাঁধের জল ছাড়ায় তাওয়াই নদীতে বন্যার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। নয়া দিল্লি এও বলে, হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, কাশ্মীর এবং উত্তরাখন্ডে গত দিনগুলিতে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কারণেই বাঁধের জল ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে তারা।