বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: উত্তর কোরিয়ায় একাই রাজত্ব করেন কিম জং উন (Kim Jong Un)। দেশটিতে তাঁর নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করা না হলে তার ফল যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, সে বিষয়ে অবগত অনেকেই। আর উত্তর কোরিয়ার এই নেতার সাথেই আমেরিকার একেবারে আদায় কাঁচকলায়। বলা বাহুল্য, উত্তর কোরিয়াই এমন একটি দেশ যে আমেরিকাকে সে অর্থে কোনও দিনও গুরুত্ব দেয়নি। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকার যৌথ মহড়াকে সামনে রেখে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছিলেন কিম। এবার যাচ্ছেন চিন সফরে।
কিমের চিন সফর চিন্তা বাড়াবে আমেরিকার!
বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়া এবং চিনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম স্পষ্ট করে দেয়, আগামী সপ্তাহেই চিনের রাজধানী বেইজিংয়ে একটি সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নেবেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। শুধু তাই নয়, CNN এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ড্রাগনের দেশের ওই সামরিক কুচকাওয়াজে উপস্থিত থাকবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও।
কূটনৈতিকদের মতে, পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার প্রধান কিমের চিন সফর ঘিরে আমেরিকার মাথাব্যথা অনেকটাই বেড়েছে। আসলে, দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে আসা কিম সাধারণত খুব কম দেশেই ভ্রমণ করেন। ফলে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের পাশাপাশি তিনি যেহেতু চিন সফরে যাচ্ছেন, কাজেই খুব সম্ভবত সেখানে বড় ধরনের কোনও আলোচনা হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছে মার্কিন প্রশাসন!
রিপোর্ট অনুযায়ী, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির 80তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে চিনে অনুষ্ঠিতব্য ওই সামরিক কুচকাওয়াজে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, উত্তর কোরিয়ার কিম সহ 26 জন বিদেশি নেতা অংশ নেবেন। চিনের সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী 3 সেপ্টেম্বর চিনের বিজয় দিবস উদযাপনে যোগ দিতে বেইজিং যাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন কিম। জানা গিয়েছে, ড্রাগনের বিজয় দিবস উৎসবে অংশ নিতে পুতিন, কিমদের নিজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তবে উত্তর কোরিয়ার নেতা ঠিক কতদিনের জন্য। ড্রাগনের দেশে যাচ্ছেন সে খবর এখনও বাইরের আলো দেখেনি।
অবশ্যই পড়ুন: হুমকি দিয়েছিল ভারতকে, এবার বন্যা প্রতিরোধে বাঁধ ওড়াল পাকিস্তান! ভাইরাল ভিডিও
কিমের এই চিন সফর কেন গুরুত্বপূর্ণ?
দীর্ঘদিন ধরেই উত্তর কোরিয়ার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার এবং প্রধান সমর্থক আসলে চিন। এদিকে কিমের বেইজিং সফরের খবর এমন সময়ে এসেছে যখন, আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া নিয়ে বিরক্ত কিম। শুধু তাই নয়, আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ঘনিষ্ঠতাকে সামনে রেখে সম্প্রতি পারমাণবিক অস্ত্রশস্ত্র বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কিম। আর সেই আবহে উত্তর কোরিয়ার প্রধান এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের চিন সফর যে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গলার কাঁটা হয়ে উঠবে সে কথা বলাই যায়।