আড়াই বছর পর বেনাপোল সীমান্ত থেকে বাংলাদেশে পৌঁছল ১৫ টন পেঁয়াজ

India-Bangladesh Trade imports 15 tons of onions from India through Benapole border

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। যার প্রভাব পড়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যেও। ওপার বাংলার প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের পাকামির পরিপ্রেক্ষিতে স্থলপথে বাংলাদেশ থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করে দেয় নয়া দিল্লি।

বন্ধ হয়ে যায় স্থল পথে দু দেশের বাণিজ্য! যদিও এর বহু আগে থেকেই ভারত-বাংলাদেশ বেনাপোল সীমান্ত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি ধীরে ধীরে কমিয়ে এনেছিল ভারত। দীর্ঘ আড়াই বছর পেরিয়ে অবশেষে ওই বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছলো পেঁয়াজের ট্রাক। যেই খবর নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী শ্যামল কুমার নাথ।

বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে গেল 15 টন পেঁয়াজ

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম নয়া দিগন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত সোমবার রাত 8টা নাগাদ প্রথম চালানে বেনাপোল বন্দর থেকে 15 টন পেঁয়াজ পৌঁছেছে বাংলাদেশে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় সীমান্ত থেকে পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাকটি বেনাপোল বন্দর থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল। জানা যায়, ভারত থেকে রপ্তানি হওয়া পেঁয়াজের গুণমান পরীক্ষা করে সেগুলিকে বাংলাদেশে পাঠানোর ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল।

ওই প্রতিবেদন বলছে, ভারত থেকে 15 টন পেঁয়াজের চালানটি আমদানি করেছিল বাঘেরহাটের এসএম ওয়েল ট্রেডার্স। অন্যদিকে ভারতের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ট্রেডিং কর্পোরেশনের তরফে ওপার বাংলায় পেঁয়াজগুলি পাঠানো হয়েছিল।

শেষবারের মতো 2023 সালে বেনাপোল থেকে পেঁয়াজ পৌঁছেছিল বাংলাদেশে

সম্প্রতি বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক আনু জানিয়েছেন, এর আগে ওপার বাংলায় উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি নিষিদ্ধ করেছিল বাংলাদেশ। পরে ভারতও বাংলাদেশে পেঁয়াজ পাঠানো বন্ধ করে দেয়। সেই সূত্রে বলি, শেষবারের মতো বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে 2023 সালে পেঁয়াজ আমদানি করেছিল বাংলাদেশ। তবে ওই বছরেরই মার্চ মাসে পেঁয়াজ আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়।

অবশ্যই পড়ুন: প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ভিন্ন ধর্মে জমি বিক্রি নয়! হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত অসম সরকারের?

উল্লেখ্য, কাস্টমস সূত্রে খবর ভারত থেকে যে পেঁয়াজ পাঠানো হয়েছে সেগুলি মূলত 305 ডলার প্রতি টন আমদানি মূল্য অর্থাৎ বাংলাদেশি অর্থে 37,429 টাকায় কেনা হয়েছে। পরবর্তীতে ওই পেঁয়াজগুলি বাংলাদেশের বিভিন্ন বাজারে 58 থেকে 60 টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হতে পারে।

Leave a Comment