কোচিং সেন্টারে মহাতাণ্ডব! ছুঁড়ে ফেলা হল বইপত্র, তুমুল শোরগোল নদীয়ায়

Nadia

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: শিক্ষার আলোয় ব্যাঘাত ঘটাতে নদীয়ার (Nadia) কোচিং সেন্টারে ভাঙচুর দুষ্কৃতীদের! চরম উত্তেজনা ছড়ালো এলাকার জুড়ে। দীর্ঘদিন ধরে কোচিং সেন্টার সরানোর অভিযোগ উঠলেও শিক্ষক সেই কোচিং সেন্টার না সরানোয় এবার বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল স্থানীয় দুষ্কৃতীরা। কাউকে না জানিয়েই ভাঙচুর করা হয় কোচিং সেন্টারে। শুধু তাই নয় বই খাতার সমস্তই বাইরে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। যা নিয়ে এবার তুমুর বিক্ষোভ শুরু হল শিক্ষক সহ পড়ুয়াদের।

ঘটনাটি কী?

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত ৪ বছর ধরেই নদীয়ার রানাঘাট থানার অন্তর্গত দক্ষিণ বিষ্ণুপুর এলাকায় একটি টালির ঘরে চাকরির পড়াশোনা করান সুমন ঘোষ নামে এক শিক্ষক। অনেকেই সেখানে পড়াশোনা করে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে চাকরি পেয়েছেন। প্রায় ২৫-৩০ জন ছাত্র পড়াশোনা করে। কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষার আলো থেকে দূরে রাখতে চায় সেখানকারই কিছু স্থানীয় বাসিন্দারা। তাইতো রীতিমত ঘর ভাঙার হুমকি এবং কোচিং সেন্টার বন্ধের হুমকি দিতে চলেছে কয়েকজন। কিন্তু গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৬ আগস্ট পরিস্থিতি ভয়ংকর আকার ধারণ করে। কারোর অনুমতি না নিয়েই কোচিং সেন্টারে থাকা বইপত্র, ম্যাপ সব কিছু ছুঁড়ে ফেলে দেয়। আর তাতেই শুরু হয় মহাবিক্ষোভ।

লন্ডভন্ড অবস্থা কোচিং সেন্টারে

কোচিং সেন্টার ভাঙার ঘটনায় শিক্ষক সুমন ঘোষ এদিন বলেন, বিগত কয়েকদিন ধরেই স্থানীয় কিছু মদতপুষ্ঠ লোকজন কোচিং সেন্টার বন্ধের দাবিতে বারংবার হুমকি দিয়ে চলেছেন তাকে। শুধু হুমকি নয় তার সঙ্গে অকথ্য গালিগালাজ ও শুনতে হয় শিক্ষক সুমন ঘোষকে। কোচিং সেন্টার যেদিন ভাঙচুর করা হচ্ছিল ওইদিন পুলিশের কাছে গোটা বিষয়টি তুলে ধরা হলে, পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতেই সেই হুমকিবাজরা পালিয়ে যায়। এদিকে কোচিং সেন্টারের এইরূপ লন্ডভন্ড অবস্থায় বেশ দুঃখ পেয়েছে সেই সেন্টারের শিক্ষক সহ ছাত্রীরা। তাদের একটাই দাবি তারা যেন সুষ্ঠভাবে পড়াশোনা করতে পারে।

আরও পড়ুন: উদ্ধার দেশরাজের প্রাণ ভোমরা! কৃষ্ণনগরের তরুণী ঈশিতা খুনে বড় তথ্য পেল পুলিশ

প্রসঙ্গত, নদীয়ার এই কোচিং সেন্টারের জায়গাটি আসলে একটা ফিশারি কেন্দ্র। কিছুদিন আগেই ওই এলাকার এক সভাপতি শিক্ষক সুমন ঘোষ কে অন্য জায়গায় কোচিং সরানোর কথা জানালে সেই সময় ওই শিক্ষক জানিয়েছিলেন যে আলোচনা করে এই কোচিং সেন্টারটি সরাতে রাজি আছেন তারা। এমনকি তাদের সম্মতি জানিয়েছিলেন সেই সভাপতি। কিন্তু এরপরে কাউকে না জানিয়ে হঠাৎ করে কোচিং সেন্টার ভেঙে ফেলার এই ঘটনাকে নিন্দার চোখে দেখছে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক সুমন ঘোষ এবং তার ছাত্ররা। এবার দেখার পালা পুলিশের হস্তক্ষেপে আদতে এই কোচিং সেন্টারটির ঠিকানা পরিবর্তন হয় কিনা।

Leave a Comment