সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দেশের সবথেকে শান্তিপূর্ণ রাজ্য মিজোরাম এবার বিরাট সিদ্ধান্ত নিল। হ্যাঁ, সম্প্রতি রাজ্য বিধানসভায় পাস হয়েছে মিজোরাম প্রোহিবিশন অব বেগিং বিল 2025। আর এই বিল অনুযায়ী, এবার থেকে রাজ্যে ভিক্ষাবৃত্তি পুরোপুরি নিষিদ্ধ (Beggar Free State)। তবে শুধুমাত্র ভিক্ষা বন্ধ করা নয়, বরং ভিখারিদের পুনর্বাসন ও বিকল্প জীবিকা গড়ে তুলতেও সাহায্য করবে এই আইন।
কেন এই আইন আনা হল?
প্রসঙ্গত রাজ্যের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী লালরিনপুই এই বিলটি পাস করে বলেছেন, মিজোরামের ভিক্ষাবৃত্তির সংখ্যা খুব বেশি নয়। সামাজিক সংগঠন, চার্চ এবং এনজিওগুলির সক্রিয় ভূমিকার জন্য এখানে দরিদ্র মানুষ নানারকম সরকারি সুবিধা পায়।
কিন্তু নতুন রেললাইন চালু হলে বাইরের রাজ্য থেকে ভিখারি আসার সম্ভাবনা বাড়বে। তাই আগে থেকেই এই আইন আনা হচ্ছে। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, বিলের উদ্দেশ্য কোনোরকম শাস্তি দেওয়া নয়, বরং পুনর্বাসন ও স্বনির্ভরতার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া।
Mizoram takes a bold step to end begging with a new law! 🛑🤲 Not just a ban, but real support for livelihoods & dignity. A model move for compassion + progress. pic.twitter.com/LFkq29l7Jv
— OneVision Media (@onevision_media) August 28, 2025
আইনে বলা হয়েছে যে, রাজ্যে একটি রাজ্যস্তরের রিলিফ বোর্ড গঠন করা হবে। আর এই বোর্ড রিসিভিং সেন্টার তৈরি করবে। সেখানে ভিখারিদের অস্থায়ীভাবে রাখা হবে। এমনকি সেখান থেকে 24 ঘন্টার মধ্যেই তাঁদের নিজের রাজ্য বা নিজের বাড়িতে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
বিরোধীদের আপত্তি
তবে এই বিলকে ঘিরে বিরোধীরা ক্ষোভ প্রকাশ করতে ছাড়েনি। মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টের নেতা লালছানদামা রালতে দাবি করছেন যে, এই আইন খ্রিস্টান ধর্মের ভাবমূর্তির সম্পূর্ণ পরিপন্থী এবং রাজ্যের মানবিক চেহারায় দাগ ফেলতে পারে। এমনকি কয়েকজন বিধায়ক আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন যে, এতে রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। তবে দীর্ঘ আলোচনার পর সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে বিলটি পাস হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ অবশেষে কাটল জট! খুব শীঘ্রই ইআরও এবং এইআরও-র ৬১০ শূন্যপদে নিয়োগ করবে নবান্ন
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, সমাজকল্যাণ দপ্তরের করা এক সমীক্ষা অনুযায়ী, রাজধানী আইজলে বর্তমানে 30 জনের বেশি ভিখারি রয়েছে। এমনকি তাদের মধ্যে অনেকেই স্থানীয় নন। সরকার মনে করছে যে, নতুন আইন কার্যকর হলে রাজ্যকে সম্পূর্ণ ভিখারিমুক্ত করা সম্ভব হবে।