‘BJP-কে ভোট দিলে বন্ধ করা হবে লক্ষ্মীর ভান্ডার!’ বিস্ফোরক নন্দীগ্রামের TMC পঞ্চায়েত সদস্যা

Lakshmir Bhandar

প্রীতি পোদ্দার, নন্দীগ্রাম: বছর ঘুরলেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে বাংলায়। এখন থেকেই ভোটের প্রস্তুতিতে মেতে উঠেছে তৃণমূল-বিজেপি সব পক্ষ। মুখ্যমন্ত্রীর সিংহাসন কার দখলে যাবে এই নিয়ে বেশ টক্কর শুরু হয়েছে এখন থেকেই। এমতাবস্থায় বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডারের (Lakshmir Bhandar) সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি উঠে এল শাসক দলের তরফে। সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের এক তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিতর্কিত পোস্ট ঘিরে এক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক অন্দরে।

লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধের হুঁশিয়ারি

স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বয়াল ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য অষ্টমী গিরি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিতর্কিত পোস্ট করেন। যেখানে তিনি লেখেন, “বিজেপিকে ভোট দিলে বন্ধ করা হবে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’।” আর এই পোস্ট ভাইরাল হতেই চারিদিক থেকে তীব্র কটাক্ষ উঠে আসতে থাকে। সেই নিয়ে ওই তৃণমূল সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “নন্দীগ্রামের বিধায়ক হয়েও, শুভেন্দু অধিকারী প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দিয়েছেন। তবুও, মানুষকে অভাব বুঝতে দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। তাই নন্দীগ্রামের মানুষকে প্রকল্পের অভাব বোঝাতেই এই সোশাল মিডিয়া পোস্ট করেছি।” জানা গিয়েছে নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পদেও রয়েছেন ওই সদস্যা।

কী বলছেন শুভেন্দু অধিকারী?

লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধের অভিযোগ অস্বীকার করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘এসব নিয়ে আমি ভাবি না। ওরা আমাকে জানে। আমাকে অবিভাবকের মতো দেখে। এসব করে কিছু করতে পারবে না।’ তাঁকে সাপোর্ট করে বিজেপির পাল্টা কটাক্ষ, তৃণমূল পক্ষপাতিত্ব করে দেউলিয়াপনা রাজনীতি করছে। কোন পরিপ্রেক্ষিতে এই কথা উনি বলেছেন, সেটা বোঝা দরকার।” যদিও এই ঘটনা নতুন নয়। এর আগে, পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায়, বিজেপি পরিচালিত দুই গ্রাম পঞ্চায়েতে রাজনৈতিক কারণে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারের’ টাকা থেকে বঞ্চনার অভিযোগ উঠে এসেছিল। কিন্তু এবার সরাসরি শাসক নেত্রীর মুখেই সরকারি প্রকল্প বন্ধ করার হুঁশিয়ারি ঘিরে রাজনৈতিক তরজা চরমে উঠেছে।

আরও পড়ুন: বীমা শেষ মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টারের, বাতিল হাওয়াই সফর! সড়কপথেই গেলেন মমতা

উল্লেখ্য, লক্ষ্মীর ভান্ডার বর্তমান সময়ে রাজ্য সরকারের দ্বারা চালু করা প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম। কিন্তু এই প্রকল্প বারংবার বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি হামেশাই শোনা যায় শাসকদলের তরফে। তাই এবার এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছে একাংশ। নন্দীগ্রাম এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ‘আমাদের ট্যাক্সের পয়সায় আমরা লক্ষ্মীর ভান্ডার পাচ্ছি। এটা কোনও সরকারের ব্যক্তিগত সম্পত্তি থেকে দিচ্ছেন না বা ওঁর কোনও পৈতৃক সম্পত্তি থেকে দিচ্ছেন না আর আগামীদিন নিয়েও আমরা নন্দীগ্রামের মহিলারা যথেষ্ট সচেতন।’

Leave a Comment