সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ সকল অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে সংসদে শুরু হয়েছে শীতকালীন অধিবেশন। আর এই অধিবেশনে সরকার কী কী বিল পেশ করে? কী কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকে নজর রয়েছে চাকুরজীবী মানুষ থেকে শুরু করে সাধারণ আমজনতার। এই সকল বিষয়ের মাঝেই EPFO নিয়ে বড় ইঙ্গিত দিল কেন্দ্রীয় সরকার যা সকল সদস্যের অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিৎ। আসলে কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল যে বাধ্যতামূলক পিএফ অবদানের বর্তমান বেতন সীমা ১৫,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০,০০০ টাকা করা উচিত। এর ফলে আরও বেশি কর্মচারী আকৃষ্ট হয়ে পিএফের আওতায় আসবে। এবার এই বিষয়েই সরকার জবাব দিল সংসদে।
EPFO-তে বড় পরিবর্তন আসছে?
সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনে বেতন সীমা বৃদ্ধির প্রশ্নটি উঠেছিল, যার জবাবে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য উত্তর দিয়েছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে ইপিএফ বেতন সীমা ১৫,০০০ টাকা থেকে ৩০,০০০ টাকা করার কোনও পরিকল্পনা আছে কিনা। আর এই প্রশ্ন তুলেছিলেন সাংসদ বেনি বেহানান এবং অ্যাডভোকেট ডিন কুরিয়াকোস। এই প্রশ্নের জবাবে, কেন্দ্রীয় বলেন যে ইপিএফ-এর সর্বোচ্চ সীমা সংশোধনের যেকোনো সিদ্ধান্তের জন্য অংশীদারদের সঙ্গে ব্যাপক পরামর্শ প্রয়োজন।
সংসদে জবাব দিলেন শ্রম মন্ত্রী
মনসুখ মান্ডব্য সংসদে বলেন যে ইপিএফও-এর আওতাধীন কভারেজের জন্য বেতন সীমা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কেবলমাত্র ট্রেড ইউনিয়ন এবং শিল্প সমিতি সহ অংশীদারদের সঙ্গে ব্যাপক পরামর্শের পরেই নেওয়া যেতে পারে, কারণ বেতন সীমা বৃদ্ধি করলে নিয়োগকর্তাদের ওপর বিপুল চাপ পড়তে পারে। সেইসঙ্গে কর্মীদের পকেটের ওপরেও আচমকা বড় চাপ এসে পড়তে পারে।
বর্তমানে, ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত মূল বেতনের প্রতিটি কর্মচারীর জন্য EPF-তে অবদান রাখা বাধ্যতামূলক। এই সীমার বাইরে, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সালের পরে যোগদানকারী কর্মচারীদের জন্য EPF অবদান পুরোটাই তাঁদের ইচ্ছার ওপর নির্ভর। মন্ত্রী আরও বলেন যে, ১৯৫২ সালের EPF প্রকল্পের অধীনে, সমস্ত EPFO-অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত আয়কারী সকল কর্মচারীকে নিবন্ধিত হতে হবে এবং যোগ্যতার জন্য আলাদাভাবে কোনও ন্যূনতম বেতনের প্রয়োজন নেই।
কর্মচারী ভবিষ্যনিধি তহবিলের (ইপিএফ) বেতন সীমা সর্বশেষ ২০১৪ সালে সংশোধিত হয়েছিল। যদি এটি ৩০,০০০ টাকায় উন্নীত করা হয়, তাহলে ৩০,০০০ টাকা আয়কারী সংগঠিত খাতের কর্মচারীদের তাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি সুরক্ষা কুশন তৈরি করতে ইপিএফ-এ অবদান রাখতে হবে।