বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: সময় যত গড়াচ্ছে, নতুন নতুন রঙ্গ দেখাচ্ছে পাকিস্তান! জানা গিয়েছে, পশ্চিমের এই দেশ নাকি আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের থেকে লোন পাওয়ার জন্য পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স বা PIA কে বিক্রি করে দিচ্ছে (Pakistan International Airlines)। সবচেয়ে বড় কথা, সরকারি এই বিমানসংস্থাটি কেনার জন্য নাকি ইতিমধ্যেই আগ্রহ দেখিয়েছে 4টি কোম্পানি। আর তাদের মধ্যেই রয়েছে পাকিস্তান সেনার নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা ফৌজি ফাউন্ডেশন। মনে করা হচ্ছে ঘুর পথে পাক সেনার হাতেই যেতে চলেছে এই বিমানসংস্থা।
নিলামে উঠবে পাকিস্তানের বিমানসংস্থা
পাকিস্তানের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, বুধবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের নাম উল্লেখ করে একটি বিবৃতিতে ইসলামাবাদ একেবারে স্পষ্ট জানায়, আগামী 23 ডিসেম্বর পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স নামক ওই বিমান সংস্থাটিকে নিয়মে তোলা হবে। যা সরাসরি সম্প্রচারিত হবে পাকিস্তানের সমস্ত টেলিভিশনে। এ প্রসঙ্গে আগেই পাকিস্তানের বেসরকারিকরণ সংক্রান্ত মন্ত্রী মহম্মদ আলি কয়েকটি সংবাদ সংস্থাকে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন,
কয়েকটি সংস্থার বেসরকারিকরণ করে অন্তত 96 কোটি টাকা (ভারতীয় মুদ্রায়) তুলতে চাইছে পাক সরকার।
এ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, পাক সরকার নাকি পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের 15 শতাংশ শেয়ার নিজেদের হাতে রেখে বাকি পুরোটাই বেসরকারি সংস্থার কাছে বিক্রি করে দিতে চাইছে। আর এর নেপথ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার বা IMF এর তরফে পাওয়া একটি বিশেষ শর্ত। জানা যায়, আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের তরফে লোন পাওয়ার বিশেষ শর্ত মেনেই বিমান সংস্থাটিকে বিক্রি করে দিতে চাইছে পাক প্রশাসন। তবে সেটা ঘুর পথে পাক সেনা নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থার কাছেই তুলে দেওয়া হতে পারে।
অবশ্যই পড়ুন: ৩৫৮ করেও হার, ভারতের পরাজয়ের নেপথ্যে মূল কালপ্রিট এই ৫ প্লেয়ার!
নতুন নাটক পাকিস্তানের?
পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স বা এই বিমান সংস্থা বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সর্বসমক্ষে জানালেও আদতে ঘুর পথে ওই সংস্থা নিজেদের দখলে রাখার জন্য পাক সেনার নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা ফৌজি ফাউন্ডেশনের কাছে বিক্রি করে দিতে পারে ইসলামাবাদ, এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষক মহল। বলে রাখি, পাক বিমান সংস্থাটি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশকারী ফৌজি ফাউন্ডেশন বর্তমানে সিমেন্ট, সার, বিদ্যুৎ সহ একাধিক শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। এবার তারাই বিমান পরিষেবায় প্রবেশ করার আগ্রহ দেখিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, শেষ পর্যন্ত যদি PIA বিমান সংস্থাটি ফাউন্ডেশনের হাতে যায় সে ক্ষেত্রে তাতে বেসামরিক ক্ষেত্রে সেনাপ্রধান মুনিরের প্রভাব অনেকটাই বাড়বে। আর এই সবটাই নাকি হচ্ছে পরিকল্পনা করেই!