ভাবুন তো যদি আপনার প্রিয় বন্ধু আপনার চরম শত্রু হয়ে ওঠে? যার জন্যে আপনি সব কিছুই করেছেন, হঠাৎই সে হয়ে উঠেছে আজ আপনার বিরোধী। আর আজ তেমনই সম্পর্ক ভারত আর বাংলাদেশের (Bangladesh)।
কখনও ভারতের চিকেনস নেকের কাছে এয়ার বেস তৈরি করছে বাংলাদেশ, তো কখনও আবার জঙ্গিদের ভারতের বর্ডারে নিয়ে আসছে। আবার কখনও ভারতের একাধিক রাজ্যকে ঢুকিয়ে দিচ্ছে নিজেদের ম্যাপে।
দিল্লির লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণ হোক, বা ২৯০০ কেজির বিস্ফোরক উদ্ধার – সবেতেই কি তবে লিঙ্ক রয়েছে বাংলাদেশের? নাকি বাংলাদেশের সাহায্য নিয়েই অপারেশন সিঁদুরের বদলা নিতে চাইছে পাকিস্তান? নাকি বাংলাদেশের সাহায্যেই জঙ্গিরা আক্রমণ করছে ভারতে?
আতঙ্কবাদী কার্যকলাপ থেকে ভারত বিরোধী মন্তব্য – গত এক বছরে বাংলাদেশ যা করেছে তা সত্যিই চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছে ভারতের জন্য। আজ India Hood ডিকোডে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো কীভাবে একের পর এক ভারত বিরোধী চক্রান্ত করা হচ্ছে বাংলাদেশের মাটি থেকে। আর তার বিরুদ্ধে ভারতই বা কি কি অ্যাকশন নিয়েছে এখনও পর্যন্ত? চলুন জেনে নেওয়া যাক এক এক করে।
ইউনুস আসতেই বাংলাদেশে শুরু বিপত্তি!
২০২৪ সালে শেখ হাসিনা সরকার পড়ে যাওয়ার পর, বাংলাদেশের মুখ্য উপদেষ্টা পদে বসেন মহম্মদ ইউনুস। এই ইউনুস সম্পূর্ণরূপে মার্কিন মদতপুষ্ট, এবং একপ্রকার পাকিস্তানি সমর্থক। তাই ইউনুস আসার পর বাংলাদেশের হাল যে পাকিস্তানের মতোই হবে সেটাই স্বাভাবিক। তাই ২০২৪-এর পর থেকে বাংলাদেশে আর শান্তি ফেরেনি, বরং বেড়েছে অরাজকতা। টেক্সটাইল শিল্পে আরও অবনতি দেখা গিয়েছে, দেশের মধ্যে সংখ্যালঘু বলা ভালো হিন্দু নিধন বেড়েছে, ধ্বংস করা হচ্ছে মন্দির, দৈনিক মিছিল চলছে ইসকন মন্দির বন্ধ করার জন্য। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত যেটা শুনলেন সেটা পুরোটাই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু, ২০২৫ থেকে বাংলাদেশে দেখা গেল এমন কিছু কাণ্ড যা আর অভ্যন্তরীণ রইল না।
২০২৫ থেকেই পাকিস্তান আর চিনের গোলামে পরিণত হতে থাকে বাংলাদেশ!
বছরের শুরুতেই অর্থাৎ জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের লেফটেন্যান্ট জেনারেল এসএম কামার উল হাসান করেন পাকিস্তান যাত্রা।
আর ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই পাকিস্তানের সাথে সরাসরি ব্যবসা শুরু করে বাংলাদেশ। যা স্বাধীনতার পর থেকে প্রথম।
অপারেশন সিঁদুরের পর ৩রা মে, ইউনুসের এক সহযোগী জানান, ভারত-পাকিস্তানে আক্রমণ করলে, বাংলাদেশের উচিত নর্থ ইস্ট নিয়ে নেওয়া। ভাবুন, যে দেশকে আমরা স্বাধীন করলাম, এবার তারাই করছে চোখ রাঙ্গানির আস্পর্ধা!
ভারতের গা ঘেঁষে তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশি এয়ারবেস!
চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ করেই উঠে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভারতের সীমানা থেকে মাত্র ১৫ কিমি দূরে এবং শিলিগুড়ি করিডোর অর্থাৎ চিকেনস নেক থেকে মাত্র ১৩৫ কিমি দূরে এয়ার বেস মজবুত করার কাজ শুরু করে বাংলাদেশ। এটি লালমনিরহাট এয়ার বেস, যা বহু বছর ধরেই পড়েছিল পরিত্যক্ত হয়ে। কিন্তু, হঠাৎ করেই তার সংস্কার শুরু হয়। আর তাদের এই কাজে সহায়তা করতে থাকে চিন।
এরপরেই ইউনুস করে বসে এক ভারত বিরোধী মন্তব্য!
১লা আগস্ট, চিন সফর করে ইউনুস। সেখানে তিনি চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং-কে জানান, “যদি আপনি ভারতের উত্তর পূর্বে যেতে চান, তাহলে বাংলাদেশকে ব্যবহার করুন।“ অর্থাৎ, ভারতে ঢোকার অন্যতম মাধ্যম হিসাবে নিজেদের ঘাঁটি ব্যবহার করার প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ!
এরপর ওই মাসেই ভারতের তরফ থেকে বাংলাদেশের এই মন্তব্য এবং লালমনিরহাট এয়ার বেসের সংস্কার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা জানায়, সামরিক কাজে তারা এই বেস ব্যবহার করবে না এবং ভারত বিরোধী কোনও কাজ তারা করছে না।
এখানেই শেষ নয়, বাংলাদেশে বাড়ছে আতঙ্কবাদী গোষ্ঠী
সেপ্টেম্বর মাসে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইসাক দার আর ইউনুসকে দেখা যায় নিউইয়র্কে কথোপকথন করতে।
এরপর অক্টোবর মাসে পাকিস্তানের আর এক আর্মি জেনারেল শাহির সামসের মির্জা বাংলাদেশে আসে। আর দুই দেশের মধ্যে বাড়ে সেনা সহযোগিতা, বৃদ্ধি পায় ট্রেনিং এক্সারসাইজ।
শুধুমাত্র পাকিস্তানের আর্মি কিংবা জেনারেলরা নয়, বাংলাদেশে বেস বানাতে শুরু করে হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠরাও। তারা ঘুরে দেখে বাংলাদেশ-ভারতের বিভিন্ন বর্ডার এলাকা। রিপোর্ট অনুযায়ী, তাদের উদ্দেশ্য ভারতে আক্রমণ এবং আতঙ্কবাদী কার্যকলাপ করা। এমনকি বাংলাদেশের বর্ডারে হিজব উত-তেহরির, আনসারউল্লাহ বাংলা, আল কায়েদা, জামাত এ- ইসলামিরা যেভাবে রেডিক্যালাইজেশন শুরু করছে, অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে ভারতে এবং পশ্চিমবঙ্গে, তা খুবই চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছে গত কয়েকদিন ধরেই।
অর্থাৎ, ভাবুন বাংলাদেশকে মেরেছিল যে পাকিস্তান, বাংলাদেশের জন্মই চায়নি যে পাকিস্তান, আজ তাদের সাথেই হচ্ছে সরাসরি ব্যবসা, চলছে আলোচনা, পরামর্শ। তাদেরকেই দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের মাটি জঙ্গি ঘাঁটি করার জন্য।
এখনও বাকি রয়েছে… কারণ এরপর বাংলাদেশের অংশ হিসাবে দেখানো হয় ভারতের এলাকা
এই বছরের অক্টোবর মাসেই দেখা যায় আরও বড় একটি ঘটনা। ২৮শে অক্টোবর পাকিস্তানের সেনা অধ্যক্ষ বাংলাদেশে আসে এবং দেখা করে বাংলাদেশের সেনা অধ্যক্ষের সাথে। সেখানে তুরস্কের কিছু অতিথিও আসে। এরপরেই দেখা যায়, তাদের সাথে আর্ট অফ ট্রায়াম্ফ নামে একটি বই শেয়ার করে নেয় মহম্মদ ইউনুস। আর এখানেই দেখা যায় একটি অত্যন্ত জঘন্য ঘটনা। বইয়ের প্রচ্ছদে দেখানো হয়েছে একটি বৃহৎ বাংলাদেশের ম্যাপ। যেখানে ভারতের উত্তর পূর্বের একাধিক অঞ্চলকে বাংলাদেশের ম্যাপের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে অসম, মেঘালয় এবং ত্রিপুরাও অন্তর্ভুক্ত। আর ভারত এটাকে কোনও ছোট ভুল হিসাবে মনে করেনি। বরং দেখেছে একটি সাংকেতিক পদক্ষেপ হিসাবে।
এরপর দিনটা ৬ই নভেম্বর। জানা যায়, লালমনিরহাট বেস শুধু সংস্কার করা হচ্ছে না, ওই এয়ার বেসে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও লাগাচ্ছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে ১৪টি এয়ারক্র্যাফট রাখার হ্যাঙ্গার। অর্থাৎ, আগে যখন ভারত জিজ্ঞাসা করল তখন বাংলাদেশ জানাল কোনও সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার হবে না, তবে হঠাৎ ডিফেন্স সিস্টেম কিংবা এয়ারক্র্যাফট হ্যাঙ্গারের প্রয়োজনীয়তা কেন পড়ল?
পাকিস্তানের যুদ্ধ জাহাজ এবার বাংলাদেশে
এরপর ১০ই নভেম্বর আরও একটি জিনিস দেখা যায়। পাকিস্তানের যুদ্ধ জাহাজ PNS Saif, পাক নৌপ্রধানের সাথে বাংলাদেশে আসে। যা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথমবার। এর উদ্দেশ্য নাকি দুই দেশের মিত্রতা বাড়ানো। কিন্তু আদেও কি এই কথা সত্য? মিত্রতা বাড়াতে এত বড় যাত্রা? ভাবুন সেই পাকিস্তান, যাদের অত্যাচার থেকে ভারত স্বাধীন করেছিল বাংলাদেশকে।
ভারত বিরোধী জাকির নায়েককে জামাই আদর করছে বাংলাদেশ!
এর আগে ২০১৬ সালে বাংলাদেশের হোলি আর্টিসান বেকারিতে একটি জঙ্গি হামলা হয়। যার পর জাকির নায়েক ও তার পিস টিভিকে বাংলাদেশ থেকে ব্যান করে শেখ হাসিনা। কারণ বেকারিতে আক্রমণকারীদের মধ্যে একজন জানায় তারা জাকির নায়েকের ভাবধারা ও ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে এই কাজ করেছে। বাংলাদেশের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভারতও জাকির নায়েককে ব্যান করে। আর এই ঘটনার ৯ বছর পর, ২০২৫ সালে সেই জাকির নায়েককেই পুনরায় স্বাগতম জানাচ্ছে বাংলাদেশে। সাথে আসছে হাফিজ সইদের সহযোগী ইবতিসাম ইলাহি জাহিরও। আর কী কারণে সেটা আর বলার দরকার নেই।
চুপ নেই ভারতও!
তবে, ভারতও কিন্তু চুপ করে নেই। উরি সিনেমায় একটি ডায়লগ ছিল – ইয়ে হিন্দুস্তান আব চুপ নেহি ব্যয়ঠেগা। ইয়ে ন্যায়া হিন্দুস্থান হ্যায়।
আর তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে বাংলাদেশে। যখন হঠাৎ করেই বাংলাদেশের একটি হোটেলে মৃত পাওয়া যায় জ্যাকশন নামের এক উচ্চপদস্থ মার্কিন অফিসারকে। যিনি নাকি বাংলাদেশের মাটিতে বসেই করেছিলেন মোদীকে হত্যার ছক। তবে ওই অফিসারকে কারা মেরেছে, সেই নিয়ে এখনও বিশদে তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, বাংলাদেশ থেকে আসা যে কোনও অভিযান কীভাবে আটকাতে হবে তার পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই নিয়ে ফেলেছে ভারত।
গ্রেটার বাংলাদেশ ম্যাপ প্রকাশ্যে আসতেই ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং কড়া ভাষায় বার্তা দিয়েছেন ইউনুসকে। জানিয়েছেন, “নিজেদের সংযত করুন। বাংলাদেশের সাথে আমরা কোনও দ্বন্দ্ব চাই না। আমরা চাই আমাদের সম্পর্ক বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতার হোক। তবে, প্রয়োজন হলে আমরা সব ধরনের প্রতিক্রিয়া দিতে পারি।“
এরপর ৮ই নভেম্বর জানা যায়, ভারত নিজেদের চিকেন নেকে বসিয়েছে ৩টি নতুন গ্যারিসন সেটআপ। যার কাজ অতিরিক্তি নিরাপত্তা ও দ্রুত প্রতিক্রিয়া প্রদান। যার মধ্যে একটি বসানো হয়েছে অসমের ধুবড়ি জেলার বামুনিতে। একটি বিহারের কিশানগঞ্জে, আর একটি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ায়।
এরপর ৯ই নভেম্বর, অসমে করা হয় এয়ারফোর্সের মহড়া।
ভারত এখনও পর্যন্ত কী করেছে শিলিগুড়ি করিডোরের জন্য?
শিলিগুড়ি করিডোর একটি গুরুত্বপূর্ণ ২২ কিমি চওড়া জায়গা। যা ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলির সাথে উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিকে জোড়ে। ম্যাপ দেখলে ভালো করেই বুঝতে পারবেন, এই জায়গাটা দেখতে অনেকটাই মুরগির গলার মতো সরু। আর তাই এই জায়গাকে চিকেনস নেকও বলা হয়। এটি ভারতের জন্য যেহেতু খুবই গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, তাই ইতিমধ্যেই ভারত নিয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। যার মধ্যে রয়েছে,
প্রথমত, শিলিগুড়ির কাছে সুকনায় অবস্থিত রয়েছে ত্রিশক্তি কর্পস (৩৩ কর্পস)-এর সদর দপ্তর, যারা বর্তমানে করিডোরের প্রতিরক্ষার দায়িত্বে রয়েছে। বাংলাদেশে হালচাল শুরু হওয়ার পর থেকে এরা নিয়মিতভাবে যুদ্ধ এবং লাইভ-ফায়ার মহড়া করছে, যার মধ্যে রয়েছে T-90 ট্যাঙ্ক সহ উঁচু জায়গা এবং নদীতীরবর্তী অঞ্চলের প্রস্তুতিও।
দ্বীতিয়ত, পশ্চিমবঙ্গের হাশিমারা বিমানঘাঁটিতে মোতায়েন করা হয়েছে রাফালে যুদ্ধবিমান, মিগ ভেরিয়েন্ট এবং একটি ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র রেজিমেন্ট, যা আক্রমণাত্মক এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা উভয়ই নিশ্চিত করে। এছাড়াও, এই অঞ্চলে উন্নত ত্রিমাত্রিক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে।
তৃতীয়ত, অপারেশন সিন্দুরের পর, ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের ড্রোন যুদ্ধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। সেখানে রাখা হয়েছে এফপিভি (FPV), অশনি প্লাটুন (Ashni Platoon) এবং কামিকাজে ড্রোন (Kamikaze Drone)। শুধু তাই নয় নির্ভুল আক্রমণের জন্য তৈরি করা হয়েছে ভৈরব ব্যাটালিয়ন। রেগুলার ইনফ্যান্ট্রি এবং এলিট প্যারা স্পেশাল ফোর্স মিলিয়ে এই ব্যাটালিয়ন তৈরি করা হয়েছে।
চতুর্থত, সেভক থেকে রঙপোর মধ্যে রেল পথ করা হচ্ছে, যাতে সরাসরি সীমান্তে সৈন্যদের পাঠানো যায়। ইতিমধ্যেই সেই কাজ চলছে।
পঞ্চমত, বাগডোগরা থেকে IAF অর্থাৎ ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া হাশিমারা, আলিপুরদুয়ার এবং বালুরঘাটে নতুন র্যাডার স্টেশন এবং হেলিপোর্ট যোগ করা হয়েছে।
ষষ্ঠত, বিদেশের থেকে ভারতের যেটা শেখা উচিত। প্রথমত, আমেরিকা কীভাবে পানামা খালের নিরাপত্তায় স্যাটেলাইট এবং সাইবার মনিটরিং চালায়। সেইভাবেই শিলিগুড়ি করিডোরের ক্ষেত্রেও স্যাটেলাইট এবং সাইবার মনিটরিং চালাতে পারে ভারত।
অন্যদিকে, শিলিগুড়ি করিডোরের থেকেও ছোট ইজরায়েলের একটি ১৫ কিমি সংকীর্ণ জায়গা রয়েছে। কিন্তু ইজরায়েল, সেন্সর থেকে শুরু করে মাটির তলায় লজিষ্টিক, এমনকি দ্রুত প্রতিক্রিয়া প্রদানকারী ফোর্স রেখে সেই জায়গার নিরাপত্তা দিচ্ছে। এইভাবে ভারতও শিলিগুড়ি করিডোরের নিরাপত্তা বাড়াতে পারে।
সম্প্রতি দিল্লির বিস্ফোরণ সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকেই জানি। এমনকি কীভাবে ভারতে একতি বড় জঙ্গি হানার ছক ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থা বানচাল করেছে সেটাও আমরা দেখেছি। কিন্তু, বিপদ এখনও কাটেনি! আপনাদের কী মনে হয়, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কী করা উচিত ভারতের?