India Hood Decode: ⁠যোগীর UP বনাম মমতার বাংলা, কোন রাজ্য এগিয়ে?

UP vs West Bengal
UP vs West Bengal

একসময় যে রাজ্য চোর, গুন্ডা, মাফিয়াদের জন্য বিখ্যাত ছিল, আজ সেই রাজ্যই খেল দেখাচ্ছে সারা বিশ্ব জুড়ে। কখনও কাজের জন্য, বা কখনও দর্শনের জন্য, সারা দেশের মানুষ ছুটে চলেছে সেই রাজ্যে। SAMSUNG, VIVO-র মতো বড় বড় কোম্পানিরা লাইন লাগাচ্ছে সেখানে। প্রতি বছর গড়ছে একের পর এক রেকর্ড। কখনও বুলডোজার, কখনও বা এনকাউন্টারের কারণে উঠে আসছে শিরোনামে। হ্যাঁ, ঠিকই ভেবেছেন, আমরা বলছি উত্তর প্রদেশের কথা। এমন এক রাজ্যের কথা যেখানের মুখ্যমন্ত্রী কোনও সাধারণ নেতা বা নেত্রী নন, তিনি একজন যোগী। যিনি সংসার ধর্ম ত্যাগ করে উত্তর প্রদেশকে নিয়ে গিয়েছেন বিশ্বের দরবারে।

“বাংলাকে UP হতে দেবো না”, এই কথা আপনারা প্রায়ই শুনে থাকেন। কিন্তু, আদেও কি বাংলা উত্তর প্রদেশের ধারে কাছে যায়? শিক্ষা হোক বা শিল্প, আইন শৃঙ্খলা হোক বা নারী সুরক্ষা – সব ক্ষেত্রেই এক দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে উত্তর প্রদেশ।

আজ আমরা India Hood ডিকোডে তুলে ধরবো পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর প্রদেশের (UP vs West Bengal) এমন কিছু সত্য, এমন কিছু তথ্য, যা ভাবতে বাধ্য করবে আপনাকেও।

প্রথমেই আপনাদের জানাবো শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে!

পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থা আজ ধ্বংসের পথে। এই কথা আমরা বলছি না, বলছে রিপোর্ট। প্রতি বছরই হু হু করে কমে যাচ্ছে সরকারি শিক্ষার্থীর সংখ্যা, সঙ্গে কমছে শিক্ষকের সংখ্যাও, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে স্কুলও। ২০২৩ থেকে ২০২৪, মাত্র এক বছরে সরকারি স্কুলে শিক্ষার্থী কমেছে প্রায় ৪%। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে প্রায় . লক্ষ শিক্ষক পদ  আজ শূন্য এবং কয়েক হাজার স্কুলে রয়েছে মাত্র ১ থেকে ২ জন শিক্ষক। গত ১০ বছরে বন্ধ হয়েছে প্রায় ,০১৮টি সরকারি প্রাথমিক স্কুল। WBSSC-র রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের ,২০৭টি স্কুলের ছাত্রসংখ্যা ৫০ জনেরও কম। যে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়েই চলছে দুর্নীতি, সরকারি শিক্ষকেরা মার খায় সিভিক পুলিশের হাতে, সে রাজ্যে শিক্ষার হাল এমনটা হবে এটাই স্বাভাবিক।

আর অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের শিক্ষার ব্যবস্থা একেবারে অন্যরকম। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কয়েক হাজার সরকারি স্কুলকে করা হয়েছে আধুনিক। একাধিক ক্লাসরুমকে করা হয়েছে স্মার্ট। যোগী সরকারের আগে ২০১৭ সালে যেখানে রাজ্যের মাত্র ৩৬% স্কুলে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছিল, সেখানে এই সংখ্যা বর্তমানে ৯৬% ছাড়িয়েছে। ২০১৭ থেকে ২০২৩, ৬ বছরে রাজ্যের সরকারি স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে ৪৫%। গত ৭ বছরে প্রায় লক্ষ ৩০ হাজার নতুন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। ২০১৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত স্কুলমুখী হয়েছে ৪৫ লক্ষেরও বেশি শিশু, বেড়েছে মেয়ে শিশুদের ভর্তি হার।

এবার আপনাদের জানাবো শিল্প ব্যবস্থা নিয়ে

পশ্চিমবঙ্গে শিল্পের কফিনে প্রথম পেরেক পোঁতা হয়েছিল ২০১১ সালে। যখন TATA-কে তাড়ানো হয়েছিল রাজ্য থেকে। আর সেই যে পেরেক পোঁতা শুরু হল, তা আজও নাম নেয়নি থামার। রিপোর্ট বলছে, ২০১২ থেকে ২০২২, ১০ বছরে পশ্চিমবঙ্গে নথিভুক্ত হওয়া নতুন কোম্পানির সংখ্যা কমেছে প্রায় ৮ শতাংশ। মমতা সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গ ছেড়েছে ৬৬৮৮টি কোম্পানি। এর মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত রয়েছে ১১০টি কোম্পানি । রাজ্যের অধিকাংশ কোম্পানি পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে চলে গিয়েছে মহারাষ্ট্র, গুজরাত, উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্যে। এমনকি কয়েক দিন আগেই রাজ্যে বিভিন্ন শিল্পের পরিপন্থী একটি ইনসেন্টিভ বিলও সম্প্রতি বন্ধ করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত দেড় বছরে পশ্চিমবঙ্গে এসেছে মাত্র ৮,৮৯৬টি সংস্থা।

অন্যদিকে ২০২৩ থেকে ২০২৪, গত এক বছরে উত্তর প্রদেশে শিল্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ। যা দেশের গড় বৃদ্ধি ২.৭ শতাংশ থেকে প্রায় ৭ গুণ বেশি। ২০২৪-২৫-এ উত্তর প্রদেশে স্থাপিত হয়েছে প্রায় ২৭,০০০ নতুন কারখানা। গত দেড় বছরে উত্তর প্রদেশে এসেছে ২৮,৬৪৯টি সংস্থা, যা পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় প্রায় ৩ গুণেরও বেশি।

এবার আপনাদের জানাবো দুই রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে

পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি গত দশকে অবশ্যই উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ও উন্নতির সাক্ষী হয়েছে। ২০২৩ থেকে ২০২৪, পশ্চিমবঙ্গের নমিনাল গ্রস স্টেট ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট অর্থাৎ GSDP বৃদ্ধি পেয়েছে ৮.৫%। ২০২৪ থেকে ২০২৫, এটি আরও সাড়ে পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, এই বৃদ্ধি দেশের গড় বৃদ্ধির তুলনায় কিছুটা কম।

অন্যদিকে, ২০১৭ সালের দিকে উত্তরপ্রদেশের অর্থনীতি বেশ প্রতিকূলতার মধ্যে ছিল। কিন্তু, যোগী আদিত্যনাথ ক্ষমতায় আসার পর গত ৮ বছরে রাজ্যের GSDP বেড়েছে প্রায় ১৪১%। শুধু তাই নয়, ২০২৩ থেকে ২০২৪, ১ বছরে রাজ্যের GVA বেড়েছে প্রায় ২৫%, যা জাতীয় গড়ের দ্বিগুণ। এর ফলে, উত্তরপ্রদেশ দেশের রাজ্যগুলির মধ্যে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে। GVA অর্থাৎ গ্রস ভ্যালু অ্যাডেড হল একটি অর্থনৈতিক মেট্রিক যা একটি রাজ্যের অর্থনীতি, শিল্প বা খাতে উৎপাদিত পণ্য এবং পরিষেবার মূল্য পরিমাপ করে।

এবার আসা যাক বেকারত্ব নিয়ে

স্বাধীন গবেষণা সংস্থা CMIE অনুসারে, ২০২০ সালের এপ্রিল-মাসে পশ্চিমবঙ্গের বেকারত্বের হার ছিল ১৭.৪ %। ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে রাজ্যে শিক্ষিত বেকারত্বের হার প্রায় ১৪ শতাংশ। যা দেশের গড় হারের প্রায় দ্বিগুণ।

অন্যদিকে, ২০১৭ সালের আগে উত্তরপ্রদেশে বেকারত্বের হার ছিল বেশ উদ্বেগজনক। তবে ২০১৭ সালের পর থেকে যোগী সরকারের সময়ে বেকারত্ব যেমন কমেছে, তেমনই বেড়েছে কর্মসংস্থান। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রাক্তন সরকারের সময় উত্তর প্রদেশের বেকারত্বের হার ছিল প্রায় ১৯%, যা বর্তমানে হয়েছে প্রায় ২.৪%। উত্তরপ্রদেশে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও তীব্র বৃদ্ধি রেকর্ড করা হয়েছে। ২০২৩ থেকে ২০২৪, ১ বছরে কর্ম সংস্থান বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। যা সর্বভারতীয় গড়ের চেয়ে বেশি।

এবার আসা যাক আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে!

পশ্চিমবঙ্গে গত কয়েক বছরে অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে অনেকটাই। CAA হোক বা দুর্গাপুজো বা বিভিন্ন কারণে দেখা যাচ্ছে ধর্মীয় হিংসা বৃদ্ধির ঘটনা। ঘটনার রিপোর্ট করে চার্জশিট দাখিল করা হলেও নেওয়া হয়নি বড় কোনও পদক্ষেপ।

তবে, সেই তুলনায় উত্তর প্রদেশে বিভিন্ন কারণে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে কোনও রকমের দাঙ্গা দেখা গেলে সরকারকে দেখা গিয়েছে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে। যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে উত্তর প্রদেশ প্রশাসন “জিরো টলারেন্স” নীতি গ্রহণ করেছে, যেখানে অপরাধীদের বিরুদ্ধে সরাসরি পুলিশি অভিযান, এনকাউন্টার ও দ্রুত গ্রেপ্তারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সরকারি তথ্য ও মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজ্যে প্রায় ১৪,৯০০টি এনকাউন্টার হয়েছে, এবং মারা গিয়েছে প্রায় ২৩৮ জন দুষ্কৃতী। এবং গ্রেফতার হয়েছে ৩০,০০০-এরও বেশি অপরাধী। শুধু তাই নয়, মাফিয়া এবং গুন্ডাদের বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে উত্তর প্রদেশে চালানো হয়েছে বুলডোজার অপারেশন, দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে অপারেশন ল্যাংড়ার মতো পদক্ষেপ।

এবার আসা যাক মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে!

RG Kar হোক বা কসবা, পার্ক স্ট্রিট হোক বা কামদুনি – পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের অবস্থা কোথায় সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণকে বলেন, “ছোট ঘটনা”, প্রশ্ন তোলেন “রাত্রে মেয়েদের কেন বেরোতে দেওয়া হয়েছে”, যিনি ধর্ষিতা মেয়েদের ন্যায়ের বদলে দেন ক্ষতিপূরণ, সেখানে নারী সুরক্ষা যে প্রশ্নের মুখে থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, অন্যদিকে উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্যে ধর্ষণের মতো ক্ষেত্রে নেওয়া হয়েছে কঠোরতম পদক্ষেপ, একের পর এক ধর্ষকদের করা হয়েছে এনকাউন্টার।

NCRB-র তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালে আমাদের দেশে “মহিলা-বিরোধী অপরাধ” হয়েছে মোট ৪,৪৮,২১১টি। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে ৩৪,৬৯১টি মামলা, যা রাজ্যের জনসংখ্যার ০.০৩৪ শতাংশ। এবং উত্তর প্রদেশে এই ধরনের মামলার পরিমাণ প্রায় ৬৬,৩৮১টি, যা রাজ্যের জনসংখ্যার ০.০২৩ শতাংশ

শুধু তাই নয়, ২০২৩ সালে অ্যাসিড আক্রমণের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ দেশের মধ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছে। সবথেকে বড় বিষয়, পশ্চিমবঙ্গে অপরাধ-সম্পর্কে অভিযোগ করা হলেও দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার খুবই কম। ২০২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গে দোষী সাব্যস্তের হার ছিল প্রায় .%, যা দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম। সেখানে ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধের ক্ষেত্রে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার ছিল ৭০.%। যা জাতীয় গড়ের প্রায় দ্বিগুণ। অর্থাৎ, অপরাধের পর সেই অপরাধের শাস্তি দেওয়ার পরিমাণ বাংলার তুলনায় উত্তর প্রদেশে প্রায় ২০ গুণ বেশি।

ধার্মিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন

এতক্ষণ ধরে আমরা তুলে ধরলাম উত্তর প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু বিষয় নিয়ে, কিন্তু এবার আমরা উত্তর প্রদেশের এমন কিছু তথ্য তুলে ধরবো যা অন্যান্য রাজ্যের অবশ্যই অনুসরণ করা উচিত।

ক্ষমতায় আসার পরেই যোগী আদিত্যনাথ, হিন্দু ধর্ম ও সংস্কৃতিকে পৌঁছে দিয়েছেন এক অন্য মাত্রায়। প্রতি বছর নিজেই ভাঙছেন নিজের রেকর্ড। উত্তর প্রদেশে যোগী আসার আগে বেনারসের মতো ধর্মীয় স্থানে বছরে ৭ লক্ষের মতো দর্শনার্থী আসতো। কিন্তু, ২০১৭ সালের পর থেকে এই সংখ্যা কোটি ছাড়িয়েছে। ২০২৪ সালে প্রায় ১১ কোটি দর্শনার্থী বেনারসে ভ্রমণ করেছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত চার বছরে, কাশী বিশ্বনাথ ধাম, উত্তর প্রদেশের অর্থনীতিতে অবদান করেছে ১ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা। যা সত্যিই ভাবনার বাইরে। শুধু তাই নয়, রাম মন্দির উদ্বোধনের পর থেকে হিন্দু দর্শনার্থীদের সংখ্যা উত্তর প্রদেশে বেড়ে গিয়েছে আরও কয়েক গুণ।

বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে প্রয়াগরাজের কুম্ভ মেলা। কিন্তু, মহাকুম্ভের মাধ্যমে সেই কুম্ভ মেলাকেও এক অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। ২০২৫-এর মহাকুম্ভে দর্শনার্থী সংখ্যা ছাড়িয়েছিল ৬৬ কোটি। গড়েছিল একাধিক গিনেস রেকর্ড। আর এই মহাকুম্ভ, উত্তর প্রদেশের অর্থনীতিতে যোগ করেছে ৩ লক্ষ কোটি টাকা। কেবল দর্শনার্থীদের মাধ্যমেই রাজ্যের উন্নতির ক্ষেত্রে এক নতুন ইতিহাস গড়েছে UP।

শুধু তাই নয়, দীপাবলিতে কখনও ২৫ লক্ষ, কখনও ২৬ লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে গিনেস বুক অফ রেকর্ডে নাম লিখিয়েছে উত্তরপ্রদেশ। তাই কোনও রাজ্যকে কীভাবে বিশ্বের দরবারে পৌঁছানো যায়, তা যোগীর কাছ থেকে শেখা উচিত পশ্চিমবঙ্গের।

বিদেশি বিনিয়োগ

যোগী আসার পর উত্তর প্রদেশ যে কেবল দেশীয় শিল্পে উন্নতি করেছে তাই নয়, হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগ। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৭ সালে “Electronics Manufacturing Policy” আনে উত্তর প্রদেশ। আর ফলস্বরূপ, Samsung, VIVO, OPPO, Haier-এর মতো বড় বড় টেক-জায়ান্টরা ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট খোলে উত্তর প্রদেশে। ফলত, একদিকে যেমন বেড়েছে আর্থিক উন্নতি, তেমনই কমেছে বেকারত্ব। যদিও পশ্চিমবঙ্গে কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থার ইউনিট থাকলেও, বড় বড় কোম্পানি আনার ক্ষেত্রে এখনও ব্যর্থ রাজ্য।

অর্থাৎ সবশেষে প্রশ্ন একটাই। বারবার আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা বাংলাকে UP হতে দেবো না।“ কিন্তু আদতে কী সেটাই হওয়া উচিত? নাকি UP-কে অনুসরণ করে বাংলার উন্নতির প্রয়োজন? UP-র মতোই বাংলাকে বিশ্বের দরবারে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন? জানাতে ভুলবেন না আপনার মতামত।

 

Leave a Comment