সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ ভারতীয়দের পক্ষে সবই করা সম্ভব, এই কথাটা ফের একবার প্রমাণিত হয়ে গেল। আজকের এই প্রতিবেদনে এমন এক যুবককে নিয়ে আলোচনা হবে যে কিনা নিজের হাতে মিসাইল বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সবাইকে। সে একজন ভারতীয় যুবক। কেউ হয়তো ভাবতেও পারেননি এমন কাজ সে করে ফেলতে পারবে। কৃষকের ছেলে মিসাইল তৈরি করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
মিসাইল তৈরি করে তাক লাগাল যুবক
অভিষেক সরকার থাকে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া একটি গ্রামে। শুধুমাত্র মিসাইলই নয়, চোরাশিকারি থেকে শুরু করে যাতে সীমান্তের নিরাপত্তা যাতে কোনও বিঘ্নিত না হয় সেজন্য আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে লেজার সিস্টেম ফায়ার সিকিউরিটি সিস্টেম তৈরি করলেন যুবক। বর্ডার লাইন ক্রস করলেই এই নিজে থেকে অ্যালার্ম বেজে উঠবে। এমনকি গুলিও চলবে। কৃষক পরিবারের ছেলে এবং আইটিআই পড়ুয়া সে। কিন্তু জানলে অবাক হবেন, রাজমিস্ত্রির কাজ করে একটু একটু টাকা জমিয়ে সে দেশের স্বার্থে যা যা তৈরি করেছে তা দেখলে আপনারও চোখ কপালে উঠবে বৈকি। একবার হলেও ভাববেন, এও সম্ভব?
অভিষেকের কাহিনী অবাক করবে আপনাকেও
বনগাঁ থেকে আউলডাঙ্গা গ্রাম, এখানেই টিনের ঘরের মধ্যে গবেষণাগার তৈরি করেছেন অভিষেক সরকার। বাবা অরুণ সরকার পেশায় একজন কৃষক। অভিষেক গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে আইটিআইতে পড়ছে। বর্ডার লাগোয়া জায়গায় বড় হওয়ায় ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে দেশের জন্য কিছু করবেন। সে বছরের পর বছর ধরে গবেষণা করে বিএসএফ-এর যাতে কাজে লাগে সেজন্য তৈরি করে ফেলেছেন একাধিক জিনিস। এর জেরে লাভবান হবেন বিএসএফ জওয়ানরা।
আরও পড়ুনঃ চিন, বাংলাদেশকে পিছনে ফেলে এক নম্বর! ধারে কাছে নেই পাকিস্তান, খেল দেখাচ্ছে ভারত
ইতিমধ্যে সে বানিয়ে ফেলেছে দেড় থেকে ২ কিলোমিটার রেঞ্জের লেজার সিস্টেম ফায়ার সিকিউরিটি সিস্টেম, এমনকি তিনি একটি ভিন্ন রকমের মিসাইল তৈরি করেছেন। যদি এই মিসাইলটিকে অন্য কেউ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলেও এটি নিচে থেকে কোনও ক্ষতি করবে না। এটিকে একবার অন করলে আর অফ করা যাবে না। এই মিসাইল নাকি ৯০০ থেকে ১০০০ কিমি অবধি নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম। এই মিসাইল যেখানে পড়বে সেখানে কোনওদিন গাছপালা জন্মাবে না। অভিষেকের মা প্রমিলা দেবীর বিশ্বাস, ছেলের হাতের তৈরি জিনিস একদিন দেশ রক্ষার কাজে লাগবে।