বদলাচ্ছে নিয়ম, এবার LPG সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে চালু হচ্ছে নয়া প্রক্রিয়া! বাড়বে গ্রাহক ঝঞ্ঝাট?

Published on:

gas cylinder

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: দিন যত এগোচ্ছে, গ্যাস সিলিন্ডারের দাম যেন ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। সেই সঙ্গে সিলিন্ডার পিছু বেড়েই চলেছে অসংখ্য অভিযোগ। যার মধ্যে অন্যতম হল LPG কে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে যত্রতত্র ব্যবহার করা। এবার তাই সেই অভিযোগের সুরাহা করতে বায়োমেট্রিক যুক্ত করার কাজ শুরু করেছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। কিন্তু ডিজেল, পেট্রল বা LPG বরাদ্দ কোন রাজ্যে কী ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তার উপরে কোনও নজরদারি নেই। তাই এবার সেই বিষয়ে মুখ খুললেন হরদীপ সিং।

গত ৯ জুলাই কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং, গ্যাস সিলিন্ডারের E-KYC নিয়ে বড় ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, LPG সিলিন্ডারের জন্য E-KYC করার কোনও সময়সীমা নেই। এমনকি তিনি এও স্পষ্ট করেছেন যে, কেন এই E-KYC চালু করা হয়েছে। তিনি জানান, বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের জালিয়াতি বুকিং রোধ করতে ও জাল অ্যাকাউন্টগুলিকে নিষ্ক্রিয় করতেই E-KYC চালু করা হয়েছে। গত 8 মাসেরও বেশি সময় ধরে এই প্রক্রিয়া চলছে এবং শুধুমাত্র প্রকৃত গ্রাহকরাই LPG সিলিন্ডার পচ্ছেন তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে।

WhatsApp Community Join Now

কী ভাবে E-KYC প্রক্রিয়া চলছে?

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, এই প্রক্রিয়ায় LPG ডেলিভারি কর্মীরা গ্রাহকের কাছে LPG সিলিন্ডার সরবরাহ করার সময় পরিচয়পত্র যাচাই করে। ডেলিভারি কর্মীরা তাদের মোবাইল ফোনে একটি অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকের আধার সার্টিফিকেটের ফটোও তুলে নেন। এরপর গ্রাহকের রেজিস্টার করা মোবাইল নম্বরে OTP আসে। এই OTP দিলেই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হবে। গ্রাহকরা যদি চায় তাহলে তাদের সুবিধা অনুযায়ী ডিস্ট্রিবিউটর শোরুমে গিয়েও যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়া বাড়িতেও নিজেরা করে নিতে পারবেন E-KYC আপডেট।

অ্যাপের মাধ্যমে E-KYC

গ্যাস সিলিন্ডারের E-KYC করতে হলে অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করতে হবে। আইওসি, এইচপিসিএল-এর মতো সংস্থাগুলির অ্যাপ ইনস্টল করে যে কোনও গ্রাহক নিজেরাই E-KYC সম্পূর্ণ করতে পারেন। এরপর যদি কোনো গ্রাহক কোনও অসুবিধার সম্মুখীন না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য এই বিষয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে।

E-KYC নিয়ে AILDF-এর সহ-সভাপতির কী মন্তব্য?

এদিকে ‘অল ইন্ডিয়া এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটর্স ফেডারেশন’ বা AILDF-এর সহ-সভাপতি বিজন বিশ্বাস মনে করেন, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের এই উদ্যোগ ‘যথেষ্ট নয়’। কারণ তাঁর কথায়, ‘পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি যে, ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে গত আট মাসে LPG সংযোগের সঙ্গে আধার ও বায়োমেট্রিক যুক্ত করার কাজ সেরে ফেলেছি। তবে এ ভাবে গ্যাসের কালোবাজারি আটকানো সম্ভব নয়। তার আগে সুষ্ঠু নীতি তৈরি করা উচিত।’

আরও পড়ুনঃ বিশ্বকাপে গোল করা প্লেয়ার ইস্টবেঙ্গলে? ডুরান্ড কাপের আগেই সুখবর লাল-হলুদ শিবিরে

এছাড়াও তিনি আরও বলেন যে, ‘উজ্জ্বলা যোজনায় ৩০০ টাকা ভর্তুকি দিয়ে বছরে ১২টি সিলিন্ডার দেওয়া হচ্ছে। যাঁদের এই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের LPG সিলিন্ডার কেনার ক্ষমতা নেই। তাই তাঁরা সরকারি ভর্তুকির সুবিধাটুকু নিচ্ছেন। এবার অনেকেই নিজেদের ব্যক্তিগত সিলিন্ডার বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে কাজে লাগানোর জন্য বিক্রি করে দিচ্ছেন। সেক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির নামে বছরের পর বছর LPG গ্যাস বুক করে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে চালানো হচ্ছে। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের আগে এই বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত।’

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন