স্মার্ট মিটার লাগানোই হল কাল! ২টি ফ্যান, ৩টি লাইট থাকা দিনমজুরের বিদ্যুতের বিল ৩১ লাখ

Published on:

smart-meter

ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ বিদ্যুতের বর্ধিত বিল নিয়ে সবাই ভুক্তভোগী! আয় না বাড়লেও দিন দিন বেড়েই চলেছে বিদ্যুৎ তথ্যা সংসারের খরচ। বিদ্যুতের বিল মেটাতে গিয়ে অনেকেই হিমশিম খাচ্ছেন। এদিকে সরকারের তরফে ফ্রি বিদ্যুৎ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও লাভবান কেউই হতে পারছেন না। আর এরই মধ্যে এক দিনমজুরের সাথে যা হল, তা কল্পনাতীত।

গরমে সবারই বিদ্যুতের বিল একটু বেশিই আসে। বিশেষ করে যাদের ঘরে AC থাকে, তাঁদের বিদ্যুতের বিল যেন আকাশ ছুঁয়ে যায়। এছাড়াও এসি না থাকলেও সারাদিন ফ্যান চললেও অনেকেরই বিদ্যুতের বিল বেশি আসে। কিন্তু একজন দিন মজুর, যার বাড়িতে ২টি ফ্যান ও তিনটি লাইট জ্বলে, তাঁর বাড়িতে মাসে কত টাকার ব বিদ্যুৎ বিল আসতে পারে? ১ হাজার? না! যা বিদ্যুতের বিল এসেছে, তা শুনে আপনারও চোখ কপালে উঠবে।

WhatsApp Community Join Now

জানা গিয়েছে যে, বিহারের মজফরপুর জেলার এক দিনমজুর শুভলাল সাহানিকে ১ হাজার ২ হাজার নয়, ৩১ লক্ষ টাকার বিল পাঠিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। যা দেখে সেই দিনমজুরের প্রাণ যায় যায় অবস্থা। ঘটনাটি মুজফরপুর জেলার পিয়র থানা সিমরা পঞ্চায়েত এলাকার বলে জানা গিয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সেখানের এক দরিদ্র দিনমজুরের বাড়িতে ৩১ লক্ষ টাকার বিদ্যুতের বিল এসেছে। অবাক করা বিষয় হল, এই বিদ্যুতের বিল এক বা দুই বছরের নয়! এটি মাত্র দুই মাসের। বিদ্যুৎ দফতরের এমন অমানবিক কাজে ঘোর চিন্তায় সেই দিনমজুরের পরিবার। এমনটাও জানা গিয়েছে যে, বিল না দেওয়ায় ওই শ্রমিকের ঘরের বিদ্যুৎও কেটে দেওয়া হয়েছে।

স্মার্ট মিটার লাগানোর পরেই ৩১ লাখ টাকা বিদ্যুতের বিল

বিদ্যুৎ বিভাগের এই অমানবিকতার শিকার শুভলাল জানিয়েছেন যে, তাঁর স্ত্রীর নামে রয়েছে সেই বিদ্যুতের লাইনটি। দুই মাস আগেই বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা তাঁদের বাড়িতে নতুন স্মার্ট মিটার লাগিয়ে দিয়ে যান। এরপর কিছুদিন তো বাড়িতে কারেন্ট ছিল, কিন্তু হঠাৎ একদিন সব বন্ধ হয়ে যায়। শুভলাল জানান, ২০ জুন ৪০০ টাকা রিচার্জ করার পরেও বাড়িতে বিদ্যুৎ চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। কারণ জানতে বিদ্যুৎ দফতরে গেলে তাঁকে জানানো হয় যে, তাঁর বিদ্যুতের বকেয়া ৩১ লক্ষ টাকা। এই কারণেই তাঁর ঘরে বিদ্যুৎ নেই।

আরও পড়ুনঃ DA মামলায় বিরাট মোড়, তোলপাড় বাংলা! এবার কর্মীরা যা করলেন, ঘুম উড়ল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের

শুভলাল জানান, তাঁর ঘরে মাত্র দুটি ফ্যান আর তিনটি লাইট হয়েছে। দুই মাস আগে প্রায় ২৬০০ টাকা বিদ্যুতের বকেয়া ছিল। কিন্তু স্মার্ট মিটার লাগানোর পর সেটি ৩১ লাখে গিয়ে দাঁড়ায়। এটা কীভাবে হল? আমার জানা নেই। এই ব্যাপার নিয়ে জানাজানি হতেই বিদ্যুৎ বিভাগ মুখ খোলে। একজন পদাধিকার জানান, অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং ওই গ্রাহককে লিখিত ভাবে আবেদন জমা করার কথাও বলা হয়েছে।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন