ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: বেশ কিছুদিন আগে গরমের তীব্র দাপটে বন্ধ ছিল সমস্ত স্কুল কলেজ। যার জেরে বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছিল শিক্ষা ব্যবস্থা। আর এই আবহেই ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যে জুড়ে সক্রিয় হয়েছে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। ফলে ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যে দফায় দফায় মুষলধারে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। বিপর্যস্ত হচ্ছে সমস্ত জন পরিষেবা। সম্প্রতি আরও একবার রাজ্য জুড়ে স্কুল বন্ধের নির্দেশ দিল প্রশাসন।
ফের স্কুল বন্ধের খবর
দিল্লির দশা এবার মুম্বইতে। গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি বাণিজ্য নগরীতে। জলমগ্ন গোটা শহর। ভেসে গিয়েছে গাড়িঘোড়া, জলের নীচে একাধিক বাড়িঘর। থমকে গিয়েছে ট্রেন চলাচল। গত সোমবার রাত ২ টো থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে প্রায় ২৭০ মিলিমিটার। সোমবারও ২৪ ঘণ্টার জন্য জারি হয়েছে বৃষ্টির কমলা সতর্কতা। মঙ্গলবারও জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। প্রবল বৃষ্টির জেরে মুম্বইয়ের প্রায় সব স্কুল দ্বিতীয় হাফে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সময় মুম্বই প্রশাসনের দাবি ছিল গোটা শহরে যে পরিমাণ জল জমে গিয়েছে তা নামতে অন্তত প্রায় দু’ঘণ্টা সময় লাগবে। কিন্তু কথা মত কাজ হল না। কারণ রাত থেকে মুষলধারায় বৃষ্টি হয়েই চলেছে।
ব্যাহত যোগাযোগ ব্যবস্থা
এদিকে হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার নাগপুরে থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। এবং আজ অর্থাৎ শনিবার সকাল পর্যন্ত দেখা গিয়েছে নাগপুর বিমানবন্দরে প্রায় ৯০.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই আবহে ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে নাগপুরের জেলা কালেক্টর আজ শহর ও গ্রামীণ এলাকার সমস্ত স্কুল ও কলেজে ছুটি ঘোষণা করেছে।
প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে নাগপুর শহরের বেশ কয়েকটি অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয় বৃষ্টির জেরে দুটি সেতু রীতিমত জলে ভেসে গিয়েছে। তাই ব্যাহত হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। তাই বাসিন্দাদের প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় না বেড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। এদিকে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এদিন টুইট করে লিখেছেন, ‘নাগপুর শহর ও জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জনজীবন মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আমি বিভাগীয় কমিশনার, কালেক্টর এবং স্থানীয় প্রশাসনের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। স্কুলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং নিচু এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুনঃ ৬১ বছর বয়সে IIT মাদ্রাজ থেকে PhD, কোন বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি পেলেন ISRO প্রধান?
এছাড়াও তিনি আরও বলেন, ‘নাগরিকদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেদিকে প্রশাসনকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকী নাগপুর ডিভিশনের কিছু অংশে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার সমস্ত জেলা কালেক্টরদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা চেষ্টা চলছে। তাদের সমস্ত সিস্টেমকে অ্যালার্ট মোডে রাখতে বলা হয়েছে।’