আজমিরঃ অল্পের জন্য প্রাণ রক্ষা হল শয়ে শয়ে রেল যাত্রীর। নয়তো ফের একবার বড়সড় রেল দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকতে হত দেশবাসীকে। ট্রেন উল্টে দেওয়ার ছক কষা হয়েছিল, তবে শেষ মুহূর্তে ট্রেন চালকের তৎপরতায় সেই ছক বানচাল হয়েছে যায়। রেল লাইনের সিমেন্টের একটি বড় ব্লক রেখে ট্রেন উল্টে দেওয়ার ছক কষা হয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানে।
ট্রেন উল্টে দেওয়ার ছক
বর্তমান সময়ে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে রেল পরিষেবা। কখনও ট্রেন বাতিল তো আবার কখনও ট্রেন লেট। সবথেকে বড় কথা বাংলা সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিগত কয়েক মাসে যে হারে ট্রেন দুর্ঘটনা হয়েছে তাতে করে সকলের মনে এক আলাদা রকমেরই ভয় কাজ করছে। এক্সপ্রেস ট্রেন, লোকাল ট্রেন, মালবাহী ট্রেন বারবার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। লাগাতার ট্রেন দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু অবধি হয়েছে সাধারণ মানুষের। সবথেকে বড় পিলে চমকে দেওয়ার মতো ব্যাপার হল, এখন দেশের বেশ কিছু জায়গায় আবার ইচ্ছা করে ট্রেন উল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যেমনটা রাজস্থানের আজমিরে ফের ট্রেন লাইনচ্যুত করার ষড়যন্ত্র করা হয়। কিন্তু এই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। আজমিরে রেললাইনে সিমেন্টের ব্লক বসিয়ে ট্রেনটি লাইনচ্যুত করার পরিকল্পনা ছিল। এই সিমেন্টের ব্লক ছোট নয়, প্রায় ৭০ কেজির বলে খবর। ফলে বড়সড় যে রেল দুর্ঘটনা ঘটতে পারত তা বলাই বাহুল্য।
রেললাইনের ওপর ছিল ৭০ কেজি ওজনের সিমেন্টের ব্লক
সোমবার রাতে রাজস্থানের আজমিরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। কেউ বা কারা রেললাইনের ওপর ৭০ কেজি ওজনের সিমেন্টের ব্লক বসিয়েছিল রেল দুর্ঘটনা করানোর উদ্দেশ্যে বলে অনুমান রেলের। ফুলেরা থেকে আমেদাবাদগামী ট্রেন উল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হয়। কিন্তু এই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ প্রমাণিত হয়। ট্রেনের ইঞ্জিন সিমেন্টের ব্লক ভেঙে সামনের দিকে এগিয়ে যায় এবং একটি বড় ট্রেন দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।
এক মাসে তৃতীয়বার ট্রেন উল্টে দেওয়ার ছক
ট্রেনের চালক আরপিএফকে এই তথ্য দিয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রেললাইন খতিয়ে দেখলে চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। রেললাইন থেকে সিমেন্টের ব্লকের টুকরো উদ্ধার করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে এসেছে সেই ঘটনার ছবিও, যা দেখে নেটিজেনদের চোখ কপালে উঠেছে। সবথেকে বড় কথা, রাজস্থানে এক মাসের মধ্যে এটি তৃতীয় ষড়যন্ত্র। এর আগে গত ২৮ আগস্ট বারান থেকে ছাবড়াগামী মালগাড়ির লাইনে বাইকের কিছু অংশ ফেলে দুর্ঘটনা ঘটানোর ছক কষা হয়। এর সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনের সংঘর্ষ হয়। এরপর ২৩ আগস্ট আহমেদাবাদ-যোধপুর বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে লাইনচ্যুত করতে সিমেন্ট-এর ব্লক বসানো হয়।