ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থসিদ্ধি করতে এবং রেল পরিষেবাকে আরও বিস্তৃত এবং উন্নতমানের করে তুলতে ভীষণভাবে তৎপর ভারতীয় রেল। তাইতো, রেল পরিষেবাই যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে সকলের প্রথম পছন্দ। তবে শুধু যাত্রী পরিষেবার মাধ্যমে অর্থনৈতিক কাঠামো নির্মাণ নয়। ভারতীয় রেল মাল বহনের মাধ্যমেও অর্থনৈতিক কাঠামো আরও শক্তিশালী করে তুলতে নানা উদ্যোগ ইতোমধ্যেই নিয়েছে। সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে ভারতের ফ্রেট করিডরে এবার আসতে চলেছে বিদেশী বিনিয়োগ।
কী এই ফ্রেড করিডর?
সূত্রের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, মালবাহী জাহাজ, বিমান, ট্রেন বা ট্রাক দ্বারা বিভিন্ন দেশে পণ্য পরিবহন করা হয়। এই উপায়ে পণ্য পরিবহনের ব্যবস্থাটিকে মালবাহী হিসাবেও বলা হয়ে থাকে। তবে একটি ডেডিকেটেড মালবাহী করিডোর DFC এর মূল লক্ষ্য হল একটি দেশের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নির্বিঘ্ন সংযোগ প্রদান, পণ্য পাঠানো এবং উৎপাদন করা। এবার সেই কাঠামোয় বিনিয়োগ করতে চলেছে জাপান ইন্টারন্যাশানাল কো অপারেশন এজেন্সি ও বিশ্বব্যাঙ্ক।
বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশানাল কো অপারেশন এজেন্সি ও বিশ্বব্যাঙ্ক ভারতের অন্তত তিনটি ফ্রেট করিডরে বিনিয়োগ করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ইতিমধ্যেই ডিটেলড প্রজেক্ট রিপোর্ট বা DPR এই নতুন করিডরের ব্যাপারে রেল বোর্ডের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। যে নির্দিষ্ট তিন করিডরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলি হল পূর্ব উপকূল, উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিম রুট। কিন্তু জানেন কি এই তিনটি নতুন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর মূলত কোন কোন এলাকার উপর দিয়ে যাবে? জানা যাচ্ছে বাংলার অন্তর্গত এলাকার উপর দিয়েও বইবে এই নয়া করিডর।
কোথায় কোথায় কার্যকর হবে এই নয়া পরিকল্পনা?
জানা গিয়েছে, পূর্ব উপকূলীয় ফ্রেট করিডর যাবে খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ও অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ার উপর দিয়ে। ইস্ট ওয়েস্ট ফ্রেট করিডর খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ও মহারাষ্ট্রের পালঘরের উপর দিয়ে যাবে। অন্যদিকে নর্থ সাউথ ফ্রেট করিডরটি হবে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়া থেকে মধ্যপ্রদেশের ইতরাসি পর্যন্ত যাবে। সব মিলিয়ে এই তিন করিডর প্রায় ৪৩০০ কিমি পথকে কভার করবে। পাশাপাশি নেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা।
পূর্ব উপকূলে যে প্যাসেঞ্জার রেললাইন রয়েছে তার সমান্তরালেই এই ফ্রেট করিডর তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের খড়্গপুর থেকে এটা শুরু হবে। এটা শেষ হবে অন্ধ্রপ্রদেশের তেনালিতে। প্রথমদিকে ভাইজাগ অবধি অর্থাৎ ভাইজাগ বন্দরের সঙ্গে সংযোগ রেখে এটা শেষ হয়ে যাবে বলে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু পরে সেটা বর্তমানে তেনালি পর্যন্ত সম্প্রাসারিত করা হয়েছে।