ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: সরকারী চাকরি হোক কিংবা বেসরকারি, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে কিছু নিয়মাবলী থাকে। সেটি বেতন সংক্রান্ত নিয়ম হোক কিংবা ছুটির তালিকা। কর্মীদের বিভিন্ন ধরনের ছুটি হয়, যেমন CL, মেডিকেল লিভ, মাতৃত্বকালীন ছুটি ইত্যাদি। এর মধ্যে এমন অনেক কিছু ছুটি রয়েছে যা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না নিলে শেষ হয়ে যায়। আবার এমন কিছু ছুটি রয়েছে যা নতুন অর্থবছরের সঙ্গে যোগ হয়। তবে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে দেখা গিয়েছে, কর্মীদের ছুটির পরিবর্তে টাকা দেওয়া হয়।
লিভ এনক্যাশমেন্ট কী?
সরকারী হোক বা বেসরকারি, প্রতিটি কোম্পানিতে কর্মরত কর্মীদের বিভিন্ন ধরনের ছুটি দেওয়া হয়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় কর্মচারীরা কোম্পানির দেওয়া বিভিন্ন ছুটি নিতে সক্ষম হন না, তখন তাদের ছুটির কোটা ছেড়ে দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে কোম্পানির পক্ষ থেকে কিছু ছুটির বিনিময়ে কর্মচারীদের অর্থ দিয়ে দেওয়া হয়। আর এই প্রক্রিয়াটিকেই বলে লিভ এনক্যাশমেন্ট। এবার এই লিভ এনক্যাশমেন্ট নিয়ে বড় ঘোষণা করল বম্বে হাইকোর্ট।
সূত্রের খবর, সরকারি মালিকানাধীন বিদর্ভ কোঙ্কন গ্রামীণ ব্যাঙ্কে কাজ করতেন দত্তরাম আত্মারাম সাওয়ান্ত এবং সীমা দত্তরাম সাওয়ান্ত। প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময় ব্যাঙ্কে কাজ করার পর তাঁরা ইস্তফা দিয়েছেন। কিন্তু চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় তাঁদের জমে থাকা প্রিভিলেজ লিভ এনক্যাশ করতে পারেননি। অর্থাৎ, প্রিভিলেজ লিভ নিয়োগকর্তাকে ‘বিক্রি’ করতে পারেননি। এই আবহে তাঁরা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
বড় সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের
বম্বে হাই কোর্টে এই মামলা উঠলে বিচারপতি নিতীন জমাদার এবং বিচারপতি এমএম সত্যের ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ করেন। এবং সেই ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ‘লিভ এনক্যাশমেন্ট চাকরিজীবীদের অধিকার। মামলাকারী দুই অবসরপ্রাপ্ত কর্মীকে তাদের জমে থাকা ‘প্রিভিলেজ লিভ’ এনক্যাশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বৈধ সংবিধিবদ্ধ বিধান ছাড়া লিভ এনক্যাশমেন্টের মতো অধিকার থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যায় না।’