ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: দিন যত এগোচ্ছে ভারতীয় রেল ব্যবস্থা ততই নিজেকে আপগ্রেড করেই চলেছে। তাইতো ছোট সফর হোক কিংবা বড় সফর, ভারতীয় রেল ব্যবস্থার ওপর অগাধ বিশ্বাস এবং আস্থা রাখে দেশবাসী। সেই কারণেই ভারতীয় রেল ব্যবস্থাকে দেশের লাইফলাইন বলা হয় থেকে। তবে শুধু ভারতীয় রেল নয় এখন সমাজ যত উন্নত হচ্ছে ততই যেন ভারতীয় সড়ক ব্যবস্থা পায়ে পা বেঁধে সমান তালে নিজেকে উন্নত করছে। এবার জনগণের স্বার্থে লোকসভা নির্বাচনের মাঝেই বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যা গোটা বিশ্বকে প্রযুক্তির দিক থেকে তাক লাগিয়ে দেবে।
সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় সরকার এবার দেশবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে যে এইমুহুর্তে সড়ক ব্যবস্থা যতটা উন্নত হয়েছে, আগামী ৫ বছরে সেই ব্যবস্থা আরও দ্বিগুণ হারে পরিবর্তন হতে চলেছে। যার জন্য কেন্দ্র আকাশপথে ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করছে বিশেষ রাস্তা। যা বাস্তবায়িত হলে গোটা দেশের ট্রাফিক সমস্যা যেমন দূর হবে তেমনই কোনওরকম যানজটেরও সৃষ্টি হবে না। আপাতত এই প্রকল্প দেশের ২০০ টি শহরে বাস্তবায়িত করা হবে বলে খবর।
রোপওয়ে পরিষেবা ভারতে!
জানা গিয়েছে এই প্রকল্পে নির্বাচিত এই ২০০ টি শহরগুলোর ওপর দিয়ে ‘রাস্তা’ পাতা হবে। অর্থাৎ সাধারণ মানুষ রীতিমতো আকাশপথে যাতায়াত করবে। অনুমান করা হচ্ছে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করা হবে এই প্রকল্পে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ভারতমালা প্রকল্পের আওতায় ২০০টি রোপওয়ে প্রকল্প শুরু করতে চলেছে।
কোথায় কোথায় রোপওয়ে প্রকল্প শুরু হয়েছে?
- দেশের প্রথম আরবান রোপওয়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হতে চলেছে বারাণসীতে। এখানকার সবথেকে যানজটপূর্ণ রাস্তা গোদৌলিয়া চকে এই কাজ চলছে। বর্তমানে যে রাস্তা অতিক্রম করতে এক ঘন্টা সময় লাগে, রোপওয়ে চালু হলে সেটি ১৫ মিনিটে অতিক্রম করা যাবে। অন্যদিকে বারাণসী রেলওয়ে স্টেশন থেকে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির পর্যন্ত ট্র্যাফিক জ্যাম ছাড়াই যাত্রা সম্পন্ন করা যেতে পারে। এই রোপওয়ের দূরত্ব হবে ৪ কিলোমিটার। নির্মানকার্যে খরচ হবে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা। আশা করা হচ্ছে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালের মার্চে।
- এছাড়াও দেশের দ্বিতীয় আরবান রোপওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে হরিয়ানার মহেন্দ্রগড় জেলার কুলতাজপুর গ্রাম থেকে দোশি হিলটপ পর্যন্ত নির্মিত হচ্ছে। যেখানে এই দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় লাগছে প্রায় ১ ঘণ্টা। কিন্তু সেই অধিক সময় ঘুচবে মাত্র ৩ মিনিটের ব্যবধানে। আগামী ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হবে এবং ৯০০ মিটার দীর্ঘ এই প্রকল্প থেকে প্রতিদিন ৫ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে।
- ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে সঙ্গমের তীরে ২ কিলোমিটার দীর্ঘ রোপওয়ে তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে শঙ্কর বিমান মণ্ডপম থেকে ত্রিবেণী পুষ্প পর্যন্ত রাস্তা অতিক্রম করতে ৩০ মিনিট সময় লাগে, সেখানে রোপওয়ের মাধ্যমে সময় লাগবে ৭ মিনিট।
- শুধু তাই নয় এবার কেদারনাথেও পৌঁছবে রোপওয়ে পরিষেবা। গৌরীকুণ্ড থেকে কেদারনাথ পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ কেবল কার তৈরি করা হচ্ছে, যা মাত্র ৩০ মিনিটে ৮ ঘণ্টার দূরত্ব সম্পন্ন করবে। এবং প্রতিদিন প্রায় ৩৬,০০০ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। আশা করা হচ্ছে প্রকল্পটি ২০২৯ সালের মধ্যে শেষ হবে।