ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যুকে ঘিরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ জানিয়ে আসছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বিভিন্ন খাতে কোটি কোটি টাকা আটকে রেখেছে বলে একের পর এক দাবি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে করে চলেছে শাসক দল। এবার সেই বাংলাকেই দুই হাত ভরে উপহার দিতে চলেছে মোদি সরকার। যা শুনে বেশ আপ্লুত রাজ্যবাসী।
গতকাল অর্থাৎ বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে ভারতীয় রেলের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যেখানে এই তিনটি প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৬,৪৫৬ কোটি টাকা। যা আশঙ্কা করা হচ্ছে যে ভারতীয় রেল পরিকাঠামোর সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ তৈরি করতে চলেছে ইতিহাসের পাতায়।
১৪টি নতুন স্টেশন নির্মাণ করা হবে!
বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে অনুমোদিত এই প্রকল্পগুলি ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ এবং ছত্তিশগড় জুড়ে সাতটি জেলায় বিস্তৃত ভারতীয় রেলওয়ে নেটওয়ার্ককে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার প্রসারিত করবে। প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে ১৪টি নতুন স্টেশন নির্মাণ হবে এবং আনুমানিক ১৩০০টি গ্রাম এবং প্রায় ৩০ লাখ লোকের সম্মিলিত জনসংখ্যার সংযোগ বৃদ্ধি করবে। পাশাপাশি এই প্রকল্পের মাধ্যমে রেলহীন অঞ্চলগুলোকে এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে রেল সংযোগের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এবং রেল-যাতায়াত ব্যবস্থাকে আরও উন্নততর করা হবে। নতুন রেললাইন হওয়ার ফলে সহজে গন্তব্যে পৌঁছনো সম্ভব হবে।
কোথায় কত টাকা বরাদ্দ করছে ভারতীয় রেল?
প্রসঙ্গত, এই তিনটি প্রকল্পের মধ্যে জামশেদপুর – পুরুলিয়া আসানসোল এর তৃতীয় লাইনটি ১২১ কিলোমিটার দীর্ঘ। যার জন্য ২১৭০ কোটি টাকা অনুমোদিত হয়েছে। রেলমন্ত্রী দাবি করেছেন, জামশেদপুর-পুরুলিয়া-আসানসোল এর এই তৃতীয় লাইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। যা হাওড়া-মুম্বই এবং হাওড়া-দিল্লি করিডরকে যুক্ত করবে। তাছাড়া লাভবান হবে সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারত এবং ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্য। পাশাপাশি ৩৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সারদেগা-ভালুমুদা নতুন ডাবল লাইনের জন্য, ১৩৬০ কোটি টাকা অনুমোদিত হয়েছে। এবং তৃতীয়টি ১৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বারগড় রোড – নওয়াপাড়া রোড এর নতুন লাইনের জন্য, ২৯২৬ কোটি টাকা অনুমোদিত হয়েছে।
এছাড়াও এই রেল প্রকল্পের মাধ্যমে আশা করা হচ্ছে যে রেলব্যবস্থার সম্প্রসারণের জন্য এই প্রকল্পের সিদ্ধান্ত ভারতের তৈল আমদানি এবং কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন হ্রাস করবে, যা আখেরে পরিবেশবান্ধব। এর ফলে ভারতের জলবায়ু-সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি এবং সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যপূরণ হবে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তি জাতীয় মাস্টারপ্ল্যানের অনুমোদিত প্রকল্পগুলির মাধ্যমে মালপত্র পরিবহন ক্ষমতা ৪ কোটি ৫০ লক্ষ টন হারে বাড়িয়ে তুলবে।