ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে আরও একবার নরেন্দ্র মোদি। গতকাল ছিল তাঁর তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রথম দিন। তাই ক্ষমতায় এসেই এবার দেশের উন্নয়নের কাজে জোরকদমে লেগে পড়লেন তিনি। এবং প্রথম কাজ হিসেবে গতকাল মোদি অফিসে বসেই কৃষকদের জন্য উন্নয়নমূলক প্রকল্প ‘পিএম কিসান নিধি’-র ফাইলে সই করেন। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরের পরেই এবার পিএম কিসান নিধির ১৭ তম কিস্তি দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। উপকৃত হতে পারে প্রায় ৯.৩ কোটি কৃষক।
এদিকে কেন্দ্র রাজ্যের প্রাপ্য আটকে রেখেছে। বিভিন্ন খাতে টাকা দিচ্ছে না। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ বেশ কয়েকমাস ধরেই করে আসছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। তাই এবার সেই অভিযোগ নিয়ে নড়ে চড়ে বসল কেন্দ্র। গতকাল করের টাকায় অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি, অতিরিক্ত কিস্তির টাকাও দেওয়া হচ্ছে। গোটা দেশে বিভিন্ন রাজ্যগুলির মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। আর সেই তালিকায় কপাল খুলেছে পশ্চিমবঙ্গেরও।
অবশেষে বঙ্গের কপাল খুলল কেন্দ্র
জানা গিয়েছে প্রতি মাসের ১০ তারিখের আশপাশে এই টাকা দেয় কেন্দ্র। তবে এইবার রাজ্যগুলিকে ‘ডেভোলিউশন’ বাবদ অতিরিক্ত কিছু টাকাও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কর কাঠামোর টাকার কত অংশ কোন রাজ্য পাবে তা বিভিন্ন মানদণ্ডের ওপর নির্ভর করে। অর্থ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সর্বোচ্চ ৮,৪২১.৩৮ কোটি টাকা পেয়েছে রাজস্থান, ওড়িশাকে দেওয়া হয়েছে ৬,৩২৭.৯২ কোটি টাকা। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশ পেয়েছে ২৫,০৬৯.৮৮ কোটি টাকা। বিহারকে ১৪,০৫৬.১২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ পেয়েছে ১০,৯৭০.৪৪ কোটি টাকা। পশ্চিমবঙ্গ ১০,৫১৩.৪৬ কোটি টাকা পেয়েছে। মহারাষ্ট্রকে ৮,৮২৮.০৮ কোটি টাকা পেয়েছে। অর্থাৎ মানদণ্ডের নিরিখে উত্তরপ্রদেশে বেশি টাকা পেয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ৪৪ থেকে ১০০% বৃদ্ধি! বিদ্যুৎ মহার্ঘ হতে চলেছে রাজ্যে, কত টাকা বেশি খসবে? রইল হিসেব
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের তরফ থেকে বিভিন্ন রাজ্যগুলিকে অর্থ বণ্টনের অন্যতম কারণ হল বিভিন্ন রাজ্যের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের গতি বাড়ানো এবং বিভিন্ন খাতে খরচ করার জন্য সেই অর্থ বরাদ্দ করা। তবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বাংলার শাসকদল যে যে বিষয়ে বঞ্চনার অভিযোগ তুলছে, তার মধ্যে অন্যতম হল ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, সড়ক যোজনা এবং GST বাবদ বকেয়া। তবে এই অর্থের সঙ্গে GST-র কাঠামোর কোনও সম্পর্ক নেই।