ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: অনেক সময় দেখা যায় সরকারি বিভিন্ন দফতরেই সময়ের হিসাব ঠিকঠাক রাখা হয় না। অর্থাৎ কর্মীরা নির্দিষ্ট সময় না এসে যখন খুশি অফিসে ঢুকছেন এবং সময়ের আগেই বেরিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে আবার অফিসে ঢুকে উপস্থিতি নথিভুক্ত করিয়েই বেরিয়ে যান। এতে কাজের সিস্টেমে যেমন ক্ষতি সাধারণ মানুষকেও অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। তাই এবার সেই অসুবিধা দুর করতে বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার সরকারি কর্মচারীদের অফিসে ঢোকার সময় বেঁধে দিচ্ছে। রিপোর্ট সূত্রে নানা গিয়েছে, প্রতি দিন সকাল ৯ টার মধ্যে সরকারি কর্মচারী এবং আধিকারিকদের সংশ্লিষ্ট দফতরে ঢুকতে বলা হয়েছে। ১৫ মিনিট দেওয়া হয়েছে ‘গ্রেস টাইম’ হিসাবে। অর্থাৎ, দফতরে প্রবেশের সরকারি সময় সকাল ৯টা। সব চেয়ে দেরি হলে ৯ টা ১৫ মিনিটের মধ্যে তাঁরা দফতরে ঢুকতে পারবেন। এর চেয়ে বেশি দেরি করা যাবে না। এক মিনিট দেরি হলেই ‘শাস্তি’ হবে।
এমনকি রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে সমস্ত সরকারি বিভিন্ন দফতরে কর্মরত সিনিয়র আধিকারিকদের ক্ষেত্রেও এই একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। কারও জন্য বিশেষ কোনও ছাড়ের বন্দোবস্ত থাকবে না। নির্ধারিত সময় মেনে ঘড়ি ধরেই সব কর্মচারীকে অফিসে ঢুকতে হবে। পাশাপাশি কর্মীদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে চালু করাতে হবে নির্দিষ্ট দফতরে। অর্থাৎ, কর্মচারীদের পরিচয়পত্র দফতরে ঢোকার সময়ে যন্ত্রের মাধ্যমে ‘পাঞ্চ’ করাতে হবে। তাতেই উপস্থিতি নথিভুক্ত হবে।
আরও পড়ুন: বর্ষা ঢোকার আগেই মরসুমের প্রথম টন টন ইলিশ এল বাংলায়, দাম কত জানেন?
এ ছাড়াও সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে কোনও কর্মী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি দফতরে না পৌঁছোয়, তাহলে সেই ক্যাসুয়াল ছুটির মধ্যে থেকে অর্ধদিবস কাটা যাবে তাঁর। এমন পর পর দু’দিন দেরি হলেই হাতছাড়া হবে একটি আস্ত ছুটির দিন। এ ছাড়াও কোন দফতরে কোন কর্মচারী কখন আসছেন, কখন যাচ্ছেন, সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের তার দিকে নজর রাখতেও বলা হয়েছে।