ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: এর আগে বেশ কয়েকটি সরকারী স্কুলগুলিতে মিড ডে মিলে শিশুদের রুটি ও নুন পরিবেশন করা নিয়ে বহুবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল একাধিক রাজ্যের স্কুল। লেগেছিল রাজনৈতিক রং। তবে এবার সেই ঘটনাকে টপকে মিড ডে মিল সম্পর্কিত আরও একটি স্কুলের খবর উঠে এল শিরোনামে। সেখানে ডিম বা মাছ-মাংস তো দূরের কথা, সেখানে পড়ুয়াদের পুষ্টিকর খাবার হিসাবে পরিবেশন করা হচ্ছে শুধু ভাত আর একটু হলুদ।
ফের শিরোনামে মিড ডে মিল
ঘটনাটি আসলে ছত্তীসগঢ়ের বিজাকুড়া গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের। যেখানে পড়ুয়াদের সংখ্যা মাত্র ৪৩। সেই স্কুলে মিড ডে মিল হিসাবে তাঁদের দেওয়া হচ্ছে ভাত এবং তার উপরে দেওয়া হচ্ছে এক চিমটি হলুদ। স্কুল কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা গিয়েছে যে অন্ততপক্ষে এক সপ্তাহ ধরে পড়ুয়াদের কোনও সবজি দেওয়া হয়নি। কখনও ভাত-ডাল, আবার কখনও শুধু হলুদ দিয়ে ভাতই পরিবেশন করা হয়েছে। এই ঘটনা সাংবাদিকদের মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে আসলে ছত্তীসগঢ়ের সরকার নড়ে চড়ে বসে। এবং জেলা শিক্ষা অফিসার দেবেন্দ্র নাথ মিশ্রকে গোটা ঘটনার তদন্ত এবং যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার উপদেশ দেওয়া হয় সরকারের তরফ থেকে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ
এই প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, ‘মিড ডে মিলে ঠিক মত সাপ্লায়ার আসছে না। ফলে সবজি, ডিম কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। স্কুলের ভাঁড়ারে যেটুকু চাল-ডাল রয়েছে, তা দিয়েই পড়ুয়াদের খেতে দেওয়া হচ্ছে।’এদিকে, সাপ্লায়ারের দাবি, ‘স্কুল আগের বকেয়া টাকা মেটাচ্ছে না। সেই কারণেই মিড ডে মিলের সবজি সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।’ এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে মিড ডে মিলের এ হেন পরিস্থিতি কাণ্ডে স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং খাবার সরবরাহকারী কেউ দায়ভার নিতে চাইছে না। ফলত খারাপ পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে বাচ্চাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি।
আরও পড়ুন: কোহলির মতোই বলিউড অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রেম? বিয়ে নিয়ে বড় ঘোঘণা করলেন কুলদীপ যাদব
এর আগে স্থানীয় এক সাংবাদিক উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের এক সরকারি স্কুলে মিড ডে মিলের এক ঘটনা তুলে ধরেন। যেখানে পড়ুয়াদের পাতে শুকনো রুটি আর সব্জির বদলে শুধু নুন দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। গোপন সূত্রে ঘটনাটির ভিডিয়ো ও ছবি ভাইরাল করে দেওয়ায় বেশ বিপদে পড়ে আদিত্যনাথের সরকার। এমনকি স্কুলে মিড ডে মিলের ছবি তোলার অভিযোগে ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরও করে উত্তরপ্রদেশ সরকার।