বিপদের ঘণ্টা! দ্রুত গতিতে গলছে হিমালয়ের বরফ, বাড়ছে ঝিলগুলোর দৈর্ঘ্য, সাবধান করল ISRO

Published on:

himalayas

দ্রুত গতিতে গলছে হিমবাহ! ভয়ংকর তথ্য ফাঁস করেছে ISRO! চলতি বছর এপ্রিলেই ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পেরিয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে আরও ভয়াবহ অবস্থা। তবে এই ভয়ংকর জ্বালা ধরানো গরমের পিছনে অন্যতম মূল কারণ হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে বিশ্ব উষ্ণায়নকে। যার জেরে ক্রমশ বদলে যাচ্ছে আবহাওয়া। এক রিপোর্টে বিশ্ব জলবায়ু সংস্থা জানিয়েছে, গত বছর বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পরিবেশগত বিপর্যয়ের সাক্ষী ছিল এশিয়াবাসী। তবে ভারত যে বিপদ রেখার বাইরে আছে, তা কিন্তু নয়। সম্প্রতি ইসরো বিশ্ব উষ্ণায়ন সম্পর্কে এমনই মন্তব্য প্রকাশ্যে আনল।

ইসরো জানিয়েছে, হিমালয় অঞ্চলে শতাধিক হিমবাহ দ্রুত গলে যাচ্ছে। আর সেই বরফগলা জলে বাড়ছে হ্রদের আয়তন। তারা আরও জানিয়েছে যে ১৯৮৪ সাল থেকে হিমালয় অঞ্চলে ১০ হেক্টরের চেয়েও বড় হ্রদগুলির প্রতি চারটির মধ্যে একটির আয়তন ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবং এই পরিস্থিতিতে ক্রমশ আরও অবনতি হচ্ছে। এর ফলে বন্যার ঝুঁকিও ক্রমশ বাড়াচ্ছে। কারণ হিমবাহ গলা জল হ্রদের দু’কুল ছাপিয়ে যেতে পারে।

WhatsApp Community Join Now

বিশ্ব উষ্ণায়নের ভয়ংকর তথ্য

সূত্রের খবর হিমালয় অঞ্চলে দীর্ঘসময়ের উপগ্রহ মানচিত্র খতিয়ে দেখা গিয়েছে, অন্তত ১০ হেক্টর আয়তনবিশিষ্ট ২৪৩১টি হিমবাহ গলা জল থেকে তৈরি হয়েছে ২০১৬-১৭ সালে। এর মধ্যে ১৩০টি লেক ভারতে। এই ১৩০টির মধ্যে সিন্ধু নদী অববাহিকায় ৬৫টি, গঙ্গা নদী অববাহিকায় ৭টি এবং ব্রহ্মপুত্র নদী অববাহিকায় ৫৮টি হ্রদ রয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। পাশাপাশি হিমাচল প্রদেশে ৪০৬৮ মিটার উচ্চতায় গেপং গাথ গ্লেসিয়াল লেকের আয়তন বেড়েছে ১৭৮%।

কী বলছে ইসরো?

এছাড়াও ইসরো জানিয়েছে, হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল এমনিতেই সংবেদনশীল। বহু জায়গাই এখানে বরফে আবৃত থাকে। তাই জলবায়ুর পরিবর্তন এখানে গুরুতর প্রভাব ফেলছে। আসলে শিল্পবিপ্লবের পর থেকেই গোটা পৃথিবী জুড়ে হিমবাহ গলে যাওয়ার হার ক্রমশ বাড়ছে। ক্রমেই গলছে বরফ। আর সেই জলই বহু নীচু অঞ্চলে জমে হ্রদ তৈরি হয়েছে।

বিশ্ব জলবায়ু সংস্থা অর্থাৎ WMO আজ জানিয়েছে, গত বছর গোটা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আবহাওয়াগত বিপর্যয়ের সাক্ষী থেকেছে এশিয়া। বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির থেকেও এই মহাদেশে উষ্ণতা বৃদ্ধির হার বেশি। যার জেরে আবহাওয়াগত বিপর্যয়ের সংখ্যা হয়েছে ৭৯। তার জেরে দু’হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

গোটা ঘটনায় খুবই চিন্তিত বিজ্ঞানীরা। দিভেচা সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ-এর বিজ্ঞানী অনিল গত বছর সিকিমের লোনাক হ্রদের জল উপচে বন্যার প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি অবিলম্বে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করা প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। সেই কারণে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গেও আলোচনা করা প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন